Saturday, July 1, 2023

স্বৈরাচার

ব্যাকরণ অনুযায়ী গণতন্ত্র যদি হয় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামতের প্রতিফলন, তাহলে স্বেচ্ছাচার হল অধিকাংশের মতামতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কিছু মানুষের খামখেয়ালিকে প্রাধান্য দেয়া। বিশেষ করে যদি জানা থাকে যে কারও কোন কাজ সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। শুধুমাত্র বাক স্বাধীনতা বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে সরকার যদি সামাজিক শান্তি রক্ষার দায়িত্ব পালন না করে, সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন করে তলে সেই সরকারকে গণতান্ত্রিক, মানবপ্রেমী ও দায়িত্বশীল বলা যায় না, প্রকৃত পক্ষে এরাই স্বৈরাচারী। ধারণা ছিল বই পোড়ানো এটা মধ্যযুগের ঘটনা। হিটলারের সাথে সাথে এসব অতীত হয়ে গেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে বিজ্ঞান, সাহিত্য, সংস্কৃতি, মানবতাবাদী অনেক কিছুর পাশাপাশি ফ্যাসীবাদের উৎপত্তিও এই ইউরোপেই। বর্তমান ইউরোপ ও আমেরিকায় বাক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ইত্যাদির নামে অনেক কিছুই হচ্ছে যেটাকে স্বৈরাচার বলাই যথার্থ। শুধু ধর্মগ্রন্থ বলেই নয় প্রকাশ্যে এভাবে বই পোড়ানোর সরকারি মদদ পশ্চিমা সমাজের, পশ্চিমা এলিট শ্রেণির অধঃপতনের আরও একটা প্রমাণ।

দুবনা, ০১ জুলাই ২০২৩

No comments:

Post a Comment