আজ ফেসবুক ভরে
গেছে মা দিবসের পোস্টে। স্কুলে পড়ার সময় বাড়িতে অনেক চিঠি আসত সন্তোষী মার
আবির্ভাব সম্পর্কে, তাঁকে পূজা করার আদেশ নিয়ে। এখন প্রায়ই এ রকম একেকটা দিবস তৈরি
হচ্ছে, মানবিক ধর্মের নতুন নতুন দেব দেবতা তৈরি হচ্ছে। না, মাকে নিয়ে কোন প্রশ্ন
নেই, কিন্তু এই যে একের পর এক নতুন নতুন প্রথা তৈরি হচ্ছে এর পেছনে কি শুধুই
সদিচ্ছা, নাকি কোন রাজনৈতিক চাল? ভাবুন তো যদি এভাবেই একটা সন্তান দিবস তৈরি হয় আর
মাবাবা ঐ একদিন সন্তানকে মনে করে? ভালোবাসা ব্যাপারটা একান্তই ব্যক্তিগত, একেবারেই
ঘরোয়া, যেমন কিনা বন্ধুত্ব। কিন্তু এসবও আজ বানিজ্যিক হয়ে যাচ্ছে। নিজেদের
অজান্তেই আমরা আমাদের ভালবাসার ডালি কারো কারো বাজিজ্যিক প্রোজেক্টে অর্পণ করছি।
আজকাল প্রায়ই দেখি, লোকজন অনেক অন্যায় বা অমানবিক কাজ করে উপাসনালয়ে গিয়ে সেটা
স্খলন করে নতুন উদ্যমে নতুন অপরাধে লিপ্ত হয়। একদিন আমরাও যদি মনে করি মা দিবসে
মার প্রতি, বাবা দিবসে বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই আমাদের সব দায় দায়িত্ব শেষ,
কেমন হবে? ঘোষণা দিয়ে বিয়ে করা যায়, ভালোবাসা যায় না। ঘটা করে বন্ধুত্ব দিবস পালন
করা যায়, বন্ধুত্ব করা যায় না। আসলে ঘটা করে কিছু করা আর অনুভূতি – দুটো দুই ভিন্ন
জগতের বাসিন্দা। মাকে এমনিতেই ভালবাসুন, কাউকে বলার জন্য, কাউকে দেখানর জন্য নয়।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
দুবনা, ১২
মে ২০১৯
No comments:
Post a Comment