এতো দিন ভাইরাসের দেখা তেমন একটা পাইনি। বেশ কিছুদিন পরে মস্কো এলাম। গতরাতে রাস্তায় তেমন কিছু চোঁখে পড়েনি। সকালে যখন ভার্সিটি যাই মনিকা বলল
তোমরা দোকানে যাবে না?
কেন?
সবাই চারিদিকে কেনাকাটা করছে, চাল গ্রেচ্কা এসব যদি কেন!
আমি কিছু না বলে কাজে চলে গেলাম। ছাত্ররা ছিল। আগামী সপ্তাহের প্ল্যান নিয়ে কথা বলতে একজন বললো
যদি ক্লাস চলে তাহলে আসব।
মানে?
পাশ থেকে ম্যাক্সিম বললো
মেইল এসেছে। হতে পারে আমরা ডিস্ট্যান্ট এডুকেশনে চলে যাব ৩১ তারিখ পর্যন্ত। এর মধ্যে সেভার কলেজ থেকে মেসেজ এল ক্লাসে না যেতে।
মেইল চেক করে দেখি সত্যিই তাই। বাসায় ফেরার পথে বরাবরের মতো দোকানে গেলাম। দেখি চাল, গ্রেচ্কা এসবের বাড়ন্ত।
বাসায় ফিরে দেখি এডিকের মেইল। ৩১ তারিখ পর্যন্ত হাতেগোণা কয়েক জনকে কাজে যেতে দেবে। বাড়ি থাকার নির্দেশ। মেইল করে বললাম "আমার নাম লিস্টে যোগ করতে, যেন অফিস যেতে পারি।" এডিকের ফোন, "তোমার কিছু জরুরি দরকার বলো আমরা করে দেব।"
কোরোনার করুণায় সবাই কোনঠাঁসা।
মস্কো, ১৬ মার্চ ২০২০
No comments:
Post a Comment