পশ্চিম দিনাজপুরে ছেলের ওখানে বেড়াতে গিয়ে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শিবু দি
কোলকাতার এক হাসপাতালে কোমায় আছেন। এ খবর পেলাম গতকাল হামিদ ভাইয়ের পোস্টে।
মুহূর্তে মনে পড়লো ছাত্রজীবনের কথা। শিবু দি তখন কেমিস্ট্রিতে পি এইচ ডি করছেন
আমাদের ফ্যাকাল্টিতে। সে সময় বাংলাদেশের ছাত্ররা ফিজিক্স, ম্যাথেম্যাটিক্স বা
কেমিস্ট্রি খুব একটা পড়তে চাইত না। অনেক বছর বাদে আমি নতুন করে শুরু করি। তাই যারাই
আমাদের ফ্যাকাল্টিতে পড়তেন তাদের প্রতি ছিল এক আত্মিক টান। হঠাৎ এক বিকেলে খবর এল
কেমিস্ট্রির ল্যাবরেটরিতে আগুন লেগেছে। সেই সময় সোভিয়েত ইউনিয়নে এসব ঘটনা ঘটত
কালেভদ্রে, অন্তত এসব ঘটনার খবর আসত কালেভদ্রে। কী উত্তেজনায়ই না কাটল আমাদের
বিকেল। যদি ভুল না করি ওই আগুনে শিবু দির কলিগ ভারতের এক ছাত্রী মারা যান। শিবু দি
আর বৃন্দাবন দা থাকতেন মসফিল্মে, তাই দেখা হত কোন অনুষ্ঠানে বা ওনারা আমাদের এদিকে
বেড়াতে এলে। কিন্তু যখনই দেখা হত তাঁর মুখে থাকতো অমায়িক হাসি। আর ঠিক নিজের দিদির
মতই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কুশল জিজ্ঞাসা। ওই অল্প বয়েসে বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজন
ও পরিচিত বাড়িঘর থেকে অনেক দূরে অজানা অচেনা নতুন দেশে সেই হাসি, সেই আন্তরিকতা,
সেই জিজ্ঞাসার মূল্য সত্যি সত্যিই অমূল্য।
এরপর শিবু দি আর বৃন্দাবন দা দেশে ফিরে যান। অনেক দিন পরে দেখা হয় ২০১১ সালে SAAB এর পিকনিকে। শেষ দেখা ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, সেটাও সাবের (SAAB) পিকনিকেই। আবারো সেই হাসি। তবে কথা তেমন হয়নি। পিকনিকে প্রচুর বন্ধুবান্ধব, প্রচুর পরিচিত মুখের ভিড়, তাই ইচ্ছে থাকলেও কারো সাথেই তেমন কথা বলা হয়না। সব সময় মনে হয় নেক্সট টাইম। কারও কারও ক্ষেত্রে নেক্সট টাইম আর কখনই আসে না। শিবু দি আজ সেই দলে চলে গেলেন। ভালো থাকবেন শিবু দি। দেখা হবে।
দুবনা, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
এরপর শিবু দি আর বৃন্দাবন দা দেশে ফিরে যান। অনেক দিন পরে দেখা হয় ২০১১ সালে SAAB এর পিকনিকে। শেষ দেখা ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, সেটাও সাবের (SAAB) পিকনিকেই। আবারো সেই হাসি। তবে কথা তেমন হয়নি। পিকনিকে প্রচুর বন্ধুবান্ধব, প্রচুর পরিচিত মুখের ভিড়, তাই ইচ্ছে থাকলেও কারো সাথেই তেমন কথা বলা হয়না। সব সময় মনে হয় নেক্সট টাইম। কারও কারও ক্ষেত্রে নেক্সট টাইম আর কখনই আসে না। শিবু দি আজ সেই দলে চলে গেলেন। ভালো থাকবেন শিবু দি। দেখা হবে।
দুবনা, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
No comments:
Post a Comment