Friday, May 17, 2019

ঘুম কাড়ানী বালিশ

রূপপুরের বালিশ নিয়ে সবাই লিখছে। যে বালিশের ঘুম পাড়ানোর কথা ছিল সে বালিশের জন্য কত মানুষের যে আজ ঘুম কামাই। তবে সততার খাতিরে বলতেই হয় "কারো ঘুম কামাই, কারো টাকা কামাই।" তবে কিছু ব্যাপার মনে প্রশ্ন জাগায়। যেমন বালিশ তোলার ঘটনা, য নিয়ে কার্টুনে ছয়লাব ফেসবুক। কিন্তু এটা কী শুধুই বালিশ নীচ তলা থেকে উপরে তোলা? এগুলো নিশ্চয়ই রূপপুরে কেনা হয়নি। ধারণা করি তোলা বলতে আসলে ডেলিভারি চার্জ বুঝিয়েছে। অনুমান করা যায় সব জিনিস ঢাকা থেকে (কিছু হয়তো বিদেশ থেকে) কেনা। এক্ষেত্রে আমার মনে পড়ছে অনেক পুরনো এক ঘটনা। সরকারের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার জন্য ক্যামেরা কেনার কাহিনী। দেড় বা দুই লাখ টাকার ক্যামেরা কেনার জন্য তিন সদস্যের ডেলিগেশনের জার্মানি সফর সরকারি খরচে, মানে খাজনার থেকে বাজনা বেশি। চুক্তি করার পর ফর্মালিটি রক্ষা করে ক্যামেরা ডেলিভারি ইত্যাদি। আপনি আমি যেখানে অন লাইনে কিছু কিনতে পারি, এ সব সংগঠন সেটা পারে না, ফলে এরকম বাড়তি খরচ হয় বা দেখাতে পারে। সবাই তো সুযোগ সন্ধানী। সন্দেহ নেই সব আইটেমই বাজার দরের চেয়ে অনেক বেশি দামে কেনা, কিন্তু প্রশ্ন হল এখানে কতটা ভাষার বা পরিবেশনের মারপ্যাঁচ। কারণ বালিশ বা আসবাব নীচ থেকে উপরে তোলা আর ঢাকা বা চট্টগ্রাম বা বিদেশ থেকে ডেলিভারি দেওয়া - দুটো ভিন্ন ক্যাটাগরির জিনিস। সেক্ষেত্রে দেখা দরকার অনেক দূর থেকে এসব জিনিস কেনা কতটা যুক্তিযুক্ত। তবে যেটাই হোক না কেন, ঘটনাটা পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবী রাখে।

দুবনা, ১৮ মে ২০১৯ 
 
 
 

No comments:

Post a Comment