গতকাল থেকে কয়েকটি ফোন কল পেলাম, জিজ্ঞাসা একটাই - তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগবে কি না?
কী উত্তর দেব? বললাম, সেটা নির্ভর করে আমেরিকার উপরে। বিদায়ী প্রশাসন কতদূর যাবে রাশিয়ার সাথে আমেরিকার সম্পর্ক তিক্ত করতে তার উপর। এখন তো সম্পর্ক শূন্য নয়, মাইনাসে নেমে গেছে। ইউরোপের মানুষ যদি শান্তি চাইত এতদিন যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলন করত। করে না। কেন? কারণ যুদ্ধের ফলে যে ব্যবসা হচ্ছে তার ভাগ তারাও পায়। অথবা হতে পারে এই যুদ্ধ যে তাদের রক্ত, মাংস আর ঘামের বিনিময়ে হচ্ছে সেটা বুঝতে পারছে না। আর যুদ্ধ লাগবে কি লাগবে না সেটা জেনে কী লাভ? যদি আমরা নিজেদের মৃত্যুর সঠিক সময় জানতাম তাহলে কি বেশি সুখী বা খুশী হতাম? মনে হয় না। অনেকেই বলতে পারেন তাহলে আগে থেকে সব কাজ শেষ করতে পারতাম। আমার মনে হয় ওই দিন মৃত্যু এটা জেনে বরং আরও বেশি মনঃক্ষুণ্ণ হতাম, কাজের প্রতি অনীহা জাগত এই ভেবে যে কী হবে কাজ করে যদি এই দিন মরে যাই। মৃত্যু নিশ্চিত, তবে কবে সে আসবে সেটা আমাদের অজানা। তাই তো আমরা বাঁচার জন্য লড়াই করি, এই অনিশ্চয়তাই আমাদের সাহস যোগায়, শক্তি যোগায়, স্বপ্ন দেখায়। তাই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কবে লাগবে সেটা নিয়ে না ভেবে জীবনকে উপভোগ করুন। হতে পারে শেষ বারের মত।
দুবনা, ২১ নভেম্বর ২০২৪
No comments:
Post a Comment