Tuesday, July 31, 2018
নিঃসঙ্গের সঙ্গী
আলোময়দা প্রশ্ন করলো: ফেস-বুক যুগের আগে পৃথিবীর মানুষ কি নিঃসঙ্গ ছিল?
১৯৮৩ তে যখন মস্কো আসি, প্রায় প্রতি মঙ্গলবারই বিমান আসার পর অপেক্ষায় থাকতাম বাড়ির চিঠির জন্য, কেউ দেশে গেলে তার হাতে চিঠি পাঠাতাম। তাছাড়া আমি বিভিন্ন শহরে থাকা অনেককেই অনেক চিঠি লিখতাম, পাঠাতাম চিরকুট, মস্কো বন্ধুদের দরজায় আমার রাখা চিরকুটগুলো জড়ো করলে তো একটা মোটা বই হয়ে যেত। নিঃসঙ্গতা ব্যক্তিগত, কেউ হাজারো লোকের মাঝেও নিঃসঙ্গ, কেউ একা একাও হাজারো সাথীর মাঝে। অনেক মানুষ যেমন সুখী হতে পারে না, সব থাকার পরও চুলকিয়ে চুলকিয়ে অসুখী হয়, ঠিক তেমনি অনেকেই অনেকের মাঝে থেকেও একা হয়ে পড়ে। মনে আছে যখন খুব একা থাকতে ইচ্ছে করতো মাঝে মধ্যেই হোস্টেলের পেছনে বনে যেতাম ক্যামেরা হাতে, তবে তার চেয়েও বেশি যেতাম আরবাট স্ট্রিটে - হাজারো লোকের জনারণ্যে হারিয়ে যেতে। তাই যারা সঙ্গীহীন তারা ফেসবুক যুগের আগেও ছিল, এখনো আছে। তবে আজকাল যোগাযোগ রাখাটা টেকনিক্যালি সোজা হয়ে গেছে। আমিতো অনেক সময় কাউকে অন লাইনে দেখলেই তার সঙ্গে পেয়ে যাই, সে যে ভালো আছে এটা জেনে। অনেক সময় প্রশ্ন করে বিরক্ত করি না। তবে এটা ঠিক আগে ওই চিঠি, চিরকুট লেখার মধ্যে যত রোমাঞ্চ ছিল, এখন সেটা নেই। বিশেষ করে আমি চিরকুটে ছবি একে দিতাম - কখনো কখনো - কাউকে কাউকে - এখন আর সেটা হয় না, শুধু ক্যামেরায় তোলা ছবি।
দুবনা, ০১ আগস্ট ২০১৬
সময়
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট তারেক মাসুদ আর মিশুক মুনীর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল মানুষ। আজ সাত বছর পরে তারই পুনরাবৃতি ঘটছে। তখন সরকার পারেনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে, আজও ব্যর্থ হচ্ছে। একটা সময় আসে, যখন "Today is too early, tomorrow will be too late" হয়ে দাঁড়ায়। কেউ কেউ বলবেন অন্যেরা ছাত্রদের উস্কানি দিচ্ছে। আপনারা কি দিতেন না? রাজনৈতিক দলের কাজই এটা, প্রতিপক্ষের দেওয়া যেকোনো সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাকে ঘায়েল করা। তাই অন্যদের দোষারোপ না করে নিজেদের ভুলগুলো খুঁজুন। ব্যবস্থা নিন। মানুষ কিন্তু নিজের ভুলের মাসুলই দেয়।
জীবনের জন্য লড়াই
জয় বাংলা না বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলে আপনার গলায় ফাঁসির রজ্জু পড়ানো হবে তাতে আপনার মৃত্যু বেদনা কমবে না। আপনার একটাই উপায় - নিজেকে তৃতীয় শক্তি হিসেবে গড়ে তোলা, মৃত্যুকে "না" বলা। নিজে যদি অপশক্তির বিকল্প না হতে পারেন অপশক্তি হবে আপনার জীবনের বিকল্প। মৃত্যুর জন্য তো অনেক লড়াই করলেন, আসুন এবার জীবনের জন্য লড়ি।
রাজা
আগে ছিল রাজা প্রজা। এখন প্রজা নেই আছে জনগণ। এক বিমূর্ত আইডিয়া জনগণ যার
ক্ষুধা নাই, তৃষ্ণা নাই, শীত নাই, গ্রীষ্ম নাই। এই জনগণ থাকলেই কী আর না
থাকলেই কী! আসল কথা রাজা, তা সে যে রাজাই হোক না কেন - দেশের, শহরের,
মহল্লার, গ্রামের। এমন কি রাজা কনডম হলেও আপত্তি নেই। রাজা বলে কথা। হায়রে
ক্ষমতা!
দুবনা, ৩১ জুলাই ২০১৮
দুবনা, ৩১ জুলাই ২০১৮
Monday, July 30, 2018
মাথা
এত কি ভাবছেন?
আর বলবেন না। ওজন বেড়ে যাচ্ছে।
এ বয়সে ওজন তো এক আধটু বাড়বেই।
তা ঠিক। তবে মনে হয় মাথা মোটা হচ্ছে। এই যা।
দুবনা, ৩০ জুলাই ২০১৮
প্রশ্ন
একটা প্রশ্ন মাথা থেকে কিছুতেই নামছে না। কাউকে নিমন্ত্রণ করে না খাইয়ে ফিরিয়ে দেয়া আর নিমন্ত্রণ না করা - কোনটা বেশি মানবিক?
না মানে আমি ভাবছিলাম নির্বাচনের ব্যবস্থা করে মন মত ভোট দিতে না দেয়া ভালো নাকি নির্বাচন একেবারেই না করা ভালো। অবশ্য থার্ড অপশনও আছে - নির্বাচন পণ্ড করা। গণতন্ত্রের গন্ধও রইলো, ক্ষমতাও রইলো আর এ উপলক্ষ্যে সরকারী টাকার শ্রাদ্ধও হল। যাকে বলে অল ইন ওয়ান।
মোর ভাবনারে
কি ভাবছেন?
ভাবছি আমাদের দেশে সামরিক বাহিনীর ব্যাকিংএ গণতান্ত্রিক সরকার নাকি গণতান্ত্রিক সরকারের ব্যাকিংএ সামরিক শাসন।
দুবনা, ৩০ জুলাই ২০১৮
নির্বাচনী ফলাফল
আজকের বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হলেন প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ ও জনগণ।
দুবনা, ৩০ জুলাই ২০১৮
দুবনা, ৩০ জুলাই ২০১৮
পর্যবেক্ষণ
শুনেছি এয়ারপোর্টের ভিখিরিরা নাকি টাকা ভিক্ষা নেয় না, ডলার পাউন্ড চায়। আমাদের বড় দলগুলোও এখন এক একটা ভোট নেয় না, বস্তা বস্তা চায়।
দুবনা, ৩০ জুলাই ২০১৮
দুবনা, ৩০ জুলাই ২০১৮
মৃত্যুকর
এভাবে যদি রাজনীতি চলে
আসবেই সে জামানা
গাড়ির চাপা পড়লে তোমায়
দিতে হবে জরিমানা
তুমি যদি মর দায়ী হবে তাতে
পিতা অথবা সন্তান
রাজা মন্ত্রীর হাসি নিয়ে হাসি
কার ঘাড়ে কটা গর্দান
ভ্যাটের সাথে জনকল্যাণে
আসবে মৃত্যুকর
ভয়ে যদি কিছু জীবন বাঁচে
যদি আসে শাপে বর
একেই বলে প্রজার শাসন
এটা নাকি গণতন্ত্র
সবার চোখে ধুলো দেওয়ার
এ যে এক মহামন্ত্র
নিজেকে ভোট দিন
আপনার ভোটটা মনীষাকে দিলেই যে সে জয়ী হবে সেটা নিশ্চিত নয়, তবে আপনি জয়ী হবেন নিঃসন্দেহে। কারণ এখান থেকেই শুরু হবে আপনার অধিকার আদায়ের লড়াই। যেখানে অন্যেরা আপনার ভোটকে পুঁজি করে নিজের আখের গোছাবে সেখানে মনীষা আপনার হাত ধরে, আপনাকে সাথে নিয়ে গড়বে আপনার ভবিষ্যৎ। আসুন মনীষার পাশে থেকে দেশ গড়ি, নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ি।
দুবনা, ৩০ জুলাই ২০১৮
Sunday, July 29, 2018
গুগলের চোখ
আজ বিকেলে স্পেশালি গেলাম দুবনা ব্রীজের ছবি তুলতে। বাসা থেকে বেরিয়েছি, দেখি গুলিয়া ফিরছে। বললাম, চল এক ঘণ্টা পরে ভলগায় যাব।
কেন?
ছবি তুলতে।
আমার ছবি তুলবে?
না, ব্রীজের।
জানি না, ও কি ভাবলো। তবে পরে মনে হোল এভাবে না বললেও চলত।
রাতের খাবার খেয়ে কুকুর নিয়ে দুজন গেলাম ব্রীজের গোড়ায়। ভাগ্য ভাল। একটা জাহাজ চলে এল এরই মধ্যে। বেশ কিছু ছবি তুললাম। আমি সাধারণত ক্যামেরা সাথে থাকলে স্মার্টফোনের কথা ভুলে যাই। তবে আজ মনে পড়লো। তাই কিছু ছবিও তুললাম। এবং যথারীতি ভুলেও গেলাম। কিছুক্ষন আগে গুগলে ঢুকে দেখি একটা মেসেজ। স্মার্ট ফোনে তোলা ছবিটা ওরা এডিট করে আমাকে পাঠিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে কয়েক দিন পরে গুগল হয়তো আমার হয়ে খেয়ে নেবে, কাউকে ভালবাসবে। একেই বলে স্বাধীনতা?
প্রতীক
বাংলাদেশকে সরকারীভাবে
বেশ কিছুদিন আগেই ডিজিটাল ঘোষণা করা হয়েছে, তবে নির্বাচনী প্রতীক দেখলে মনে খটকা
লাগে। কী নৌকা, কী ধানের শীষ, লাঙ্গল, দাঁড়িপাল্লা, কাস্তে, মই – এ সবই আমাদের
কৃষি নির্ভরতার কথাই মনে করিয়ে দেয়। ইদানীং পত্র পত্রিকা দেখলে মনে হয় ধানের শীষ, লাঙ্গল,
দাঁড়িপাল্লাসহ অনেকেই হয় নৌকায় উঠতে ব্যস্ত, অথবা নৌকার মাঝিরা কাস্তে, মই এসবও
নিজেদের নৌকায় তুলতেই আগ্রহী। অর্থাৎ কৃষি সামগ্রী ভরা এই নির্বাচন বৈতরণী পার হতে
অনেকেই নৌকায় ওঠাই নিরাপদ মনে করছেন বা করানো হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্নটা হল সুপার
জেট, অসেয়ানিক লাইনার, রোলস রয়েস চড়ে অভ্যস্ত মন্ত্রী আর পারিষদদের নিয়ে নৌকার ভরাডুবি
হবে নাতো? সবাই যেখানে যাত্রী, বৈঠা বাওয়ার লোক যেখানে দুরবীন দিয়ে খুঁজতে হয় এক কাণ্ডারি
পারবে কি তরী পাড়ে ভেড়াতে?
দুবনা, ২৯
জুলাই ২০১৮
Saturday, July 28, 2018
Friday, July 27, 2018
চন্দ্রগ্রহণ
ঢাক বাজিয়ে ঢোল পিটিয়ে চন্দ্রগ্রহণ এলো
গোমড়ামুখী মেঘকন্যা সব করল এলোমেলো
মেঘের ওপার চাঁদ নাকি আজ দারুন সেজেছে
কালো পর্দা ভেদ করে বল দেখবে তাকে কে?
বাংলা
বাংলা আমার মুখের ভাষা বাংলা আমার দেশ
শুনেছি বাংলা মদও খেতে নাকি বেশ
ময়লা হলে গায়ে মাখি খাঁটি বাংলা সাবান
অবসরে শুনি আমি প্রিয় বাংলা গান
দেখি আমি বাংলা ছবি পড়ি বাংলা বই
বাংলা কবিতার মত কবিতা পাবে কই?
সবই যদি বাংলা হয় পশ্চিম কেন বঙ্গ
বাংলা নিয়ে বল দেখি এ কেমন রঙ্গ
মানব না কোন মতেই দিল্লীরাজের হামলা
রাত পোহালেই পশ্চিম বঙ্গ হয়ে যাবে বাংলা।
শুনেছি বাংলা মদও খেতে নাকি বেশ
ময়লা হলে গায়ে মাখি খাঁটি বাংলা সাবান
অবসরে শুনি আমি প্রিয় বাংলা গান
দেখি আমি বাংলা ছবি পড়ি বাংলা বই
বাংলা কবিতার মত কবিতা পাবে কই?
সবই যদি বাংলা হয় পশ্চিম কেন বঙ্গ
বাংলা নিয়ে বল দেখি এ কেমন রঙ্গ
মানব না কোন মতেই দিল্লীরাজের হামলা
রাত পোহালেই পশ্চিম বঙ্গ হয়ে যাবে বাংলা।
Thursday, July 26, 2018
নির্বাচন
আচ্ছা, "নির" ব্যাপারটা অনেক ক্ষেত্রেই তো নেগেটিভ অর্থে ব্যবহৃত হয়, যেমন নিরর্থক, নিরাপদ ইত্যাদি। বাচন যদি বলা হয়, নির্বাচন তো চুপ করে থাকা। কিন্তু বাস্তবে এ সময়ই সবাই যার পর নাই গলাবাজি করে। ব্যাপারটা কি?
আরে, এ তো সোজা হিসাব। নির্বাচনে ব্যাকরণ না মেনে গলাবাজি করে বলেই তো নির্বাচনের পরে এরা সব মৌন আর বধির হয়ে যায়। কেউ কেউ শুনি চোখের রোগেও ভোগে, কাছের লোক ছাড়া কাউকে দেখতে পায় না। তবে আশার বিষয় এই যে এটা সিজনাল রোগ। নতুন নির্বাচন এলেই এরা আবার বসন্তের কোকিলের মত সরবে গেয়ে ওঠে।
Tuesday, July 24, 2018
অপেক্ষার ভয়
সে রাতে আমাদের আর বনে যাওয়া হয়নি
অপেক্ষায় ক্লান্ত তারাগুলো কখন যে হারিয়ে গেছে
ভোরের আলোয়।
ঠিক যেমনটা ভুতেরা পালিয়ে যায়
সূর্যের প্রথম আলোর রেশে!
কী যাদুকরী শক্তিই না ছিল সেই “চলো”য়!
স্বপ্নের ঘোরে কেটে গেল রাত, দিন
বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ।
আজ আমরা দুই ভিন জগতের মানুষ
সময়ের স্রোত আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে গেছে
পৃথিবীর দুই প্রান্তে। মনের তার আজ বড়ই বেসুরো
ঐক্যতানে গাইবে না আর কোন দিন।
শুধু আকাশের গায়ে বাঁকা চাঁদ
কালেভদ্রে রক্তে তুলে তুফান।
ভাবি এই বুঝি বলবে
“যদি বলতে পার আজ কৃষ্ণপক্ষ না শুক্লপক্ষ
তোমার ঠোঁটে চুমু দিয়ে বলব – ভালবাসি।“
পক্ষের পর পক্ষ পেরিয়ে যায়
বুড়ি হয়ে যায় চাঁদ।
আমাদের আর ভালবাসা হয় না, বলা হয় না ভালবাসি।
শুধু আকাশের তারারাই অপেক্ষায় থাকে।
আমাদের অপেক্ষাগুলো এখন এতই ক্লান্ত যে
অপেক্ষা করতেও ভয় পায়।
অপেক্ষায় ক্লান্ত তারাগুলো কখন যে হারিয়ে গেছে
ভোরের আলোয়।
ঠিক যেমনটা ভুতেরা পালিয়ে যায়
সূর্যের প্রথম আলোর রেশে!
কী যাদুকরী শক্তিই না ছিল সেই “চলো”য়!
স্বপ্নের ঘোরে কেটে গেল রাত, দিন
বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ।
আজ আমরা দুই ভিন জগতের মানুষ
সময়ের স্রোত আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে গেছে
পৃথিবীর দুই প্রান্তে। মনের তার আজ বড়ই বেসুরো
ঐক্যতানে গাইবে না আর কোন দিন।
শুধু আকাশের গায়ে বাঁকা চাঁদ
কালেভদ্রে রক্তে তুলে তুফান।
ভাবি এই বুঝি বলবে
“যদি বলতে পার আজ কৃষ্ণপক্ষ না শুক্লপক্ষ
তোমার ঠোঁটে চুমু দিয়ে বলব – ভালবাসি।“
পক্ষের পর পক্ষ পেরিয়ে যায়
বুড়ি হয়ে যায় চাঁদ।
আমাদের আর ভালবাসা হয় না, বলা হয় না ভালবাসি।
শুধু আকাশের তারারাই অপেক্ষায় থাকে।
আমাদের অপেক্ষাগুলো এখন এতই ক্লান্ত যে
অপেক্ষা করতেও ভয় পায়।
চুমু বিভ্রাট
ছবি দেখিনি, পড়েছি আমি কাগজে
চুমু নাকি এক বৃষ্টিতে গেছে ভিজে
এই ঘটনায় লঙ্কা কাণ্ড বেঁধেছে
কোন সাহসে চুমু বাইরে এসেছে?
পক্ষে বিপক্ষে মিটিং মিছিল চলছে
জনসভা করে নেতা নেত্রীরা বলছে
বৃষ্টির জলে চুমু পাক নব প্রাণ
বাংলার ঘরে ভালবাসার হোক স্থান
Subscribe to:
Posts (Atom)