দুবনা, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
Monday, December 30, 2024
প্রশ্ন
শিক্ষার মূলে রয়েছে প্রশ্ন। মানুষ প্রশ্ন করতে পারে কোন বিষয়ে খুঁটিনাটি জানার আগ্রহ থেকে। আবার প্রশ্ন করতে পারে ঐ বিষয়টি সঠিক কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশের জন্য। আবার প্রশ্ন করতে পারে উক্ত পথের উৎকর্ষতা নিয়ে। এক কথায় প্রশ্ন করার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে আর সবগুলোই উক্ত বিষয়ে নিজের বোঝাপড়া ঝালাই করার জন্য। যদিও অনেকেই প্রশ্ন করে প্রশ্ন করার জন্য, কোন বিষয়ে জানার অনিচ্ছা থেকে, ঐ বিষয়ের প্রতি অন্ধ অবিশ্বাস থেকে। কিন্তু আমাদের দেশে অনেক সময়ই বড়রা প্রশ্ন করাটা অবাধ্যতা হিসেবেই গণ্য করে। তাদের ধারণা তারা যা কিছু বলে ছোটদের উচিৎ প্রশ্ন না করে সেটা পালন করা। এটা কি আমাদের ধর্মীয় শিক্ষা থেকে যেখানে বিশ্বাসই একমাত্র পুঁজি, যেখানে প্রশ্ন বা সন্দেহ করার অবকাশ নেই? সেটাই কি আমাদের বিজ্ঞানমনস্ক হবার পথে একমাত্র না হলেও সবচেয়ে বড় বাধা?
Friday, December 27, 2024
দায়িত্ব
আগে ক্ষমতা গ্রহণ করার আরেক নাম ছিল দায়িত্ব নেয়া, এখন সব দেখে মনে হয় ক্ষমতা গ্রহণ করার অন্য নাম দায়িত্ব না নেয়া। আমেরিকায় আভ্যন্তরীণ সমস্যা - কে দায়ী? রাশিয়া। ইউরোপে তেল গ্যাসের দাম বেশি। কে দায়ী? পুতিন। ছাত্র জনতা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করল। কে দায়ী? বিএনপি-জামাত। সচিবালয়ে আগুন লাগলো। কে দায়ী? আওয়ামী লীগ। যারা ক্ষমতায় আছে তারা যদি কিছুই করতে না চায় বা না পারে বা কোন কিছুর দায়িত্ব না নেয় - তাহলে দায়িত্ব নেয়া মানে ক্ষমতায় যাওয়া কেন? এভাবে কিছু দিন পরে লোকজন বলতে শুরু করবে - তার অসুখের জন্য ডাক্তার দায়ী কারণ ডাক্তার তাকে সতর্ক করেনি যদিও সে ডাক্তারের কাছে যায়ই নাই, অথবা সে যে ক্ষুধার্ত তার দায় ক্ষুধার, আলসেমি করে তার কাজ না করার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। কী এক ন্যারেটিভ রে বাবা।
দুবনা, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
দুবনা, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Wednesday, December 25, 2024
জেব্রা
রাশিয়া মানেই রঙ্গ বেরঙের চুটকি। সোভিয়েত আমলে, যখন মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছিল সীমিত তখন চুটকিই ছিল প্রধান অস্ত্র। আর এসবের মধ্য দিয়েই মানুষ তাদের মতামত প্রকাশ করত।
এক রুশকে তার বন্ধু জিজ্ঞেস করল
- কেমন আছ? কেমন চলছে দিনকাল?
- জীবন হচ্ছে জেব্রার মত - সাদা আর কালো স্ট্রাইপ বা আলো আঁধারের পালাক্রম।
- তা তোমার এখন কোন পর্যায়ে চলছে?
- আগে ভাবতাম আঁধারে আছি তাই আলোর জন্য লড়াই করেছি। এখন দেখছি সেটাই ছিল আলোকিত। গোধূলির আবছা আলো থেকে এখন অমানিশার গভীর অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছি দিন দিন।
এই রুশ জোকটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বোঝার জন্য বেশ সহায়ক। এজন্যেই রুশরা বলে সব চুটকিই আংশিক চুটকি, বাকিটা সত্য।
দুবনা, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
- কেমন আছ? কেমন চলছে দিনকাল?
- জীবন হচ্ছে জেব্রার মত - সাদা আর কালো স্ট্রাইপ বা আলো আঁধারের পালাক্রম।
- তা তোমার এখন কোন পর্যায়ে চলছে?
- আগে ভাবতাম আঁধারে আছি তাই আলোর জন্য লড়াই করেছি। এখন দেখছি সেটাই ছিল আলোকিত। গোধূলির আবছা আলো থেকে এখন অমানিশার গভীর অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছি দিন দিন।
এই রুশ জোকটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বোঝার জন্য বেশ সহায়ক। এজন্যেই রুশরা বলে সব চুটকিই আংশিক চুটকি, বাকিটা সত্য।
দুবনা, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
Sunday, December 22, 2024
আত্মপক্ষ
চোরও অন্যের চুরি করাকে ঘৃণার চোখে দেখে, অন্য চোরের শাস্তি দাবি করে। কিন্তু তাই বলে নিজেরা চুরি বন্ধ করে না। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থা অনেকটা এই রকম। অন্য দলের স্বৈরাচার, ঘুষ, দুর্নীতির নিন্দা করলেও নিজ দলের স্বৈরাচার, ঘুষ, দুর্নীতিকে সব দলই আইন বলে মনে করে। ও কুকুরের বাচ্চা বটে তবে আমাদের কুকুরের বাচ্চা। একই থিওরি এখানে - এসব অন্যায় বটে তবে আমাদের অন্যায়। আর আমরা যেহেতু রাজা তাই আমরা যা করি সেটাই আইন, তবে আমাদের জন্য, আর জনতার জন্য সেটাই আইন যা আমরা বলি।
মস্কো, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
স্বাধীন
শুধু মাত্র তারাই সত্যিকার অর্থে স্বাধীন যারা অন্যের স্বাধীনতা সম্মান করতে পারে, অন্ততঃ নিজের দিক থেকে অন্যের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে যথাসম্ভব চেষ্টা করে। আজ পৃথিবী জুড়ে যে আগ্রাসী আবহাওয়া সেটা এই অন্যের অধিকার অস্বীকার করার পরিণাম।
মস্কোর পথে, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Saturday, December 21, 2024
শৈশব
একটা বয়সে বাচ্ছাদের মনে হয় তারা সব জানে, সব সমস্যার উত্তর তাদের কাছে আছে। তখন বড়রা যাই করুক না কেন সেটা তাদের মধ্যে বিরক্তির উদ্রেক করে। মনে করে তাদের বর্তমান সব দুর্দশার কারণ পূর্বসূরীরা। এক সময় তারাও বড় হয় কিন্তু ততদিনে অনেক জল গড়িয়ে যায় পদ্মায়। আমাদের বর্তমান শাসকদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয় তারা এখনও সেই বয়স পেরিয়ে আসতে পারেনি। রাজনীতিতে তারা এখনও শৈশবে বিচরণ করছে।
দুবনা, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
Thursday, December 19, 2024
ঝগড়া
অনেক আগে কেউ যখন জিজ্ঞেস করত বিয়ে করেছি কেন, উত্তর দিতাম ঝগড়া করার জন্য। বাইরের কারো সাথে ঝগড়া করা রিস্কি, কিন্তু বৌয়ের সাথে রিস্ক নেই বা থাকলেও কম। মনে হয় যারা উত্তর শুনেছিল তাদের কেউ কেউ তাবলীগ করতে গেছে আর ওখানে বিধর্মী কাউকে না পেয়ে নিজেরা নিজেরাই মনের সুখে ঝগড়া করছে।
শিক্ষাঃ ঝগড়াঝাটি জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সে জন্য হলেও দেশে বিভিন্ন ধর্মের লোকজন থাকা দরকার। নাহলে ঝগড়া জমে না। দেখেন না আমেরিকা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর কি বিপদেই না পড়েছিল। রাশিয়া নিজের পায়ে না দাঁড়ালে তাকে তো কানাডার সাথেই পাছড়া পাছড়ি করতে হত।
দুবনা, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
শিক্ষাঃ ঝগড়াঝাটি জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সে জন্য হলেও দেশে বিভিন্ন ধর্মের লোকজন থাকা দরকার। নাহলে ঝগড়া জমে না। দেখেন না আমেরিকা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর কি বিপদেই না পড়েছিল। রাশিয়া নিজের পায়ে না দাঁড়ালে তাকে তো কানাডার সাথেই পাছড়া পাছড়ি করতে হত।
দুবনা, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Wednesday, December 18, 2024
অনুভূতি
হাড্ডিও আজকাল অনুভূতি প্রবণ হয়ে উঠেছে। বার্ধক্যের পূর্বাভাস মনে হয়। আজ -১৩ মাত্র। কিন্তু এতেই হাড্ডি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করল আমার সাথে বাইরে যাবে না বলে গোঁ ধরে। তবে আমিও কম স্বৈরাচারী নই। হাড্ডি আমার, সুতরাং ইচ্ছাও আমার। কর্তার ইচ্ছায় কর্ম। হাড্ডি তুমি যতই না চাও বাইরে তোমায় যেতেই হবে।
দুবনা, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Tuesday, December 17, 2024
সন্ত্রাস
আজ মস্কোয় সন্ত্রাসী ঘটনায় জেনারেল ইগর কিরিলভ নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশের সংবাদপত্রে দেখলাম তাকে বলা হয়েছে পারমাণবিক সুরক্ষা বাহিনীর প্রধান। তিনি আসলে রেডিয়েশন, কেমিক্যাল ও বাইয়োলজিক্যাল সুরক্ষা বাহিনীর প্রধান। ধারণা করা হচ্ছে যে এর পেছনে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে। বোমা সহ একটি স্কুটার তার বাসার নীচে গাড়ির পাশে রাখা হয়েছিল। উল্লেখ করা যেতে পারে যে এখন সমস্ত বাসার সামনে এরকম অসংখ্য স্কুটার থাকে। অল্প ভাড়ায় এগুলো ব্যবহার করা যায়। এটা তরুণ সমাজের প্রিয় যানবাহন। আরও একটি বিষয় বলা দরকার যে এখানে জেনারেলরা আমাদের দেশের মত ক্যান্টনমেন্টে থাকেন না। তারা সাধারণ মানুষের মতই বহুতল বাড়িতে থাকেন। মস্কোয় এক সময় আমার পাশের বাসায় এক সোভিয়েত জেনারেল থাকতেন। তাই এদের জন্য আলাদা কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে না। কেউ কেউ ইনবক্সে ঘটনা জানতে চাইলেন বলে লিখলাম। এটা যে ইউক্রেন যুদ্ধে খুব বেশি পরিবর্তন আনবে তা নয়। এর আগেও ইউক্রেন বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী ঘটনা ঘটিয়েছে। এটা হয়তো নতুন করে জানান দেয়া যে যুদ্ধে পরাজিত হলেও এ ধরণের চোরাগুপ্তা আক্রমণ অব্যাহত থাকবে। দেখার বিষয় রাশিয়া এখন কী পদক্ষেপ নেয়।
দুবনা, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
দুবনা, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Wednesday, December 11, 2024
দেশ
পৃথিবীর সব দেশেই বিভিন্ন মতাবলম্বী মানুষ থাকে। তারা রাজনৈতিক দল গঠন করে দেশ চালনায় নিজেদের চিন্তা ভাবনা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করে। এজন্যে সবাই যে সরকার গঠন করে বা করতে পারে তা নয়, বাইরে থেকেও তারা দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক জীবনে অংশগ্রহণ করে। এর প্রধান কারণ তারা জানে দেশ একান্নবর্তী পরিবার নয় যে চাইলেই পুরানো বাড়ি ভাগ করে আলাদা ভাবে নতুন নতুন জীবন শুরু করা যায়। দেশ হল মা - সবাই মিলে যার দেখভাল করা যায়, যত্ন করা যায় কিন্তু ভাগ করা যায় না। ১৯৪৭ সালে আমরা সেটাই করেছি। বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থা ঠিক তেমন না হলেও অনেকটা কাছাকাছি। এখানে কেউ ভিন্ন হতে চায় না, তবে ক্ষমতাসীনরা সব সময়ই ক্ষমতার বাইরে থাকা লোকদের ত্যাজ্যপুত্র করতে চায়। অনেক সময় সফল হয়। কেন? আমরা দেশকে মা মনে করি না। তাই আমাদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তেমন শক্তিশালী নয়। আমরা একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী যাদের মূল উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নয়, সমস্ত ক্ষমতা ও সম্পদ কুক্ষিগত করা। তাই অন্যদের কাছ থেকে আমরা চাই শর্তহীন আনুগত্য না হয় নির্বাসন। এটাও আমাদেরই দেশ।
দুবনা, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
Tuesday, December 10, 2024
পচন
সোভিয়েত ইউনিয়নে একটি জোক ছিল। এক আমেরিকান মস্কো এসেছে বেড়াতে। কথা হচ্ছে এক সোভিয়েত বন্ধুর সাথে রেড স্কয়ারে দাঁড়িয়ে।
আমাদের দেশে গণতন্ত্র। আমি চাইলেই হোয়াইট হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে পারি রিগ্যান নিপাত যাক।
শুনে সোভিয়েত বন্ধু বলল
ও এই হল গণতন্ত্র! তাহলে আমাদের দেশেও গণতন্ত্র আছে। এই দেখ বলেই সে রেড স্কয়ারে দাঁড়িয়ে উচ্চ স্বরে শ্লোগান দিল - রিগ্যান নিপাত যাক।
জোকটা মনে পড়ল আমেরিকাবাসী এক প্রগতিশীল বাংলাদেশীর পোস্ট দেখে। সারা বিশ্বে যখন বাইডেন এন্ড কোং একের পর এক যুদ্ধ লাগিয়ে যাচ্ছে তখনও সে পুতিনের মুণ্ডুপাত করে যাচ্ছে। একেই বলে প্রগতিশীলতার পচন। অবশ্য হতে পারে এটাই আমাদের জাতীয় চরিত্র - সব দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেবার চিরায়ত অভ্যাস।
দুবনা, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
Monday, December 9, 2024
সাম্য
সমানাধিকারের কথা বলে আন্দোলন বা বিপ্লবে অংশগ্রহণ করলেও এই অধিকারের ধারণা একেক জনের একেক রকম। শ্রমিক বা কৃষকের কাছে অধিকার মানে শ্রমের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা ও সৎ পথে উপার্জিত অর্থে দু'বেলা পেটপুরে খেয়ে পরে সন্তানদের মানুষ করা। সেখানে নেতারা চায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে জাতীয় সম্পদ বন্টনের নিরঙ্কুশ অধিকার। তাই একসাথে আন্দোলন করলেও লক্ষ্য থাকে ভিন্ন। এমনকি অনেকের লক্ষ্য থাকে সবার শ্রমে অর্জিত ফসলের পুরোটাই নিজের ঘরে তোলা। কিন্তু ব্যর্থতার দায় কেউ নিতে চায় না। ব্যর্থতা সবার মধ্যে সমান ভাবে বন্টন করা হয়। এক্ষেত্রে মানুষ সাম্যবাদী।
মস্কো, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Saturday, December 7, 2024
গণতন্ত্র
এলাকায় একটা কথা আছে "ঘোমটা দিতে গিয়ে পেছন উদলা"। এই ঘটনা এখন ঘটছে পশ্চিমা গণতন্ত্রের সাথে। যখনই তাদের প্রার্থী পরাজিত হত তখনই তারা কারচুপির অভিযোগ করত বা বলত এসব দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থা গণতন্ত্র সম্মত নয়। এবার রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাদের প্রার্থী দ্বিতীয় পর্যায়ে যেতে পারেনি আর যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে তার মূল স্লোগান রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নত করা, যুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্য না করা। কিন্তু এবার তো নির্বাচনে কারচুপি বা নির্বাচনী ব্যবস্থা গণতন্ত্র সম্মত নয় সেই অভিযোগ করা যায় না তাই সাংবিধানিক আদালতের মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ঘোষণা করা হয়। এভাবে চললে একদিন তারা গণতন্ত্রই বাতিল করতে পারে।
দুবনা, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Friday, December 6, 2024
উদ্যোক্তা
আমাদের প্রধান উপদেষ্টা উদ্যোগের কথা বলেন, চাকরি প্রত্যাশী নয় বরং উদ্যোক্তা হয়ে চাকরির ক্ষেত্র সৃষ্টির কথা বলেন। আমাদের দেশে প্রধান উদ্যোক্তা কে? কৃষক। কিন্তু তারা এতে কী পায়? ঋণের বোঝা। আমাদের আরও উদ্যোক্তা কে? রিক্সা চালক। তারা চাকরির আশায় বসে না থেকে সাধারণ মানুষ যাতে অপেক্ষাকৃত কম পয়সার কর্মস্থলে পৌঁছুতে পারে সেই ব্যবস্থা করে। কিন্তু তারাও তাদের উদ্যোগের পুরস্কার পায় না, বরং প্রায়ই তাদের কর্ম সংস্থান হুমকির মুখে পড়ে। মানুষের জন্য যেমন চাকরির ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হয় উদ্যোক্তাদের উদ্যোগকে সামনে নিয়ে যাবার জন্য তেমনি পরিবেশ সৃষ্টি করতে হয়। সমাজের এই চাকা যাতে ঠিক মত ঘোরে তার জন্য প্রতিটি অংশ সচল রাখতে হয়। সমস্যা হল সেটা আজ সবার জন্য সমান ভাবে ঘুরছে না। আর তাই সবাই আজ সমন্বয়ক বা বিপ্লবী হতে চাইছে। কারণ এখন একমাত্র এসব উদ্যোগই অর্থায়ন করা যাচ্ছে। কিন্তু সবাই যদি বিপ্লবী হয়, সবাই যদি উদ্যোগী হয় তাহলে ভোগ করবে কে আর ভোগ না করলে চাকা ঘুরবে কীভাবে?
দুবনা, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
দুবনা, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
Thursday, December 5, 2024
ইতিহাস
সব দেখে মনে হচ্ছে একসময় ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হবে যে "বাংলাদেশের প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও বামপন্থী দলগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এখানে ইসলামী শাসন কায়েম হয়েছিল।" এমনও হতে পারে যে পুরস্কার হিসেবে এদের অতি সত্ত্বর চির শান্তিতে ঘুম পাড়িয়ে দেয়া হবে।
দুবনা, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
দুবনা, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
Monday, December 2, 2024
সমাধান
বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমাদের মজ্জাগত। এবার অতীতের রায় খারিজ করে আমরা নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম। রায়ে ভুল হতেই পারে কিন্তু একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় এতগুলো মৃত্যু তো মিথ্যা নয়। তাহলে অন্ততঃ নতুন করে কেসটি চালিয়ে যাবার প্রশ্ন আসে। আসলে পৃথিবীর কোন বিচার তো নিরপেক্ষ নয়। সরকার বরং সব বিচারের ভার ঈশ্বরের উপর ছেড়ে দিয়ে সবাইকে শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত আসামিকে পলাতকের খাতায় এন্ট্রি করতে পারে। তাতে বিচার বিভাগ ও সরকার উভয়ের মুখ রক্ষা হবে।
মস্কো, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
Sunday, December 1, 2024
মানবিক
রামায়ণ মহাভারত থেকে জানা যায় দেবরাজ ইন্দ্র সহ সব দেবতারাই মানবিক দোষে দোষী ছিলেন। পরস্ত্রীকাতরতা, স্বজনপ্রীতি এসব কিছুই তাদের অজ্ঞাত ছিল না। বারাক ওবামা আমেরিকাকে এক্সক্লুসিভ বলে দাবি করলেও ক্লিন্টন, বাইডেনরা বারবার প্রমাণ করেছেন তারা অনেক ব্যাপারেই আমাদের মত দেশের সাথে ইনক্লুসিভ। ঘুষ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এসব কিছুই তাদেরও বড়ই আপন। প্রতিপক্ষের প্রতি তারাও আমাদের মত নীতিহীন। বাবা প্রেসিডেন্ট হলেও বাবা আর ক্ষমা পরম ধর্ম। খুব কম শিকারই ক্ষমার যোগ্য, ক্ষমা পায় শিকারীরা। হান্টার ব্যতিক্রম নয়।
মস্কো, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রেম বিয়ে
কাজানে বন্ধুদের সাথে গল্প হচ্ছিল। কথায় কথায় প্রেম বিয়ে এসব নিয়ে কথা উঠল। বললাম
প্রেম হল চাকরির জন্য ইন্টারভিউ। দুই পক্ষই চেষ্টা করে পরস্পরের ভালো লাগার জন্য। আর যেহেতু দুজনাই পরস্পরের কাছে চাকরি প্রত্যাশী তাই সমস্ত শক্তি দিয়ে চেষ্টা করে সংসার নামক অফিস ঠিকঠাক চালনার জন্য নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে। আর বিয়ে হল সরকারি চাকরি। একবার ঢুকলে যেমন কাজ না করেও কিছু একটা বেতন পাওয়া যায় তেমনি সেই সাথে থাকে চাকরির গ্যারান্টি। সহজে ছাঁটাই করতে পারে না। আর যদি কেউ ঘুষখোর হয় তবে পরকীয়া নামক উপঢৌকন কপালে জুটতে পারে।
মস্কোর পথে, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪
Subscribe to:
Posts (Atom)