মস্কোয় ঢোকার একঘন্টা আগে ট্রেনে সেটা ঘোষণা করলো। আমিও পারিবারিক গ্রূপে জানিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ পরে সেভার ফোন এলো
- পাপা, তোমাকে মিট করতে হবে?
পাঁচ সাত দিনের জন্য বাইরে গেলে আমার সাথে তেমন কিছুই থাকে না। ক্যামেরার ব্যাগই সবচেয়ে ভারী। বলতেই পারতাম দরকার নেই, তবুও বললাম মেট্রো স্টেশনে আসতে। আসলে এ সবই এক ধরণের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
আমাদের ছোটবেলায় বাবা যখন নারায়ণগঞ্জ মোকাম বা ঘিওর বা ঝিটকা হাট থেকে ফিরতেন, অনেক দূর থেকে চাবির গোছার শব্দ সেই আগমনী বার্তা জানিয়ে দিত। আমরা দৌঁড়ে যেতাম বাবার কাছে, হাত থেকে ব্যাগ নিতাম (সেসব অবশ্য আমাদের জন্যই বিভিন্ন ফলে আর মিষ্টিতে ভরা থাকতো, সেসময় আপেল, আঙ্গুর এসব ঢাকার বাইরে খুব একটা পাওয়া যেত না), পা টিপে দিতাম।
মেট্রো থেকে বেরিয়ে দেখি সেভা আসছে। হাত বাড়িয়ে ব্যাগটা নিলো। ওর মুখে সুখের হাসি। আমার মনেও।
মস্কো, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯
No comments:
Post a Comment