আমার যতদূর মনে
পড়ে ছোট বেলায় আমরা একে অন্যকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতাম বিসর্জনের পরের সকালে।
গ্রামের সবাই একে অন্যের বাড়ি যেত শুভেচ্ছা জানাতে। সমবয়েসীরা পরস্পরের সাথে
কোলাকুলি করত, ছোটরা বড়দের প্রনাম করত, আর বড়রা তাদের করতেন আশীর্বাদ। মিষ্টিমুখ
করান হত সবাইকে। কোন বাড়িতে দিত দোকানের মিষ্টি, কোথাও বাড়ির তৈরি নারু আর মোয়া,
কোথাও বা বাতাসা। তবে সময় পালটে গেছে। আবহাওয়ার মতই কখন যে কোত্থেকে কোন শুভেচ্ছা
উড়ে এসে জুড়ে বসে তার ঠিক নেই। তাই রাতে ঘুমানোর আগে টুপিটা উল্টে রাখলাম যদি কেউ
দয়া করে আগে থেকেই শুভেচ্ছার ডালি নিয়ে হাজির হয়। না, ভুল করিনি। সকালে ঘুম ভাঙতেই
দেখলাম শুভেচ্ছা, ভালোবাসা, আদর এমনকি প্রনামে টুপি উপচে পড়ছে।
- দাদা, প্রনাম নিও।
- মাথা খারাপ! শোণ এমনিতেই আমার বদ হজম। প্রনাম তো একেবারেই হজম হবে না। তুই বরং এক কাজ কর, প্রনামের বদলে আমাকে কিছু আদর, ভালোবাসা আর কিছু শুভেচ্ছা পাঠিয়ে দে।
- কি যে বল, উপহার কি ফেরৎ দেয়া বা নেয়া যায়?
- অন্যদের কথা জানি না। তবে আমি এসব নিয়মের বাইরে। আমি ওগুলো খুব ভালো করে প্যাকেট করে দিচ্ছি। তুই চাইলে অন্য কাউকে দিয়ে দিস, না হলে শিকেয় তুলে রাখিস। নষ্ট হবে না।
- দাদা, প্রনাম নিও।
- মাথা খারাপ! শোণ এমনিতেই আমার বদ হজম। প্রনাম তো একেবারেই হজম হবে না। তুই বরং এক কাজ কর, প্রনামের বদলে আমাকে কিছু আদর, ভালোবাসা আর কিছু শুভেচ্ছা পাঠিয়ে দে।
- কি যে বল, উপহার কি ফেরৎ দেয়া বা নেয়া যায়?
- অন্যদের কথা জানি না। তবে আমি এসব নিয়মের বাইরে। আমি ওগুলো খুব ভালো করে প্যাকেট করে দিচ্ছি। তুই চাইলে অন্য কাউকে দিয়ে দিস, না হলে শিকেয় তুলে রাখিস। নষ্ট হবে না।
হ্যাঁ বন্ধুরা,
যারা সারাদিন বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, সবাইকে শরতের সোনালি শুভেচ্ছা। ভালো
থাকবেন সবাই। রঙে রঙে রঙিন হয়ে উঠুক আপনাদের চলার পথ।
দুবনা, ১৯
অক্টোবর ২০১৮
No comments:
Post a Comment