গতকাল
মনিকা ফোন করে বলল, সোমবার ও খুব ব্যস্ত ছিল, তাই কথা বলতে পারেনি।
শনিবার আমি যখন মিটিং শেষে বাসায় ফিরি, অনেক রাত। ও বাসায় ছিল না। শনি রবিবার ছুটি থাকলে ওরা বন্ধুবান্ধবীরা মিলে ক্যাফে বা বারে হই হুল্লোড় করে রাত কাটিয়ে দেয়। রবিবার সকালে এসেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। দুপুরে আলু ভাজা খেতে চাইল। করে দিলাম। দুপুরেই বেরুনোর কথা ছিল, গল্পে গল্পে রাত। তাই ঘুরতে গেল বেশ দেরি করেই। আমার সকালে ক্লাস ছিল, তাই অপেক্ষা করিনি। সকালে উঠেও ওকে দেখলাম না। ক্রিস্টিনা, সেভা, আমি যে যার মত বেড়িয়ে গেলাম নিজের নিজের কাজে। ক্লাস শেষে ভাবলাম মনিকাকে ফোন করে জানি সব ঠিকঠাক আছে কি না। কেননা দেখা না করে দুবনা চলে গেলে নিজেরই দুশ্চিন্তা হবে।
- পাপ, তুমি একেবারে অসময়ে আমাকে ফোন করছ। আমি কাজে। দম ফেলার সময় নেই।
আমি কিছু বলার আগেই লাইনটা কেটে দিল। আমি অবশ্য এতেই খুশি। ফোন করাটা শুধু কিছু বলা নয়, গলাটা শোনা, জানা যে ওর কিছু হয়নি। সেই ছোট বেলায় ওরা যখন ঘুমুতো, যতক্ষন পর্যন্ত না দেখতাম বুকটা ওঠা নামা করছে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতাম। অনেক সময় নাকের কাছে হাত রেখে বোঝার চেষ্টা করতাম শ্বাস প্রশ্বাস নিচ্ছে কি না। শুধুমাত্র সে সম্পর্কে নিশ্চিত হলেই নিজের বুকে আটকে থাকা দমটা ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতো। ফোনটাও তাই।
আমি তখনই বুঝেছিলাম মনিকা নিজেকে একটু অপরাধী মনে করবে এভাবে উত্তর দেওয়ার জন্য। আর সময় পেলেই ফোন করে সরি বলবে।
শনিবার আমি যখন মিটিং শেষে বাসায় ফিরি, অনেক রাত। ও বাসায় ছিল না। শনি রবিবার ছুটি থাকলে ওরা বন্ধুবান্ধবীরা মিলে ক্যাফে বা বারে হই হুল্লোড় করে রাত কাটিয়ে দেয়। রবিবার সকালে এসেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। দুপুরে আলু ভাজা খেতে চাইল। করে দিলাম। দুপুরেই বেরুনোর কথা ছিল, গল্পে গল্পে রাত। তাই ঘুরতে গেল বেশ দেরি করেই। আমার সকালে ক্লাস ছিল, তাই অপেক্ষা করিনি। সকালে উঠেও ওকে দেখলাম না। ক্রিস্টিনা, সেভা, আমি যে যার মত বেড়িয়ে গেলাম নিজের নিজের কাজে। ক্লাস শেষে ভাবলাম মনিকাকে ফোন করে জানি সব ঠিকঠাক আছে কি না। কেননা দেখা না করে দুবনা চলে গেলে নিজেরই দুশ্চিন্তা হবে।
- পাপ, তুমি একেবারে অসময়ে আমাকে ফোন করছ। আমি কাজে। দম ফেলার সময় নেই।
আমি কিছু বলার আগেই লাইনটা কেটে দিল। আমি অবশ্য এতেই খুশি। ফোন করাটা শুধু কিছু বলা নয়, গলাটা শোনা, জানা যে ওর কিছু হয়নি। সেই ছোট বেলায় ওরা যখন ঘুমুতো, যতক্ষন পর্যন্ত না দেখতাম বুকটা ওঠা নামা করছে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতাম। অনেক সময় নাকের কাছে হাত রেখে বোঝার চেষ্টা করতাম শ্বাস প্রশ্বাস নিচ্ছে কি না। শুধুমাত্র সে সম্পর্কে নিশ্চিত হলেই নিজের বুকে আটকে থাকা দমটা ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতো। ফোনটাও তাই।
আমি তখনই বুঝেছিলাম মনিকা নিজেকে একটু অপরাধী মনে করবে এভাবে উত্তর দেওয়ার জন্য। আর সময় পেলেই ফোন করে সরি বলবে।
দুবনা, ৩১ অক্টোবর ২০১৮
No comments:
Post a Comment