শুনছি ঋষি সুনকের অর্থনৈতিক পদক্ষেপে ব্রিটেনের সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। মানুষ নাকি তিনটের বেশি টমেটো কিনতে পারছে না। না, পয়সার অভাবে নয়, টমেটোরা নাকি ব্রিটেনের উপর স্যাঙ্কশন আরোপ করেছে ওদের মিথ্যাচারিতার জন্য। মনে পড়ছে আশির দশকের শেষের দিকের সোভিয়েত ইউনিয়নের কথা। রনি তখন গর্বিকে বলেছিলেন, "সমাজতন্ত্র পুঁজিবাদকে বাইপাস করে সাম্যবাদে যাবার পথ নয়, সামন্তবাদ থেকে পুঁজিবাদে পৌঁছুনোর রক্তাক্ত ও দীর্ঘ পথ।" এখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের অবস্থা আর সোভিয়েত ইউনিয়নের আশির দশকের সমাজতন্ত্র দেখে মনে হচ্ছে, "পুঁজিবাদ হচ্ছে সামন্তবাদ থেকে সমাজতন্ত্রের তৃতীয় শ্রেণির ভার্সনে পৌঁছুনোর দীর্ঘ, রক্তাক্ত পথ।" তবে এসব ঘটনায় আমি অন্য কারণে একটু মজা পাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত পলাশীর যুদ্ধের প্রতিশোধ নিচ্ছে কোন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ওরা মীর জাফরকে কিনে ভারতীয়দের অশেষ কষ্ট দিয়েছে। এখন এক ভারতীয় ওদের ঘরে ঢুকে সেই অত্যাচারের প্রতিশোধ নিচ্ছে। পাপে ছাড়ে না বাপেরে।
দুবনা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
No comments:
Post a Comment