করোনা মৃত্যুর দ্বার খুলে দিয়েছে। বন্ধ ঘরে বসে আপনি করোনাকে আটকাতে পারবেন কিন্তু মৃত্যুকে নয় যদি না দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের ঘরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দেন। আর এমতাবস্থায় কেউ মারা গেলে সেটা করোনার জন্যেই হবে। পরোক্ষ ভাবে।
দুবনা, ৩১ মার্চ ২০২০
Tuesday, March 31, 2020
সারি সারি শাড়ি
শাড়ি নিয়ে তুলকালাম। ফেসবুকে ঝড়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের শ্রাদ্ধ। হয়ত সবই ঠিক। তবে সব কাজে পুরুষকে দোষী করা যেন অভ্যাসে পরিনত না হয়। কথায় কথায় কম্যুনিস্ট, ব্লগার, সংখ্যালঘুদের দোষ দিয়ে সমাজ কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে সে তো আমরা দেখছি। নারীরা, বিশেষ করে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে লিপ্ত নারীরা যদি একই পথে হাঁটে তার পরিনতি কি হবে কে জানে?
দুবনা, ৩১ মার্চ ২০২০
দুবনা, ৩১ মার্চ ২০২০
Monday, March 30, 2020
অসুখের সুখ
জেরোম কে জেরোমের গল্পে বন্ধুদের গাইনীর সমস্যা ছাড়া সমস্ত রোগই ছিল। এখন সব গল্পে সবাই নিজেকে এক অসুখের (অ)সুখী মনে করছে। সবাই ভাবছে করোনা তারই প্রেমে পড়েছে।
দুবনা, ৩০ মার্চ ২০২০
জীবনের গল্প, জীবন নয়
"India wins freedom" বইয়ে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ কোরান সম্পর্কে বলতে গিয়ে লিখেছেন "সমস্যা হল, মানুষ কোরানে যা লেখা আছে তা তো পড়েই, যা লেখা নেই তাও পড়ে।" এর অর্থ হল, যেকোনো লেখা পড়ে মানুষ শুধু লেখকের মেসেজটাই পড়ে না, এর বাইরেও অনেক কিছু পড়ে বা লেখাটা নিজের মত করে ইন্টারপ্রেট করে। এসব অবশ্য ভালো লেখার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যে লেখা অন্যকে ভাবাতে শেখায় সেটাই কালজয়ী লেখা, সেই লেখক কালোত্তীর্ণ।
আমার ব্যাপারটা অবশ্য ভিন্ন। আমি যাই লিখি, সেটা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিখি। নিজের অভিজ্ঞতা নিজের সাব্জেক্টিভ দৃষ্টিভঙ্গির বিবেচনায় নিয়ে লিখি। তবে যাই লিখি সেটা কিন্তু অভিজ্ঞতার one to one correspondence নয়। এটা আর যাই হোক ডাইরি নয়। এটা বাস্তব আর কল্পনার লুকোচুরি। কিন্তু আমার অনেক বন্ধুই লেখাগুলোকে আমার ডাইরি হিসেবে নেন এবং সেই বিবেচনায় কমেন্ট করেন যা অনেক ক্ষেত্রেই আমার জন্য বিব্রতকর হয়ে দাঁড়ায়। লেখাকে লেখা হিসেবেই নিন, এটা জীবনের গল্প, জীবন নয়।
Sunday, March 29, 2020
অপেক্ষার অপেক্ষায়
যদি নয় জন প্রেগন্যান্ট মহিলাকে এক সাথে রাখা হয়, তবুও এক মাস পরে শিশু জন্ম নেবে না। একই ভাবে দু দিন, দু সপ্তাহ বা দু মাসে করোনার মৃত্যুবাণ তৈরি হবে না। উপায় একটাই - অপেক্ষা, সচেতন অপেক্ষা যাতে করোনা আমাদের ট্রয়ের ঘোড়া হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে।
দুবনা, ৩০ মার্চ ২০২০
জীবন যুদ্ধ
আগামী কাল থেকে মস্কোয় ছুটির ঘণ্টা বাজবে। অকারণে ঘর থেকে বেরুনো নিষেধ। জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে গৃহবন্দীত্বকে স্বাগতম!
দুবনা, ২৯ মার্চ ২০২০
দুবনা, ২৯ মার্চ ২০২০
Saturday, March 28, 2020
দূরদর্শিতা
দূরদর্শিতাই জাতির মূল সমস্যা। এরা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ইহ কালের বিপদ থেকে উদ্ধার লাভের উপায় না খুঁজে সুদূর পরলোকের সুখ শান্তি নিশ্চিত করতে ব্যস্ত। এহেন জাতির ঘুম করোনা কেন কেউই ভাঙাতে পারবে বলে মনে হয় না।
দুবনা, ২৯ মার্চ ২০২০
দুবনা, ২৯ মার্চ ২০২০
তাবু
ছাত্র জীবনে একটা জোক চালু ছিল।
এক রাশান ছেলে বেড়াতে গেছে পাকিস্তান। হঠাৎ বৃষ্টি। কি করা? তাকিয়ে দেখে চারিদিকে শত শত তাবু হাঁটাচলা করছে। ও তো ভীষণ অবাক! কত উন্নত দেশ। এমনকি তাবুও চলাফেরা করে! কী করা? ভাবল অমন এক তাবুতে আশ্রয় নেবে। কিন্তু যে তাবুতেই ঢুকতে যায়, ভেতর থেকে কেউ বলে অকুপাইড। ও যখন দেশে ফিরে পাকিস্তানী বন্ধুদের কাছে তাবুর গল্প করছে সবাই তো হেসে খুন। আসলে ওগুলো ছিল বোরকা পরা মেয়ে।
এখন আমরা গৃহবন্দী। আমাদের ঘর থেকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই, কিন্তু ঘরের তো আর ঘরে বসে থাকার আদেশ নেই। বসে থাকতে থাকতে যাদের হাড্ডিতে জং পড়ে যাচ্ছে তারা চলমান তাবুর কথা ভেবে দেখতে পারেন।
দুবনা, ২৮ মার্চ ২০২০
আবিষ্কার
ধুলি থেকে পরিত্রাণ পেতে রবি ঠাকুরের মহারাজ জুতা আবিষ্কার করেছিলেন, করোনা এড়াতে আমরা ঘর আবিষ্কার করছি।
দুবনা, ২৮ মার্চ ২০২০
দুবনা, ২৮ মার্চ ২০২০
তুই করোনা
তুই রাজাকার - এ কাজ হচ্ছে না। জনগনের বেতনভোগী কিছু কিছু চাকর বাকরকে (নিজেদের অশিক্ষা, কুশিক্ষা দিয়ে নিজেরাই সেটা প্রমাণ করেছে) এখন থেকে তুই করোনা বলে গালি দিতে হবে।
দুবনা, ২৮ মার্চ ২০২০
দুবনা, ২৮ মার্চ ২০২০
Friday, March 27, 2020
কচ্ছপ
বল তো দেখি কার করোনা ভাইরাস হয় না?
কচ্ছপের। ও কখনও ঘর থেকে বেরোয় নো। একেই বলে slow but steady wins the race.
দুবনা, ২৮ মার্চ ২০২০
কচ্ছপের। ও কখনও ঘর থেকে বেরোয় নো। একেই বলে slow but steady wins the race.
দুবনা, ২৮ মার্চ ২০২০
করোনা ভাইরাস নিয়ে রুশ চুটকি
দেশে ফিরেছে এক লোক। পুলিশ এসেছে চেক করতে।
মানিব্যাগ দেখাও।
ওখানে ডলার দেখে
তুমি শিওর ডলারগুলো করোনায় আক্রান্ত নয়?
চেক করিনি, তবে টাকা অসুস্থ হয় তা তো শুনিনি।
আগে শোন নি, এখন শোন। মানিব্যাগ রেখে যাও। আমরা ওকে দু সপ্তাহের কারেন্টেইনে রাখব। দরকারে চিকিৎসা করব।
দুই সপ্তাহ পরে সে লোক এসেছে মানিব্যাগ ফেরত নিতে।
আমার মানিব্যাগটা এখন ফেরত দেবে। কারেন্টাইন তো শেষ।
তা ঠিক। তবে অনেক চেষ্টা করেও ডলারগুলকে বাঁচানো যায়নি। ওরা মরে গেছে, আমরা অলরেডি ওদের কবর দিয়েছি। কিন্তু সেখানে ভাইরাসের আশঙ্কা আছে, তাই চাইলেও তোমাকে ওদের কবর দেখাতে পারব না।
দুবনা, ২৮ মার্চ ২০২০
শক্তের ভক্ত নরমের যম
সমস্যাটা হল দেশে সমস্যার সামাধান প্রায়ই আগের সমস্যার চেয়েও বড় সমস্যা রূপে আত্মপ্রকাশ করে। মনে হয় ইচ্ছে করেই করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে কেউ সমাধান চাই সামাধান চাই করে সরকারের ঘুম না ভাঙ্গায়। যেখানে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়ে আইন ভাঙছে সেখানে দু চারজন ছাপোষা মানুষকে কান ধরে দাড় করিয়ে রেখে, লাঠিপেটা করে কতটা করোনা দূর হবে সেটাই প্রশ্ন। একেই বলে শক্তের ভক্ত নরমের যম।
দুবনা, ২৮ মার্চ ২০২০
Thursday, March 26, 2020
Wednesday, March 25, 2020
মুক্তির গল্প
স্বপ্ন ছিল সব মানুষের জন্য সোনার বাংলা, বাস্তবে হল কিছু মানুষের জন্য হীরা মুক্তার বাংলা। জনগণ স্বপ্ন থেকে মুক্তি পেল, বিনিময়ে কিছু লোক মুক্তা পেল। এভাবেই স্বাধীনতাও ছোট গল্পই হয়ে রইল। সবাইকে মুক্ত স্বাধীন শুভেচ্ছা।
মস্কো, ২৬ মার্চ ২০২০
মস্কো, ২৬ মার্চ ২০২০
করোনাকে না
করোনার হাত নাই, পা নাই, মাথা নাই, চোখ নাই, কান নাই, নাক নাই, ধর নাই। এ সেই সাপ, সেই নিষ্কন্ধ ভূত। ওকে নিষ্ক্রিয় করার একটাই উপায়, নিজেকে ওর গাঁধা না করা মানে আপনার ঘাড়ে চড়ে ওকে ঘুরতে না দেওয়া।
মস্কো, ২৫ মার্চ ২০২০
সুস্থতা
দাদা, অমুক ভাইয়ের কি শরীর খারাপ? জানেন কিছু?
মাথা যদি শরীরের অংশ হয়, তবে গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি ওর শরীর খারাপ।
মস্কো, ২৫ মার্চ ২০২০
মাথা যদি শরীরের অংশ হয়, তবে গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি ওর শরীর খারাপ।
মস্কো, ২৫ মার্চ ২০২০
Tuesday, March 24, 2020
ভয়
মন্ত্রীমহোদয়দের বিবৃতি দেখে ভ্রম হয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই করোনার বিগ বস যাকে করোনা সালাম দিয়ে চলে। সাথে প্রশ্ন জাগে মন্ত্রীগনই ছদ্মবেশী করোনা কি না।
মস্কো, ২৫ মার্চ ২০২০
শত্রু
আমার বন্ধুরা জানে আমি প্রায়ই অপ্রিয় (সত্য) কথা বলি। বৌ খুব রেগে গেলে বলে
তোমার মুখ তোমার শত্রু। এর চেয়ে যদি বোবা হতে তাহলেও ভালো হত। জান না বোবার শত্রু নেই?
তা অবশ্য ঠিক। তবে মনে রেখ বোবারা কিন্তু "ভালোবাসি" বলতে পারে না।
এটা আমার স্বাভাবিক সময়ের উত্তর। আজ বললাম, তোমার আমাদের মন্ত্রী পরিষদের উপদেষ্টা হওয়া দরকার। সত্যি বলছি এই দুর্যোগে ওরা বোবা হলে দেশের ও দশের যত উপকার করতে পারত, যত লোককে খুশি করতে পারত, লক্ষ টাকা খরচ করেও সেটা পারবে না।
মস্কো, ২৪ মার্চ ২০২০
ইতিহাস
সমস্যাটা হল ঔরংজেবরা আকবরের ঘরেই জন্ম নেয় আর ঐক্যতানকে শক্ত হাতে বেসুরো করে দেয়।
মস্কো, ২৪ মার্চ ২০২০
Monday, March 23, 2020
ফিরে দেখা
ছাত্র জীবনে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত কোনদিন ক্লাস ফাঁকি দেইনি। এমনকি অসুখ হলেও না। এটা শুধু যে লেখাপড়ার প্রতি ভালোবাসা তাই নয়, সবাই যখন ক্লাসে হোস্টেলে তখন একা একা কিভাবে সময় কাটবে সেই সমস্যার সমাধান হাতে না থাকার কারণেও। একবার অসুখের কারণে কয়েক দিন ঘরে বসে বুঝলাম ব্যাপারটা তত পানসে নয়।
দুবনা আছি অথচ অফিসে ঢুঁ মারছি না সেটাও ছিল কল্পনার বাইরে। এখন দিব্যি সময় কাটছে। তবে.....
আচ্ছা আমাদের সরকারগুলো যদি এমন না হত, কিছু লোক যদি ঘুষখোর না হত অথবা জোচ্চোর, আমি কার সমালোচনা করে এখন সময় কাটাতাম? কিছু লোক অবশ্য সারা জীবন কারো প্রশংসা করে আমি যাকে বলি তেল মেরে দিব্যি সময় কাটায়। আমি পারি না।
হাতে এখন প্রচুর সময় দূরবীনটা অন্যদের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিজের দিকে তাক করানোর। আত্মসমালোচনা না থাকলে পরের সমালোচনা পরনিন্দা, পরচর্চায় পরিনত হয়।
মস্কো, ২৩ মার্চ ২০২০
সাবান ও দড়ি
দাদা, আপনি যেসব লেখেন, তাতে আপনাকে তো ঝুলাবে।
সে তো আনন্দের খবর।
মানে?
দেখ এক সময় আমাদের মত বিজ্ঞানীদের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। যে বেতন তাতে নুন আনতে পান্তা ফুরানো তো দূরের কথা, না নুন না পান্তা, কিছুই হত না। বন্ধুরা জিজ্ঞেস করত, " কিরে, কিভাবে চলছিস?" বলতাম, "দড়ি কেনার পয়সা হলে সাবান কেনার পয়সা থাকে না, আর সাবান যদি কিনতে পারি তো দড়ি কিনে পারি না।" ওরা হাসত। রুশ ভাষায় দড়ি আর সাবানের মিলন মানে গলায় দড়ি দেওয়া। গলায় দড়ি দেওয়ার উপায় যখন নেই তখন একটাই রাস্তা খোলা, যেভাবেই হোক বেঁচে থাকা। এখনও যে অবস্থার ড্রামাটিক উন্নতি ঘটেছে তা নয়। তবে পকেটের পয়সা খরচ করে গলায় দড়ি দেওয়ার ইচ্ছে মোটেও নেই। তাই কেউ যদি নিজেদের খরচে দড়ি আর সাবান কিনে দিতেই চায় আমাকে, এতে দুঃখের কি আছে?
দুবনা, ২৩ মার্চ ২০২০
Sunday, March 22, 2020
বিনোদন
বলুন তো সব দেশের সরকার এমন করছে কেন?
দেখুন, সবাইকে ঘরে বসিয়েছে (ভাগ্যিস পথে বসায়নি) । একটু বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে না?
দুবনা, ২৩ মার্চ ২০২০
ঘুষ
যারা ভাবছেন করোনাকেও ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করবেন তাদের বলি করোনা ঈশ্বর বা দেবতা নয়। সে পূজা, প্রার্থনা বা অন্য কোন প্রকার ঘুষ খায় না।
দুবনা, ২৩ মার্চ ২০২০
ভাগ্যিস
ভাগ্যিস মক্কা মদিনার লোকজন আমাদের ভোটার নয়, তাহলে আজও সেখানকার মসজিদগুলো খোলা রাখতে হত!
দুবনা, ২২ মার্চ ২০২০
দুবনা, ২২ মার্চ ২০২০
হাতে হাত রাখ ভাই
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বা ন্যাটো নয়, ইতালীর করোনা বিপর্যয়ে চীন আর কিউবার পর এবার ডাক্তার পাঠাল রাশিয়া। সামাজিক সাম্যতা ও সহযোগিতার হাত বাড়ানোর মানবিক ইচ্ছা পোষণের দিন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সাথে সাথে শেষ হয়ে যায়নি।
করোনা আতঙ্ক - করো না আতঙ্ক
ডাল সম্ভার দিয়ে হাঁচতে হাঁচতে জীবন শেষ। বেচারা এখন ভয়ে আছে প্রতিবেশীরা কেউ এটাকে করোনা ভাইরাসের সিম্পটম বলে ভলেন্টিয়ার না ডাকে!
দুবনা, ২২ মার্চ ২০২০
সময়
খুব যত্ন করে জীবনকে লেপ মুড়ি দিয়ে শুইয়ে রাখলাম। সকালে দেখি সব চেষ্টা বৃথা। সময়ের স্রোতে ভাসতে ভাসতে এক রাতেই জীবন অনেক দূরে চলে গেছে।
দুবনা, ২২ মার্চ ২০২০
দুবনা, ২২ মার্চ ২০২০
Saturday, March 21, 2020
সমালোচনা
আমরা সবাই সব কাজের যাকে বলে পজিটিভ সমালোচনা করি (অন্তত তাই ভাবি)। অতি চাপে লেবু যেমন তেতো হয়, অতি কথনে সমালোচনাও যে কখন পরনিন্দা, পরচর্চায় পরিনত হয় সেটা খেয়ালই করি না।
দুবনা, ২২ মার্চ ২০২০
দুবনা, ২২ মার্চ ২০২০
স্বাস্থ্য চিন্তা সুস্থ চিন্তা
ক্রিস্টিনা মেসেজ পাঠাল
পাপা, তুমি তেকিলা নিয়ে গেছ?
মনে পড়ছে না। গত পরশু তো কিছু আনিনি।
মেয়েদের ফ্রিজে ভালো ড্রিঙ্কস থাকলে আমি নিয়ে আসি। না না, আমি যে এসব খুব পছন্দ করি তা নয়। ওতে আমার আসিডিটি হয়। কিন্তু বাচ্চাদের স্বাস্থ্য বলে কথা। ওরা যখন ছোট ছিল, আমি প্রায়ই ওদের চকলেট খেয়ে ফেলতাম যাতে ওদের দাঁত নষ্ট না হয়। ওরা নিজেরাই দিত। আমি ইচ্ছে করেই নিজের জন্য আলদা প্যাকেট কিনতাম না, তাতে করে সেভা থেকে শুরু করে গুলিয়া পর্যন্ত সবাই আমাকে ভাগ দিত। দিনের শেষ দেখা যেত আমার ভাগটাই সবচেয়ে বড়। এখনও তাই। মস্কোর বাসায় ফ্রিজে ভালো ড্রিঙ্কস থাকলে আমি নিয়ে আসি। আমার পথ অনেকটাই পেরিয়ে এসেছি, তাই শরীর ভালো না থাকলেও কাজ চলে যাবে। ছেলেমেয়েদের এখনও অনেকটা পথে যেতে হবে!
দুবনা, ২১ মার্চ ২০২০
সংশয়
শুনলাম করোনা ঠেকাতে বাংলাদেশকে দশ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। ভয় হচ্ছে দেশে এখন করোনা বানিজ্য শুরু না হয়ে যায়।
দুবনা, ২১ মার্চ ২০২০
দুবনা, ২১ মার্চ ২০২০
গণতন্ত্র
দুর্যোগের সময় গণতন্ত্র চর্চা আসলে গণতন্ত্রের ম্যাক্সি পরে স্বৈরাচারে দীক্ষা নেওয়া।
দুবনা, ২১ মার্চ ২০২০
দুবনা, ২১ মার্চ ২০২০
Friday, March 20, 2020
ছদ্মবেশে করোনা
আশির দশকে যখন এইডস এর আবির্ভাব ঘটে সোভিয়েত ইউনিয়নে তখন বিভিন্ন রকম জোকের জন্ম হয়। রুশ ভাষায় এইডসকে বলে স্পিদ spid. যেহেতু রোগের আগমন ঘটে বিদেশ থেকে তাই অনেকে জোক করে একে বলত স্ক্রোমনি পাদারক ইনাস্ত্রাননোগো দ্রুগা বা বিদেশী বন্ধুর বিনীত উপহার। কেউ আবার বলত সাখার পেসোক ই দ্রাঝে মানে গুড়া চিনি আর জেলি বিন। এ দুটো ছিল ঘরে সামাগন বা মদ তৈরির উপকরণ। এখন দেখছি করোনা নিয়ে সেরকম ঘটনা। কেউ বলছে কোরান, রোজা, নামাজ। কেউ বলে কর রাম নাম। ভাইরাস রূপ বদলায়। মানুষ বদলায় না।
দুবনা, ২০ মার্চ ২০২০
ছুটি
স্কুল ছুটি, কলেজ ছুটি, সব সব ছুটি। এ সময়ে যে সব অসুখ বিসুখ অনুগত ভৃত্যের মত ঘড়ির কাটা ধরে শরীরের বিভিন্ন অংগে ডিউটি দেয় তাদের কিছু দিনের জন্য ছুটিতে পাঠালে কার কি ক্ষতি হত।
দুবনা, ২০ মার্চ ২০২০
দুবনা, ২০ মার্চ ২০২০
Thursday, March 19, 2020
করোনা ভোট
করোনা মৌসুমে নির্বাচন করা কি যুক্তিযুক্ত?
আলবাত যুক্তিযুক্ত। আগে নির্বাচনে লোকজন ভোট দিতে না এলে মিথ্যে অজুহাত খুঁজতে হত। এখন আর মিথ্যে বলে হাসির পাত্র হতে হবে না। এই সুযোগ কেউ ছাড়ে।
দুবনা, ২০ মার্চ ২০২০
আলবাত যুক্তিযুক্ত। আগে নির্বাচনে লোকজন ভোট দিতে না এলে মিথ্যে অজুহাত খুঁজতে হত। এখন আর মিথ্যে বলে হাসির পাত্র হতে হবে না। এই সুযোগ কেউ ছাড়ে।
দুবনা, ২০ মার্চ ২০২০
এমন যদি হত
এমন যদি হত
শুধু ঘুষের টাকায় করোনা ঘুরে বেড়াত
অথবা ধরত চেপে মিথ্যাবাদীর মুখ
হুঙ্কার দিয়ে অত্যাচারীর কাঁপিয়ে দিত বুক
দুবনা, ১৯ মার্চ ২০২০
শুধু ঘুষের টাকায় করোনা ঘুরে বেড়াত
অথবা ধরত চেপে মিথ্যাবাদীর মুখ
হুঙ্কার দিয়ে অত্যাচারীর কাঁপিয়ে দিত বুক
দুবনা, ১৯ মার্চ ২০২০
পিতা পুত্র
কেন যেন মনে হয় প্রচুর মানুষ জাতির পিতা বলে গলা ফাটায় যতটা না বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানাতে তার চেয়ে বেশি নিজেদের জাতির সন্তানের স্বীকৃতি লাভ করতে।
দুবনা, ১৯ মার্চ ২০২০
দুবনা, ১৯ মার্চ ২০২০
Wednesday, March 18, 2020
শপিং
চারিদিকে সবাই খাবার দাবার কিনে ঘর বোঝাই করছে। তাই বউ বলল
ঘরে তেমন চাল বা গ্রেচকা নেই। যাবে কিনতে?
কেন? করোনার হাতে মরার থেকে না খেয়ে মরা অনেক ভালো। অন্তত তাতে বিদ্রোহের স্বাদ থাকবে।
এইমাত্র ফোন এলো বউএর। বাইরে ঘুরতে গেছিল।
আমাকে ট্যাক্সি ডেকে দাও। ব্যাগটা বেশ ভারী।
লোকজন সবাই খেয়ে-দেয়ে করোনার জন্য লেপের মুড়ি দিয়ে অপেক্ষা করতে চায় কেন সেটাই বুঝলাম না। যতসব!
অবশ্য দুপুরে বউ কুকুরদের জন্যে ৫০ কেজি খাবার বুকিং দিল। এমতাবস্থায় নিজেদের খাবার না থাকলে কুকুরেরা লজ্জা পেতে পারে। সেটাও ভাবার বিষয়।
দুবনা, ১৮ মার্চ ২০২০
ছবি
বর্তমান সমাজ এক বিশাল ডরিয়েন গ্রে। মাথা তার আকাশ ছোঁয়া। ফটোশপে পালিশ করা স্বর্গীয় সৌন্দর্য তার দেহে। আর ভেতর? ঠিক সেই ছবির মত কদর্য। মাঝে মাঝে করোনারা সেটাই দেখায়।
দুবনা, ১৮ মার্চ ২০২০
দুবনা, ১৮ মার্চ ২০২০
Tuesday, March 17, 2020
গুজব
গুজব ছড়িয়েছে করোনার আক্রমণে আরও একজন মারা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল করোনার হাত থেকে বাঁচতে সে যে বস্তা বস্তা চাল ডাল আলু পটল কিনে ঘর ভরেছিল সেই পটলের বস্তা চাপা পড়েই সে পটল তুলেছে।
দুবনা, ১৭ মার্চ ২০২০
দুবনা, ১৭ মার্চ ২০২০
don't give up
How to kill time during the quarantine? Corona is attacking us mentally even before it arrives. Hopefully something will happen, someone will outlive the other (I mean, corona, quarantine and ourselves) and with less unknowns it will be easier to solve the equation.
Dubna, 17 March 2020
মোর ভাবনারে
অফিসে এসে শুনলাম ইন্সটিটিউট ৩১ মে পর্যন্ত কারেন্টেইনে। আমি সামারে যখন ছুটিতে যাই, তখনও কাজে আসি। অফিস তো বাসা। অফিসে না এলে খাবার হজম হয় না। ভেবে পাচ্ছি না কি করে সময় কাটবে। আমরা যারা তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যায় কাজ করি, তাদের মধ্যে একটা কথা চালু আছে "আমরা অফিসে আসি রেস্ট নিতে।" যেহেতু আমাদের কাজ মূলত চিন্তা করা আর লেখালেখি করা, বাড়ির লোকজন ভাবে আমরা আসলে কিছুই করছি না। ফলে এই বাজার করা, এই রান্না করা, এই বাচ্চাদের নিয়ে ঘোরা - এসব কাজ করায়। অফিসে সে ঝামেলা নেই। কম্পিউটারের সামনে বসে থাকত আর ভাব যত খুশি। ভাবতেই থাক, ভাবতেই থাক ...। আমার সুপারভাইজার বলতেন "ভাব বিজন ভাব..."
Monday, March 16, 2020
কৈ মাছ
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা "করোনা ভাইরাস, ঠান্ডা, গরম, ভিজা, স্যাতস্যাতে, শুকনা সব আবহাওয়ায় বেঁচে থাকে।"
এ যে দেখছি বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ
মস্কো, ১৬ মার্চ ২০২০
মন্দের ভালো
কোরোনার করুণায় ওয়াজ, পূজা, সভা, সমিতি, মিটিং, মিছিল - এসব যদি সময় ভাবেও বন্ধ হয়, দেশ শব্দ দূষণের হাত থেকে মুক্তি পাবে। কথায় বলে "নিয়েত খুদো বেজ দোবারা" মানে মন্দের মধ্যেও কিছু ভালো থাকে
মস্কো, ১৬ মার্চ ২০২০
মস্কো, ১৬ মার্চ ২০২০
ভাইরাস
এতো দিন ভাইরাসের দেখা তেমন একটা পাইনি। বেশ কিছুদিন পরে মস্কো এলাম। গতরাতে রাস্তায় তেমন কিছু চোঁখে পড়েনি। সকালে যখন ভার্সিটি যাই মনিকা বলল
তোমরা দোকানে যাবে না?
কেন?
সবাই চারিদিকে কেনাকাটা করছে, চাল গ্রেচ্কা এসব যদি কেন!
আমি কিছু না বলে কাজে চলে গেলাম। ছাত্ররা ছিল। আগামী সপ্তাহের প্ল্যান নিয়ে কথা বলতে একজন বললো
যদি ক্লাস চলে তাহলে আসব।
মানে?
পাশ থেকে ম্যাক্সিম বললো
মেইল এসেছে। হতে পারে আমরা ডিস্ট্যান্ট এডুকেশনে চলে যাব ৩১ তারিখ পর্যন্ত। এর মধ্যে সেভার কলেজ থেকে মেসেজ এল ক্লাসে না যেতে।
মেইল চেক করে দেখি সত্যিই তাই। বাসায় ফেরার পথে বরাবরের মতো দোকানে গেলাম। দেখি চাল, গ্রেচ্কা এসবের বাড়ন্ত।
বাসায় ফিরে দেখি এডিকের মেইল। ৩১ তারিখ পর্যন্ত হাতেগোণা কয়েক জনকে কাজে যেতে দেবে। বাড়ি থাকার নির্দেশ। মেইল করে বললাম "আমার নাম লিস্টে যোগ করতে, যেন অফিস যেতে পারি।" এডিকের ফোন, "তোমার কিছু জরুরি দরকার বলো আমরা করে দেব।"
কোরোনার করুণায় সবাই কোনঠাঁসা।
মস্কো, ১৬ মার্চ ২০২০
ভালোবাসা
অনেক দিন পরে মস্কোর রোদে ভিজলাম। ইলশে গুঁড়ি সোনালী রোদ গাল চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে। পায়ের নীচে ফুরফুরে সাদা বরফ, গায়ে রোদের উষ্ণ আদর, যেন এলব্রুসের উপরে দাঁড়িয়ে আছি। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া জানিয়ে দিচ্ছে শীত কন্যার ভালোবাসা।
মস্কো, ১৬ মার্চ ২০২০
মস্কো, ১৬ মার্চ ২০২০
Sunday, March 15, 2020
প্রোফাইল পিকচার
আকুল হয়ে বসে আছি কবে কোন বন্ধু করোনা ভাইরাসকে নিজের প্রোফাইল পিকচার করবে। অন্ততঃ এ ক্ষেত্রে বাংগালী যে হুজুগে নয় সেটা প্রমাণ করেছে। সাবাস।
মস্কো, ১৫ মার্চ ২০২০
মস্কো, ১৫ মার্চ ২০২০
ছি ছি
পশ্চিমা দুনিয়া করোনা ভাইরাস আমদানি নিয়ে রাশিয়ার উপর এমবার্গো জারি করছে না। সবাই কি রাশিয়ার দালাল হয়ে গেল নাকি? ছিঃ ওবামা ছি। ছি হিলারি ছি। ছি জনসন ছি।
মস্কোর পথে, ১৫ মার্চ ২০২০
মস্কোর পথে, ১৫ মার্চ ২০২০
গোয়ার
আমাদের ছাত্র সংগঠনে এক সদস্য ছিল। ভালো মন্দ ব্যাপার না সবাই যেদিকে ও তার বিপরীতে ভোট দিত। করোনা নিয়ে মন্ত্রীদের কাণ্ড কারখানা দেখে মনে হয় এমন লোক দেশে বিরল নয়।
মস্কোর পথে, ১৫ মার্চ ২০২০
মস্কোর পথে, ১৫ মার্চ ২০২০
হাঁসা হাঁসির হাসাহাসি
হাঁসির হাসিতে চমকে ওঠে হাঁসা
চোখ তার ছলছল কান্না দিয়ে ঠাঁসা
দুবনা, ১৫ মার্চ ২০২০
Saturday, March 14, 2020
সত্য
সত্য হতে হবে নিরপেক্ষ। সত্যের উপর যখনই ব্যক্তি বা রাষ্ট্রীয় মালিকানা স্থাপিত হয় তখন সত্যের বিচ্যুতি ঘটে। নিরপেক্ষ সত্য ব্যাখ্যা নির্ভর নয়, ঘটনার অবজেক্টিভ প্রতিফলন।
দুবনা, ১৫ মার্চ ২০২০
দুবনা, ১৫ মার্চ ২০২০
ভাই?
অবাক হচ্ছি ভেবে এখনও পর্যন্ত কেউ কেন করোনা ভাইরাসের আক্রমণকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার পরিণাম বলে গালি দিচ্ছে না! নাকি এ ভাই সেই ভাই নয়?
দুবনা, ১৪ মার্চ ২০২০
Friday, March 13, 2020
অতীত ভবিষ্যতে
অনেক দিন আগের কথা। তখন আরবের লোকেরা........
দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কথা শুনে মনে হয় আমরা সেই অনেক দিন আগের ভবিষ্যতের দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি।
দুবনা, ১৩ মার্চ ২০২০
দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কথা শুনে মনে হয় আমরা সেই অনেক দিন আগের ভবিষ্যতের দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি।
দুবনা, ১৩ মার্চ ২০২০
রাজনীতির ফাঁকফোকরে
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দিল্লী এখন শান্ত। অথবা আমি অশান্তির খবর পাচ্ছি না। আমার এসব খবরের মূল উৎস ফেসবুক। যখনই ফেসবুকে ঝড় উঠে বুঝি সেটা সমাজ বা দেশের ঝড়েরই প্রতিফলন।
দিল্লীর ঘটনায় ভারতে কেউ লাভবান হয়েছে কিনা জানি না তবে বাংলাদেশ সরকার দিল্লীর ঘোলা জলে মাছ খুব খারাপ ধরেনি। অনেকটা চুপিসারেই বিদ্যুতের মূল্য বাড়িয়েছে। এ যেন এক বাড়িতে আগুন লাগার সুযোগ নিয়ে পাশের বাড়িতে চুরি করা। এটা আমাদের সরকারকে ভবিষ্যতে জন বিরোধী বিল পাশের পথের সন্ধান দেবে।
অল্প খরচে জনবিরোধী বিল পাশের একটা কার্যকরী উপায় হচ্ছে বিএসএফএর কোন জোয়ানকে ঘুষ দিয়ে সীমান্তে কাউকে খুন করানো। তখন সবাই নিজেদের জীবনের প্রতিদিনের সমস্যা ভুলে বিএসএফ আর ভারতের শ্রাদ্ধে ব্যস্ত থাকবে আর সরকারও এই সুযোগে জিনিস পত্রের মূল্য বৃদ্ধি করবে।
কথায় আছে দেশপ্রেমের জন্য উচ্চ মূল্য দিতে হয়।
দুবনা, ১৩ মার্চ ২০২০
Thursday, March 12, 2020
করোনাকে কর করুণা
সবাই দেখছি শুধু করোনা ভাইরাস নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু আপনারা কি কেউ ভাবছেন যারা অন্য অসুখে ভুগছেন বা মারা যাচ্ছেন, তাদের মনের অবস্থা কি? তারা রোগের সাথে লড়াই করে বীরের মত মরছেন, কিন্তু আপনাদের অবহেলার কারণে তারা নিজেদের দুর্ভাগা মনে করছেন, আর নিজেদের মৃত্যুকে মনে করছেন অসম্মানজনক! অন্য রোগের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল হন, অন্য রোগীদের পাশে দাঁড়ান!
দুবনা, ১২ মার্চ ২০২০
কথা
ঘ
ঘরর
ঘেউ
গাব
ররররররররররর
ততি, তোসা চুপ কর।
কুকু
কিচ কিচ
মায়ের গলা শুনে তার কুকুর শাবকেরা ভোর সকালে কিচির মিচির করে উঠে পাখির মত
তুমি ওদের চুপ করতে বলতে পার না?
বারে, কুকুর তোমার আর শান্ত করব আমি। আমি কি পুলিশ নাকি?
পুলিশ কি না জানি না। তবে ওরা তোমাকে ভয় পায়। বল না ওদের চুপ করতে।
গঘঘঢডগঘততঢখঠুঊএঝদযঢঠফঢচঝদ
সব চুপ। কবরের নিস্তব্ধতা চারিদিকে।
কি বললে?
কি বললাম সেটা বড় কথা নয়। আসল কথা অবাক করা। এমন কিছু করা যা কেউ বুঝবে না অথচ এর পেছনে নিশ্চয়ই কোন গূঢ় তত্ত্ব আছে ভেবে মাথা ঘামাতে শুরু করবে।
তাতে কি?
তাতে আবার কি। তোমার বাছাধনেরা এখন অবাক হয়ে আমার বানীর মর্ম উদ্ধার করতে লেগে গেছে। দেখ না সবাই কেমন চুপ মেরে গেল। এখন কী বলার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিভাবে বলা আর বলে সবাইকে ভাবিয়ে তোলা। দেখনা রাজনীতিবিদদের, যা খুশি তাই বলে আর জনগণ ভাবতে শুরু করে। যখন জনতা সেসব কথার মর্মোদ্ধারে ব্যস্ত ঠিক তখনই তারা সবচেয়ে জন বিরোধী আইনগুলো পাশ করিয়ে নেয়।
দুবনা, ১২ মার্চ ২০২০
Tuesday, March 10, 2020
মুক ও বধির কাহিনি
ছবিটা লেপ্টে আছে মনের আকাশে
চুপচাপ সারাদিন সে শুধুই হাসে
অন্তহীন তার নীরবতা আমি বধির
প্রেম ঘৃণার ইঁদুর দৌড় জীবন অস্থির
দুবনা, ১১ মার্চ ২০২০
চুপচাপ সারাদিন সে শুধুই হাসে
অন্তহীন তার নীরবতা আমি বধির
প্রেম ঘৃণার ইঁদুর দৌড় জীবন অস্থির
দুবনা, ১১ মার্চ ২০২০
করোনা ভোট
রাজা, রানী, মন্ত্রী, সেনাপতি, নেতা, নেত্রী কেউই মানুষকে পথে আনতে পারে না (এরা মানুষকে পথে বসাতেই ওস্তাদ )। অথচ করোনা ভাইরাস বড় ভাইয়ের মত কিভাবে সবাইকে সোজা করে ফেলল। আগামী নির্বাচনে করোনা দাঁড়ালে তাকে রুখবে কে?
দুবনা, ১০ মার্চ ২০২০
অবাক কাণ্ড
জীবদ্দশায় যারা তোমার পেছনে লেগে জীবনকে দুর্বিসহ করে তোলে মৃত্যুর পর এরাই তোমার সম্পত্তির ভাগ পেতে সবচেয়ে বেশি উঠেপড়ে লাগে
দুবনা, ১০ মার্চ ২০২০
দুবনা, ১০ মার্চ ২০২০
Monday, March 9, 2020
বর্ণাশ্রম
আমরা কথায় কথায় বর্ণাশ্রম প্রথার নিন্দা করি, এ জন্যে হিন্দুদের বিশেষ করে ব্রাহ্মণদের পিণ্ডি চটকাই। কিন্তু আমরা নিজেরা কি এর ঊর্ধ্বে?
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে আমাদের লোকজন বাপ, দাদা, মামা, চাচার পরিচয়ে পরিচিত হতে চায়, সেই পরিচয়ে চাকরি বাকরি পেতে চায়। এমন কি কোন নেতা যদি আপনার বাবার ফুপাতো বোনের খালার ননদের জায়ের তালতো ভাইয়ের মামাতো বোনের হবু বরের দুলাভাইও হয়, আমরা সেই সম্পর্ক ধরে সমাজে আমাদের অবস্থান নির্ণয় করতে চাই। ওটাকে ব্যবহার করে আমরা চাকরি খুঁজি, ব্যাংক লোণ নিই, দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়াই। এভাবে কখন যে আমরা নিজেদের অজান্তেই ঘৃণিত বর্ণাশ্রম প্রথার জালে নিজেদের জড়িয়ে ফেলি, সেটা বুঝতেই পারি না।
দুবনা, ১০ মার্চ ২০২০
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে আমাদের লোকজন বাপ, দাদা, মামা, চাচার পরিচয়ে পরিচিত হতে চায়, সেই পরিচয়ে চাকরি বাকরি পেতে চায়। এমন কি কোন নেতা যদি আপনার বাবার ফুপাতো বোনের খালার ননদের জায়ের তালতো ভাইয়ের মামাতো বোনের হবু বরের দুলাভাইও হয়, আমরা সেই সম্পর্ক ধরে সমাজে আমাদের অবস্থান নির্ণয় করতে চাই। ওটাকে ব্যবহার করে আমরা চাকরি খুঁজি, ব্যাংক লোণ নিই, দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়াই। এভাবে কখন যে আমরা নিজেদের অজান্তেই ঘৃণিত বর্ণাশ্রম প্রথার জালে নিজেদের জড়িয়ে ফেলি, সেটা বুঝতেই পারি না।
দুবনা, ১০ মার্চ ২০২০
মৃত্যু
মাস্কের দাম তিন শ। এভাবে চললে করোনায় না মরলেও করোনার ভয়ে আর মূল্যবৃদ্ধির গ্যারাকলে যদি কিছু লোক মারা যায় তাতে অবাক হব না। এখন একটাই মন্ত্র "আমি ভয় করব না ভয় করব না "
দুবনা, ০৯ মার্চ ২০২০
দুবনা, ০৯ মার্চ ২০২০
করোনা হিজাব
দেশে শুনলাম মাস্ক আর মাক্স বিতর্কে অনেক হতাহত। এত ঝামেলায় না গিয়ে একে "করোনা হিজাব" নাম দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়।
দুবনা, ০৯ মার্চ ২০২০
দুবনা, ০৯ মার্চ ২০২০
রবির আলো
রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে আবার চলছে বাকযুদ্ধ। সোভিয়েত ইউনিয়নে লেনিনকে এক সময় চিরতা পাতার জলের মত খাওয়ানো হত। বাংলাদেশে এখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তেমনটা ঘটছে। ফলে এদের কেউ যতটা না বুকে ধারণ করে তার চেয়ে বেশি ব্যবহার করে উপরে ওঠার সিঁড়ি হিসেবে। অনেকেই শেলফ ভর্তি বই রাখেন পড়তে নয়, দেখাতে। রবীন্দ্র সঙ্গীত আজ মধ্যবিত্ত বাঙালির জাতে ওঠার এক সহজ কিন্তু মোক্ষম অস্ত্র। রবীন্দ্র চর্চা শুধু পড়ার ব্যাপার নয়, তাঁকে, তাঁর লেখায় প্রচ্ছন্ন ভাবে ছড়িয়ে থাকা ভাবনাকে ধারণ করার ব্যাপার। রবীন্দ্রনাথ আলো বাতাসের মত থাকবেন বাংলার আকাশে বাতাসে, আমরা কতটুকু সেটা গ্রহণ করতে পারব তার উপর নির্ভর করবে আমাদের মানসিক ও মানবিক বিকাশ।
দুবনা, ০৯ মার্চ ২০২০
বিশ্বাসের প্রশ্ন
প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য জানা, জ্ঞান অর্জন করা। এখানে বিশ্বাসের স্থান নেই, আছে প্রতিটি প্রাপ্তিকে যাচাই করে নতুন রহস্য জানার জন্য অবিরাম যাত্রা। জ্ঞান কোন স্থির বস্তু নয়, আমাদের জ্ঞানের পরিধি যত বিস্তৃত হয়, অজানার সীমানাটাও ততই দূরে সরে যায়। এ এক অন্তহীন প্রক্রিয়া। আনন্দময় প্রক্রিয়া।
দুবনা, ০৯ মার্চ ২০২০
Sunday, March 8, 2020
কুক
নারী দিবসে মাশরুম দিয়ে মুরগি (মোরগও হতে পারে) ও কার্প মাছ রান্না করলাম। মান বাঁচাল কিয়েভস্কি তোর্ত (কেক) আর জর্জিয়ান ভিনো (ওয়াইন) киндзмараули।
দুবনা, ০৮ মার্চ ২০২০
লিটমাস টেস্ট
শুনলাম দিল্লির ঘটনার রেশ ধরে চট্টগ্রামে মন্দিরের উপর আক্রমণ হয়েছে। এসব ঘটনা অনেকটা লিটমাস হিসেবে কাজ করে। এ ঘটনায় আপনার প্রতিক্রিয়াই বলবে দিল্লির ঘটনার প্রতিবাদে আপনি মানবিক ছিলেন না সাম্প্রদায়িক? এসবও প্রেগনেন্সির মত। আপনি হয় মানবিক নয় সাম্প্রদায়িক। কোন হাফ টোন নেই।
দুবনা, ০৮ মার্চ ২০২০
নারী পুরুষের লড়াই
পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে বৈচিত্র্য সেটা প্রকৃতিদত্ত। কথা ছিল নারী ও পুরুষ ঐ বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যবন্ধনে গড়বে এক পূর্ণ মানব জাতি। তাদের এই ঐক্যের নাম হবে হারমনি। প্রাকৃতিক কারণে দায়িত্বের ভিন্নতা সত্বেও অধিকারে আমরা হব এক। এটাই হবে নারী ও পুরুষের সম্মিলিত লড়াই। আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারী পুরুষ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ভালবাসা।
দুবনা, ০৮ মার্চ ২০২০
দুবনা, ০৮ মার্চ ২০২০
Saturday, March 7, 2020
দাবি
শ্রমের লিঙ্গ নাই, লিঙ্গ আছে বেতনের। শ্রমের মত পারিশ্রমিকও লিঙ্গ বিহীন হোক।
দুবনা, ০৭ মার্চ ২০২০
দুবনা, ০৭ মার্চ ২০২০
মুক্তিহীন স্বাধীনতা
এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম
স্বাধীনতা পেয়েছি মুক্তি এখনও বহু দূর
পরাজিত দানো ছায়ার মত আশেপাশে করে ঘুরঘুর
ভোটের ধর্ম ধর্মের ভোট মিলেমিশে আজ একাকার
গহীন আঁধারে সূর্য ওঠাতে তোমাকেই চাই বারবার
দুবনা, ০৭ মার্চ ২০২০
Friday, March 6, 2020
বর
আচ্ছা, বলুন তো বন্ধুবর মানে কি?
যদি কোন মেয়ে প্রেম করে বিয়ে করে, মানে তার বন্ধু যখন বর হয়ে যায় তাকে বলে বন্ধুবর! একই কথা প্রযোজ্য মান্যবর, গোবর ইত্যাদির ক্ষেত্রেও।
দুবনা, ০৬ মার্চ ২০২০
শিক্ষা সফর
১০০ জন কর্মকর্তা বিদেশে যাচ্ছেন পুকুর খনন শিখতে। এরপর কতজন পুকুর চুরি শিখতে যাবেন সে খবর কখনই আলোর মুখ দেখবে না।
দুবনা, ০৬ মার্চ ২০২০
দুবনা, ০৬ মার্চ ২০২০
Thursday, March 5, 2020
রোগ
বাঙ্গালী অনেক আগে ছিল পরশ্রী কাতর। এরপর সে পরস্ত্রী কাতরতা রোগে ভুগতে শুরু করে। বর্তমানে সে পরদেশপ্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। যা কিছু পর তাকে আপন করে নেওয়ার এক দুর্বার ইচ্ছা আজ বাঙ্গালীকে তাড়িত, বিতাড়িত আর প্রতারিত করছে।
দুবনা, ০৬ মার্চ ২০২০
টুপির হাসিকান্না
গতকাল দুপুরে অফিস যাচ্ছি, চোখ তুলে দেখি এক লোক
আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। এমনটা প্রায়ই হয়। আমাকে দেখে অনেকেই হাসে। এক সময়
বৌ বলত আমাকে দেখে নাকি সমস্ত দুবনা হাসে। আমি বলতাম "ভালই তো। এই কষ্টের
সময়ে কারও মুখে যদি হাসি ফোটাতে পারি, মন্দ কি?" কিন্তু ইদানীং আমার প্রায়ই
জানতে ইচ্ছে করে আমাকে দেখে কেউ কেউ মুচকি হাসে কেন? না, এটা বন্ধুত্বের
হাসি নয়, উদ্ভট কিছু দেখে হাসা।
এতদিন মনে করতাম আমার টুপির জন্য কেউ কেউ হাসে। কিন্তু আজ তো গ্রীন টুপি মাথায় ছিল। ভারী ঝামেলা তো। জানি আমি টুপি প্রায়ই উল্টো পাল্টা করে পরি, তবে কি তাতারদের তিবুতেইকা বা উজবেকদের গোল টুপি বা ইহুদীদের জাম্বুরার অর্ধেকের একটু কম কাটলে যেমন লাগে তেমন টুপি পরা? তাহলে আর সেটা ঠিক না উল্টো করে পরছি সে ঝামেলা থাকবে না। কিন্তু আমি তো টাক লুকানোর জন্য টুপি পরি না, পরি ঠাণ্ডা এড়াতে। মানে বছরের অনেকটা সময় আমি আমার সাদাকালো চুলগুলো পতাকার মত বাতাসে উড়িয়েই ঘুরে বেড়াই। তার মানে টুপি কোন ব্যাপার নয়। তাহলে? জিজ্ঞেস করব নাকি কাউকে?
১৯৯৯ সাল। ইতালী থেকে ফিরে দেখি বৌ আন্তন আর মনিকাকে সাঁতার কাটতে পাঠাচ্ছে সুইমিং পুলে। বৌ নিজে সাঁতার জানে না, তাই আমাকে পাঠাল ওদের দেখাভাল করতে। আমি তেমন ভালো সাঁতার জানি না, তবে জলে পড়লে ডোবার আগে কয়েক মিনিট হাবুডুবু খাবার মত হাতপা নাড়তে পারি। কি আর করা? গেলাম সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে। আমি যখন সাঁতার কাটি দেখি সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ভাবি এখানে আমি একমাত্র কালো মানুষ, তাই হয়তো ওরা এভাবে তাকিয়ে থাকে। একদিন যখন সাঁতার কাটছি আমার ল্যাবের এক মহিলা সাঁতার কাটতে কাটতে আমার পাশে এসে বলল, "তুমি যেভাবে সাঁতার কাট দেখে মনে হয় তুমি এই বুঝি ডুবে মরবে।" আমি কিছু না বলে সোজা চলে গেলাম ট্রেইনার নিকিতিনের কাছে। বললাম "আমাকে সাঁতার শেখাও।" "নো প্রব্লেম। শুধু আগে যা জানতে সব ভুলে যেতে হবে।" " যা বলবে তাই করব, শুধু ঠিকঠাক সাঁতার কাটতে শেখাও।"
গতকাল আমার এটাই মনে পড়ল। আর ভাবলাম, যদি কেউ বলে তুমি যেভাবে হাঁট, তাতে মনে হয় এই বুঝি পড়ে যাবে। তাহলে? এই বয়সে নতুন করে হাঁটতে শেখা খুব রিস্কি। কিছু লোক না হয় হাসুক, তাতে কি বা এসে যায়।
দুবনা, ০৫ মার্চ ২০২০
এতদিন মনে করতাম আমার টুপির জন্য কেউ কেউ হাসে। কিন্তু আজ তো গ্রীন টুপি মাথায় ছিল। ভারী ঝামেলা তো। জানি আমি টুপি প্রায়ই উল্টো পাল্টা করে পরি, তবে কি তাতারদের তিবুতেইকা বা উজবেকদের গোল টুপি বা ইহুদীদের জাম্বুরার অর্ধেকের একটু কম কাটলে যেমন লাগে তেমন টুপি পরা? তাহলে আর সেটা ঠিক না উল্টো করে পরছি সে ঝামেলা থাকবে না। কিন্তু আমি তো টাক লুকানোর জন্য টুপি পরি না, পরি ঠাণ্ডা এড়াতে। মানে বছরের অনেকটা সময় আমি আমার সাদাকালো চুলগুলো পতাকার মত বাতাসে উড়িয়েই ঘুরে বেড়াই। তার মানে টুপি কোন ব্যাপার নয়। তাহলে? জিজ্ঞেস করব নাকি কাউকে?
১৯৯৯ সাল। ইতালী থেকে ফিরে দেখি বৌ আন্তন আর মনিকাকে সাঁতার কাটতে পাঠাচ্ছে সুইমিং পুলে। বৌ নিজে সাঁতার জানে না, তাই আমাকে পাঠাল ওদের দেখাভাল করতে। আমি তেমন ভালো সাঁতার জানি না, তবে জলে পড়লে ডোবার আগে কয়েক মিনিট হাবুডুবু খাবার মত হাতপা নাড়তে পারি। কি আর করা? গেলাম সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে। আমি যখন সাঁতার কাটি দেখি সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ভাবি এখানে আমি একমাত্র কালো মানুষ, তাই হয়তো ওরা এভাবে তাকিয়ে থাকে। একদিন যখন সাঁতার কাটছি আমার ল্যাবের এক মহিলা সাঁতার কাটতে কাটতে আমার পাশে এসে বলল, "তুমি যেভাবে সাঁতার কাট দেখে মনে হয় তুমি এই বুঝি ডুবে মরবে।" আমি কিছু না বলে সোজা চলে গেলাম ট্রেইনার নিকিতিনের কাছে। বললাম "আমাকে সাঁতার শেখাও।" "নো প্রব্লেম। শুধু আগে যা জানতে সব ভুলে যেতে হবে।" " যা বলবে তাই করব, শুধু ঠিকঠাক সাঁতার কাটতে শেখাও।"
গতকাল আমার এটাই মনে পড়ল। আর ভাবলাম, যদি কেউ বলে তুমি যেভাবে হাঁট, তাতে মনে হয় এই বুঝি পড়ে যাবে। তাহলে? এই বয়সে নতুন করে হাঁটতে শেখা খুব রিস্কি। কিছু লোক না হয় হাসুক, তাতে কি বা এসে যায়।
দুবনা, ০৫ মার্চ ২০২০
Wednesday, March 4, 2020
Tuesday, March 3, 2020
তেলের খনি
সৌদি আরবের তেল ফুরাবে কিন্তু বাংলাদেশের তেল কোনদিন শেষ হবেনা। বাকী রইল শুধু এ তেল দিয়ে গাড়ির চাকা ঘোরানোর উপায় আবিস্কার করা।
দুবনা, ০৪ মার্চ ২০২০
দুবনা, ০৪ মার্চ ২০২০
কালা
গতকাল মস্কো থেকে যখন দুবনা ফেরার কার বুকিং দিই, কমেন্টে লেখা ছিল ড্রাইভার কালা, তাই কোন প্রশ্ন থাকলে যেন হোয়াটস আপ বা ওদের মেসেঞ্জারে লিখে করি। ভাবলাম এটা লিখেছে যাতে লোকজন অযথা ডিস্টার্ব না করে। রাত ৯ টায় আলতুফিয়েভা এসে ওকে ফোন করলাম, কিন্তু ফোন ধরল না। তাই লিখলাম
তুমি কোথায়?
এসএমএস জানাল "আমি দশ মিনিট পরে চলে আসব।"
আমি দাঁড়িয়ে আছি। দশ মিনিট কবে পার হয়ে গেছে। ফোন করলাম বার দুই, কোন উত্তর নেই। যখন কুঁড়ি মিনিট পার হয়ে গেল, আমি লিখলাম
তুমি এখন কোথায়?
আমি চলে এসেছি। গাড়ির নম্বর ***।
আমি ওর গাড়ি খুঁজতে থাকি। এদিক সেদিক ঘুরি। কাছে গিয়ে নম্বর দেখি। তখন একটা গাড়ি হর্ন দিল। আমি এতক্ষন যেখানে দাঁড়িয়ে ওর অপেক্ষা করছিলাম, তার দু মিটার দূরে আমার ঠিক সামনে ও গাড়ি পার্ক করেছিল। গাড়ি পেয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। দেখি অন্য যাত্রীরা অপেক্ষা করছে। ছিটের পেছনে লেখা ড্রাইভার কালা।
রাতে এই সময় রাস্তায় বড় বড় গাড়ি দিয়ে বোঝাই, এক শহর থেকে আরেক শহরে মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। ও শা শা করে ওদের পেছনে ফেলে চলে যাচ্ছে। বেশ রিস্কি ড্রাইভিং। কিন্তু কিছু বলার সুযোগ নেই। ও শুনতে পাবে না।
রাতে এলে সাধারণত বাসায় পৌঁছে দেয়, সেটাও বলার উপয় ছিল না। ও নামিয়ে দিল বাসা থেকে ৫০০ মিটার দূরে। হালকা ঠাণ্ডায় এ হাঁটাটা খারাপ লাগেনি, পথে সুপার মার্কেট ঘুরে গেলাম। আর মনে মনে ভাবলাম, ও না হয় কানে শোনে না, কিন্তু সহযাত্রীরা তো ফোন করতে পারত, ওদের এতটা সময় বসে থাকে হত না।
আজ দেখলাম ওর এসএমএস "আমি পৌঁছে গেছি। ২১-১০" আর একটা মিস কল। আমাকে প্রায়ই লোকজন বলে ফোন করে নাকি পাওয়া যায় না। এমন হয়, আমি কয়েকদিন পরে এসব মিস কল দেখি।
নিজের মনেই সন্দেহ জাগল আমাদের দুজনের মধ্যে আসলে কে বেশি কালা।
দুবনা, ০৩ মার্চ ২০২০
বিশ্ব বেহায়া
৪ কোটি টাকার গাড়ির মূল্য দেখানো হয়েছে ৯০ কোটি। এরা শুধু চোরই নয় নির্লজ্জ বেহায়াও বটে।
দুবনা, ০৩ মার্চ ২০২০
দুবনা, ০৩ মার্চ ২০২০
ত্যাগ
প্রাণেরা দেহ ত্যাগ করে আর দেহরা প্রাণ ত্যাগ করে। দেহ আর প্রাণ যেটাই ত্যাগ করুক না কেন দিন শেষে সবাই মরে যায়।
দুবনা, ০৩ মার্চ ২০২০
দুবনা, ০৩ মার্চ ২০২০
শিরোনাম
স্বর্গে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। ভগবান (মর্ম) আহত।
স্বর্গের আজকের পত্রিকার শিরোনাম
দুবনা, ০৩ মার্চ ২০২০
স্বর্গের আজকের পত্রিকার শিরোনাম
দুবনা, ০৩ মার্চ ২০২০
Monday, March 2, 2020
মানবিক মন
সোভিয়েত আমলে একটা জোক ছিল।
এক সোভিয়েত আর এক আমেরিকানের সাথে দেখা প্যারিসে। বিয়ারের গ্লাসে চুমুক দিয়ে গল্প করতে করতে আমেরিকান বললো
-জানিস আমার দেশে গণতন্ত্র। চাইলেই হোয়াইট হাউজের সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে পারি "নিক্সন নিপাত যাক!"
সোভিয়েত লোকটা তখন বললো,
- তাই বল! এর নাম গণতন্ত্র? তাহলে আমার দেশেও তো গণতন্ত্র রমরমা।
- তুই কি করতে পারিস?
- আমিও রেড স্কয়ারে গলা ফাটিয়ে বলতে পারি "নিক্সন নিপাত যাক!"
দিল্লীর ঘটনা আবারও প্রমান করলো আমাদের দেশে সোভিয়েত মনা মানুষেরা একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। জয় সোভিয়েত ইউনিয়নের জয়।
মস্কো, ০২ মার্চ ২০২০
এক সোভিয়েত আর এক আমেরিকানের সাথে দেখা প্যারিসে। বিয়ারের গ্লাসে চুমুক দিয়ে গল্প করতে করতে আমেরিকান বললো
-জানিস আমার দেশে গণতন্ত্র। চাইলেই হোয়াইট হাউজের সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে পারি "নিক্সন নিপাত যাক!"
সোভিয়েত লোকটা তখন বললো,
- তাই বল! এর নাম গণতন্ত্র? তাহলে আমার দেশেও তো গণতন্ত্র রমরমা।
- তুই কি করতে পারিস?
- আমিও রেড স্কয়ারে গলা ফাটিয়ে বলতে পারি "নিক্সন নিপাত যাক!"
দিল্লীর ঘটনা আবারও প্রমান করলো আমাদের দেশে সোভিয়েত মনা মানুষেরা একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। জয় সোভিয়েত ইউনিয়নের জয়।
মস্কো, ০২ মার্চ ২০২০
Sunday, March 1, 2020
গরু
আমার মনে হয় গেরুয়া বাহিনী কেন গরুকে দেবতা মনে করে সেই উত্তর পেয়েছি। স্কুলে গরুর রচনা লিখতাম। গরু শান্তিপ্রিয় প্রানী। সে দুধ দেয়, মাংস দেয়, চাষাবাদে সাহায্য করে। গরুর গোবর সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এক কথায় গরু মঙ্গলের প্রতিমূর্তি। আর গেরুয়াদের দিকে তাকান। এরা দাঙ্গা লাগায়, অশান্তি আনে, জনজীবন অতিষ্ঠ করে তোলে - এক কথায় অমঙ্গলের প্রতীক। এই দানবের কাছে গরু দেবতা হবে না তো কে হবে?
দুবনা, ০১ মার্চ ২০২০
গিরগিটি
একদল বিপদে মানুষ, বিপদ কেটে গেলে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খৃস্টান। আরেক দল বিপদ না হলে অমানুষ, বিপদে পড়লে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খৃস্টান। আসলে এরা সবাই গিরগিটি।
দুবনা, ০১ মার্চ ২০২০
Subscribe to:
Posts (Atom)