মস্কো, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sunday, September 28, 2025
ব্যর্থতা
কিছু দিন আগেও পাকিস্তানকে অনেকেই ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বর্ণনা করত। আর তার মূল কারণ ছিল অর্থনৈতিকভাবে পরনির্ভরশীলতা আর আইন শৃঙ্খলার বিপর্যয়। কিন্তু যখন কেউ এসে লাইনের শেষে দাঁড়ায় আগের লোকটি আর শেষ ব্যক্তি থাকে না। গত একবছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতির হালচাল, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ও এই মুহুর্তে খাগড়াছড়িতে শান্তিপ্রিয় পাহাড়ী মানুষের বাড়িঘরে অগ্নিকাণ্ড দেখে মনে হয় রাষ্ট্র হিসেবে ব্যর্থতায় আমরা পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছি। সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষা করার মৌলিক দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রের ব্যর্থতা রাষ্ট্রকেই ব্যর্থ করেছে। নিজের সাফল্য নয়, ছোট ভাইয়ের ব্যর্থতার কাঁধে চড়ে পাকিস্তান আবার সমাজে মুখ দেখাতে পারছে।
সাম্য
আইন ভালো না মন্দ তারচেয়েও বেশী জরুরী আইনের সুষম প্রয়োগ মানে এমন ভাবে প্রয়োগ যাতে আইনের চোখে সবাই সমান এই নীতির লঙ্ঘন না হয়। সম্পদের সুষম বন্টন (অবশ্যই কাজের ভিত্তিতে যাতে একই রকম কাজের জন্য দুই জন দুই রকমের ফল না পায়) যেমন সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলার জন্য জরুরী ঠিক তেমনি জরুরী আইনের সুষম প্রয়োগ। সেটা হয় না বলেই সমাজে বিভিন্ন রকমের দুর্নীতির আবির্ভাব ঘটে।
মস্কোর পথে, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Saturday, September 27, 2025
আক্ষেপ
গতকাল সিডনি থেকে ভ্রমর ফোন করল। অনেক দিন পরে কথা হল ওর সাথে। সামনে যেহেতু পূজা তাই জিজ্ঞেস করল মস্কোয় পূজা হয় কিনা, হলে কয়টা।
আমাদের সবে ধন নীলমণি একটা মাত্র পূজা। ঠাকুর দেবতায় ভক্তি না থাকলেও দুগ্গা মাকে একটা থ্যাঙ্কু বলতেই হয়। ওনার সৌজন্যেই অনেক পুরানো বন্ধুদের সাথে দেখা হয়। জিজ্ঞেস করলাম ওদের ওখানে পূজা কয়টা?
এবার সিডনিতে ২৬ (!) টা পূজা।
বলিস কি?
হ্যাঁ, শুরু হয়েছিল একটা দিয়ে। এরপরে বিভিন্ন প্রশ্নে প্রায়ই মনোমালিন্য, দলাদলি। ফলে প্রতি বছর পূজার সংখ্যা বেড়েই চলছে।
ঠাকুর দেবতারাও আজকাল মনে হয় রাজনীতি শুরু করেছে। এযে একেবারে ডিভাইড এন্ড রুল। ইংরেজরা শুধু রাজনীতিবিদদের মধ্যেই নয়, ঠাকুর দেবতার মধ্যেও ডিভাইড এন্ড রুল ঢুকিয়ে দিয়েছে। যত দলাদলি তত পূজা মণ্ডপ, যত মণ্ডপ তত প্রসাদের ছড়াছড়ি। মানুষ তো মানুষ হোল না, আজকাল দেখছি ঠাকুর দেবতারাও মানুষ হতে পারছে না।
দুবনা, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Wednesday, September 24, 2025
কথা
গতকাল থেকে ফেসবুকে ও দু একটা গ্রুপে শেয়ার করা একটি ভিডিও দৃষ্টি আকর্ষণ করল। সেখানে বাহাত্তরের সংবিধানকে আওয়ামী লীগের সংবিধান হিসেবে উল্লখে করা হয়েছে এই যুক্তিতে যে সংবিধান গ্রহণে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল না। কথাটা উড়িয়ে দেয়া যায় না এ কারণে যে সংবিধান কোন গণ ভোটে গৃহীত হয়নি। তবে এই যুক্তিতেই বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ, গণতন্ত্র, মার্ক্সবাদ এসব নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়, কারণ এর কোনটাই জনগণকে জিজ্ঞেস করে লেখা হয়নি। কোন বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মী তাই যখন সংবিধান নিয়ে এই প্রশ্ন তোলে তার মার্ক্সবাদ লেনিনবাদ নিয়েও একই প্রশ্ন করা উচিৎ। বিশেষ করে কেউ যখন সিপিবির মত রাজনৈতিক দলের নেতৃস্থানীয় কেউ হয় তাকে সস্তা জনপ্রিয়তা থেকে দূরে সরে থাকতে হয়, কোন কথা বলার আগে তার রাজনৈতিক ব্যবহার বা অপব্যবহার নিয়ে ভাবতে হয়। আশা করি নতুন দায়িত্ব তাকে কথার গুরুত্ব নিয়ে ভাবতে শেখাবে।
দুবনা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দুবনা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sunday, September 21, 2025
গণতন্ত্র
মালদোভায় নির্বাচন হচ্ছে। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মায়া সান্দো ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্য বিরোধী দল ও নেতাদের বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার করছে। তবে এই গ্রেফতারের শিকার হচ্ছে মূলত রুশ বা রুশপন্থী লোকজন। এ কারণে এসব কাজ পশ্চিমা বিশ্বের আশির্বাদপুষ্ট। এই নির্বাচনে সান্দোকে জিতিয়ে আনার জন্য একের পর এক গণতান্ত্রিক বিগ্রেড নামছে কিশিনেভে। কথায় বলে যে পয়সা দেয় নাচের বায়নাও সেই দেয়। বিশ্ব রাজনীতির ক্ষেত্রে যারা মিডিয়া ও বিশ্ব বাজার নিয়ন্ত্রণ করে তারাই গণতন্ত্রের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে।
মস্কোর পথে, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Saturday, September 20, 2025
না বোঝার বোঝা
ছাত্রজীবনে আমার এক বন্ধু মেট্রো থেকে নেমে বলল এক মেয়েকে চোখ মেরেছে। ওর চোখের কালো চশমা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলাম
- তুই যে কালো চশমার পেছনে বসে চোখ মারলি তাতে কী লাভ হল?
- তুই এসব বুঝবি না।
আজ আপাদমস্তক কাপড়ে ঢাকা এক মহিলা দেখলাম নারী স্বাধীনতার বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখছে। তবে যে ব্যাপারটা আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করল তা হল তার চোখের চশমা। তার বোরকার চোখের ওখানেও কোন ছিদ্র ছিল না। তাই আমার ধারণা চোখে চশমা থাকা না থাকা এখানে সমান। উল্টা চশমাটি মুখের স্বাভাবিক গঠনকে বিকৃত করছিল। তাই মনে প্রশ্ন জাগল চশমার কি আদৌ কোন দরকার ছিল? তবে আমার ধারণা এসব আমি বুঝব না।
দুবনা, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজনীতি
এমনকি সবচেয়ে বড় কোম্পানির সিইও দিনের শেষে অন্যের অধীনস্থ। তবে সিইও যদি নিজের যোগ্যতায় সেই পদে অধিষ্ঠিত হয়ে থাকেন তবে অন্যের অধীনস্থ হওয়ার পরও তিনি অনেক বেশি স্বাধীন। কারণ এখানে না হলেও অন্য কোথাও তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেনই। রাজনীতির ক্ষেত্রেও তাই। যদি জনসমর্থন না থাকে পেছনে যত বড় শক্তিই থাকুক না কেন আপনি স্বাধীন না, বড়জোর করদ রাজ্যের জমিদার। আর জনসমর্থন থাকলে, জনগণ আপনাকে বিশ্বাস করলে তারাই আপনাকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনবে। ইউরোপে এখন জনসমর্থনের অভাব খুব প্রকট। আমরাও খুব একটা পিছিয়ে নেই। জনসমর্থন রাজনীতি ক্ষেত্রে পায়ের নীচে মাটির মত। যে নেতার সেট নেই দেশবাসীর নয়, কোন গোষ্ঠী বা বিদেশী স্পন্সরের স্বার্থ রক্ষা করাই হয় তার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।
দুবনা, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Thursday, September 18, 2025
ভ্রম
সারাহ অসুস্থ। মাইশা তাকে নিয়ে গেছে ডাক্তারের কাছে। সারাহকে ডাক্তারের কেবিনে পৌঁছে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছে মাইশা। খুব টেনশন ফিল করছে। শেষ পর্যন্ত সারাহ বেরুবে ডাক্তারের কেবিন থেকে।
কি বলল ডাক্তার? কি হয়েছে?- উদগ্রীব হয়ে জিজ্ঞেস করে মাইশা।
আর বল না। এতকাল আমরা যেটাকে অর্গাজম ভাবতাম সেটা আসলে ছিল হাঁপানি!- টিপ্পনী কাটে সারাহ।
রুশ এই চুটকি মনে পড়ল বাংলাদেশের বামপন্থী নেতাদের অবস্থা দেখে। এতকাল আমরা যাদের আদর্শবান ও জনদরদী বামপন্থী নেতা ও সমাজতন্ত্রের একনিষ্ঠ সৈনিক বলে মনে করতাম এরা আসলে জর্জ সোরসের বেতনভূক রাজনৈতিক কর্মচারী। আর সোরস ও জনগণ এরা বিপরীত মেরুর বাসিন্দা। বাম রাজনীতিও নষ্টদের হাতে চলে গেছে।
দুবনা, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Monday, September 15, 2025
অল ইনক্লুসিভ
রাশিয়ার ট্যুর এজেন্সিগুলো অল ইনক্লুসিভ প্যাকেজ বিক্রি করে। তাতে টিকেট, হোটেল, খাবার দাবার সব থাকে। ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ শুনলে আমার দাবারের কথা মনে হয়। আমাদের এলাকায় দাবায মানে তাড়ানো। এখন তো সবাইকে দৌড়ের উপরে রাখা আর মব দিয়ে হেনস্থা করাই বাংলাদেশের আসল রূপ।
মস্কো, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Friday, September 12, 2025
অঘটন
অনেকেই বলছে ডাকসু নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের রিহারসেল। জাতীয় নির্বাচনে কেউই জামাতকে তেমন পাত্তা দিতে রাজি নয়। তবে ডাকসু নির্বাচন প্রমাণ করল - বিষয়টি এত সোজা নয়। বেশ কয়েক মাস আগে লিখেছিলাম যে বিএনপিকে ঠেকাতে আওয়ামী লীগ জামাতকে ভোট দিতে পারে। কারচুপির পরেও এবার শিবিরের প্রাপ্ত ভোট দেখে মনে হয় তারা ছাত্র লীগের সমর্থকদের অনেকের ভোটই পেয়েছে। এ জন্যে তাদের গালিগালাজ করাই যায়, তবে বিএনপি বা অন্যেরা কিন্তু আওয়ামী লীগ বা ছাত্র লীগের ভোট পাওয়ার জন্য কিছুই করেনি, বরং যত দূর সম্ভব তাদের দূরে সরিয়েছে। "বাবু যত বলে পারিষদ-দলে বলে তার শতগুন।" ঠিক একই ভাবে অন্তত প্রকাশ্যে জামাত শিবির আওয়ামী লীগকে যত না গালি দিয়েছে তারচেয়ে বেশি দিয়েছে বিএনপি আর বামেরা। এসব যদি চলে তাহলে জাতীয় নির্বাচনে এ ধরণের অঘটন ঘটা অসম্ভব কিছু নয়।
দুবনা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দুবনা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Thursday, September 11, 2025
ধিক!
রাশিয়ায় বলে "এর সাথে গুপ্তচরবৃত্তিতে যাওয়া যায়।" এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে সেই লোককে নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করা যায়। কারণ গুপ্তচরবৃত্তি খুবই রিস্কি ব্যাপার। এর মধ্য দিয়ে এরা কারো প্রতি নিজেদের মনোভাব প্রকাশ করে। ডাকসু নির্বাচনে এক ভিপি প্রার্থীর মাত্র ১১ ভোট পাওয়ার খবর শুনে আমার এটাই মনে হল "এদের সাথে গুপ্তচরবৃত্তিতে যাওয়া যায় না।" কারণ একটা প্যানেল থেকে নির্বাচন করা মানে প্যানেলের সবাই একে অন্যের পাশে দাঁড়াবে এই বিশ্বাস থাকা, না থাকলে লড়াই করবে কোন সাহসে, কোন আবেগে? আচ্ছা যিনি ১১ ভোট পেলেন তিনি কি তার প্যানেলের সবার ভোটও পাননি? এই ঐক্য নিয়ে কেউ লড়াই করতে নামে? কোথায় যাচ্ছে রাজনীতি? এরপরেও আমরা শিবিরের বিজয়ে মন খারাপ করব? ধিক! শত ধিক!
দুবনা, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দুবনা, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Wednesday, September 10, 2025
রক্ত
যে কারণই দেখানো হোক না কেন দিনের শেষে জিন্নাহ পাকিস্তান চেয়েছিলেন একান্তই নিজের ক্ষমতায়নের জন্য আর সেটা করেছিলেন গণতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে। ভারতীয় মুসলমানদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের কথা বলে পাকিস্তানের জন্ম হলেও জিন্নাহ তাঁর নিজের মত করেই সেখানে শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন আর এই অঞ্চলের কারোও মাতৃভাষা না হওয়া সত্ত্বেও উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করেছেন। অধিকাংশ মানুষের মতামত উপেক্ষা করা আর যেকোনো কৌশলে ক্ষমতা অধিগ্রহণ করা এটা পাকিস্তানের জন্ম সূত্র। কী পাকিস্তানের কী বাংলাদেশের - দুই দেশের এলিট শ্রেণী এই মন্ত্রে দীক্ষিত। এসব দেশে তাই বারবার সামরিক শাসন বা বেসামরিক শাসকদের স্বৈরাচারী ব্যবহার অস্বাভাবিক কিছু নয়। সমস্যা শিক্ষিত, অশিক্ষিত, নোবেলজয়ী বা নোবেল প্রত্যাশী শাসকে নয়, স্বৈরাচার আসলে এই অঞ্চলের শাসকদের রক্তের মধ্যে নিহিত।
দুবনা, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Monday, September 8, 2025
শান্তির জন্যে লড়াই
মহামায়া কংসকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন
তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সেআসলে সবকিছুর মৃত্যু তার ভেতরেই অন্তর্নিহিত। জাভেদ আখতারের আমন্ত্রণ বাতিল করল তারাই যাদের উচিত ছিল তাঁর পাশে দাঁড়ানোর, দাঁড়িয়ে মৌলবাদকে প্রতিহত করার। সারা বিশ্বে মৌলবাদের উত্থান হচ্ছে উদারপন্থীদের হাত ধরেই। এভাবে চলতে থাকলে এমন সময় আসবে যখন উদারতার সুযোগ নিয়ে বেড়ে ওঠা মৌলবাদ এদের কচুকাটা করবে। এমন উদাহরণ পৃথিবীতে বিরল নয়। ন্যায় বিচার মানেই উদারতা নয়, ন্যায় বিচার মানে কর্ম অনুযায়ী সঠিক পুরস্কার দেয়া বা তিরস্কার করা। আবেগের বসে তিরস্কার করতে ভুলে গেলে একদিন এমন শাসনের মুখোমুখি হতে হবে যা নরককেও হার মানায়। শান্তি কারোও দয়ার দান নয়। শান্তির জন্যে লড়াই করতে হয়।
মস্কো, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Saturday, September 6, 2025
যুদ্ধ মন্ত্রণালয়
আমাদের বাসা থেকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মিনিট কুড়ির হাঁটা পথ। আমি আর সেভা প্রায়ই ওদিকটায় হাঁটতে যাই। কখনো গভীর রাতে রাতের মস্কোর ছবি তুলতে। এখান থেকে পার্ক কুলতুরি, ক্রেমলিন, ক্রাইস্ট দ্য স্যাভোয়ার চার্চ বেশ ভালো দেখা যায়। আবার আসি গ্রীষ্মের ভোর ৪.৩০ এর দিকে সূর্যোদয়ের ছবি তুলতে। এর পাশে এলেই সেভা বলে আক্রমণ মন্ত্রণালয়।
খবরে দেখলাম ট্রাম্প আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম বদলিয়ে যুদ্ধ মন্ত্রণালয় রাখছেন। তাই মনে পড়ল- আমারও তো এসব ছিল মনে, কেমনে ব্যাটা পারল সেটা জানতে?
দুবনা, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Friday, September 5, 2025
মোনাফেকি
আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা আমরা অন্যকে বদলাতে চাই কিন্তু নিজেকে বদলাই না। এমনকি বদলাতে চাইও না। আমরা চাই ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা বহাল থাকুক, সেদেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত থাকুক কিন্তু নিজের দেশে সেটা চাই না। আমরা পশ্চিমা বিশ্বের সব রকমের সুযোগ সুবিধা নিতে চাই, কিন্তু নিজের দেশকে পশ্চিমা বিশ্বের মত করে গড়ে তুলতে চাই না যেখানে সব নাগরিককে তার অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়া হবে। আমরা চাই সরকার গণতান্ত্রিক নীতিতে চলুক কিন্তু একবার ক্ষমতায় গেলে নিজে আরও বেশি করে স্বৈরাচারী হই। ফলে আমাদের ঘোষিত লক্ষ্য আদর্শ কখনোই বাস্তবায়িত হয় না, কারণ আমাদের মন আর মুখের মধ্যে যোজন যোজন দূরত্ব। বছর খানেক আগেও দেশে জনপ্রিয় স্লোগান ছিল দেশটা কারোও বাপের না বা দেশটা কারোও স্বামীর না। মানুষ ভেবেছিল তাহলে নিশ্চয়ই দেশটা সবার। এখন দেখা যাচ্ছে দেশটা আসলে কয়েক জন লোকের। মোনাফেকি - এটাই বাংলাদেশের রাজনীতির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য।
দুবনা, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দুবনা, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Thursday, September 4, 2025
বেলে কাক
অনেকেই বলেন সেনাবাহিনীর ক্ষমতা নেবার কথা। গত বছর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা নেবার পরে দেশে যে সার্বিক অরাজকতা সৃষ্টি হয় তাতে মনে হয়েছিল সেনাশাসন একটা অপশন হতে পারে। কিন্তু গত এক বছরে তাদের নির্লিপ্ততা অথবা নীরব সমর্থনে দেশ থেকে যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মুছে দেয়া হল, যেভাবে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধূলিসাৎ করা হল তাতে এই সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিলেই কি আর না নিলেই কি? যারা মবের হাত থেকে দেশ রক্ষা করতে পারে না তারা জনগণকে রক্ষা করবে কীভাবে? বেল পাকলে কাকের কী? তবে আমার কিন্তু মনে হয় দেশে সেনাশাসনই চলছে। তারা পেছন থেকে দেশটাকে ফাঁকা করে ফেলছে শিখণ্ডী হিসেবে সমন্বয়কদের সামনে বসিয়ে। কিন্তু কেউ এদের বিরুদ্ধে বললে ঠিকই মানুষর মুখ বন্ধ করে দিচ্ছে, হত্যা করছে সাধারণ ছাত্র আর শ্রমিকদের। ধরি মাছ, না ছুঁই পানি। এক অভূতপূর্ব সেনাশাসন।
দুবনা, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দুবনা, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Monday, September 1, 2025
আস্তিক
আজ ১ সেপ্টেম্বর, রাশিয়ায় জ্ঞান দিবস। আজ থেকে শুরু হল নতুন শিক্ষা বছর। লাখ লাখ ছেলেমেয়ে জীবনে প্রথম বারের মত স্কুলে গেল। আমারও ক্লাস শুরু হল। তৃতীয় বর্ষের ছাত্রদের সাথে আজই প্রথম পরিচয়। ক্লাস শেষে জিজ্ঞেস করলাম
তোমরা সবাই আস্তিক মনে হচ্ছে?
কেন আপনি এমন ভাবছেন?
কোন প্রশ্ন করছ না, যা বলছি শুনছ আর লিখে যাচ্ছ?
এর সাথে আস্তিকতার সম্পর্ক ঠিক বুঝলাম না।
ওরা সব বিশ্বাস করে, প্রশ্ন করে না। প্রশ্ন বিজ্ঞানের জীবনীশক্তি। প্রশ্ন না করলে তো বিজ্ঞান হবে না।
খুব সুক্ষ আপনার রিমার্ক।
কী আর করা? দেখছ না আমি কেমন হালকা পাতলা?
ভালো লাগে যখন ছাত্র-ছাত্রীদের সেন্স অব হিউমার সাহারা না হয়।
মস্কো, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Subscribe to:
Comments (Atom)