Tuesday, February 22, 2022

সমস্যা

১৯৭১ সালে বাঙ্গালিরা অপেক্ষায় ছিল কখন ভারত যুদ্ধে নামবে। তারা আশায় ছিল, পাকিস্তানিরা ও তাদের মিত্ররা দুরাশায়। গত ৮ বছর দনবাস চেয়েছে ইউক্রাইনের মধ্যে অটোনমি যেখানে তারা মাতৃভাষায় লেখাপড়া করতে পারবে, অফিসিয়াল কাজকর্ম করতে পারবে। আসলে ১৯৫২ থেকে কেউ হয়তো শিক্ষা নেয়নি, আর তাই বার বার ভাষার উপর আক্রমণ নেমে এসেছে। রাশিয়ার স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে তাদের অপেক্ষার শেষ হল, তাদের ভাষায় দীর্ঘ আট বছর যুদ্ধ শেষে শান্তি এল। সত্যিই কি তাই? বাংলাদেশে শান্তি এসেছিল, সাময়িক। এখানে কি আসবে? নাকি এটা হবে বড় যুদ্ধের প্রথম সোপান। আমরা সব সময় মানবতার কথা বলি - কিন্তু নিজদের স্বার্থে মানবতাকে বার বার বলি দিই। মানবতা বাধ্য ছেলে, সে প্রতিবাদ করে না, করতে জানে না আর তাই প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে সব সময়ই তাকে বলি দেওয়া যায়। গত আট বছরে এই দুটো দেশ কোন সন্ত্রাসবাদী কাজ করেনি, শুধুই চেয়েছে নিজেদের মত করে শান্তিতে বাঁচতে, কাজ করতে। পশ্চিমা দেশগুলো চাইলে কিয়েভকে বাধ্য করাতে পারত মন্দের ভাল হিসেবে মিনস্ক চুক্তির শর্তগুলো পালন করাতে। যুদ্ধ হয়তো লাগবে না, তবে যুদ্ধের প্রোপ্যাগান্ডায় ইউক্রাইনের অর্থনীতিতে ধ্বস নেমেছে। রাশিয়ার উপর নেমে আসবে বিভিন্ন এম্বারগো। এখানেও মানুষ কষ্টের মধ্য দিয়ে যাবে। তবে অধিকাংশ মানুষই মনে করে যে অমানবিক অবস্থার মধ্যে বাস করছে দনবাসের লোকজন - এটা তাদের নৈতিক দায়িত্ব ছিল। এরা ইউক্রাইনের জনগণকে শত্রু মনে করে না। এরা তাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বলেই ভাবে। খুব কম পরিবারই আছে যাদের সঙ্গে ইউক্রাইনীয়দের পারিবারিক সম্পর্ক নেই। আসলে বর্তমান অবস্থায় এই ক্রাইসিস অবসান করার কোন পথ ছিল বলে মনে হয় না, এক্ষেত্রে কোন পক্ষ থেকে এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেবার দরকার ছিল। রাশিয়া নিল। তবে এটা সমস্যার সমাধান বলে মনে হচ্ছে না। সমস্যাটা অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। তারপর? দেখা যাক!

দুবনা, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২





No comments:

Post a Comment