Wednesday, September 19, 2018

মায়া

শক্তির নিত্যতার সুত্রের সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। শক্তি, ভর, চার্জ এসব সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না, শুধু রূপ পরিবর্তন করা যায়। ইদানীং কালে মনে হয় স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও কথাটা সত্য। আমরা নিজেরা যত বেশি স্বাধীন হই বা হতে চাই তত বেশি দায়িত্বের জালে জড়িয়ে পড়ি। এই তো স্মার্ট ফোন আমাদের স্বাধীনতা দেয় যখন তখন বন্ধুদের সাথে কথা বলার, ছবি, ভিডিও আর খবরাদি বিনিময় করার। আবার একই সাথে ধীরে ধীরে সে আমাদের জীবনে আলো বাতাসের মত এমনভাবে  জেঁকে বসে যেন স্মার্ট ফোন ছাড়া জীবনটাই বৃথা। নতুন গাড়ি কিনে মানুষ নিজেকে রাস্তার রাজা মনে করে, কিন্তু জ্যামে পড়লে পারলে নিজেই নিজের চুল ছেঁড়ে। বিত্তশালী মানুষ প্রাচীর ঘেরা বাড়ি তৈরি করে অন্যদের উৎপাত থেকে মুক্তির জন্য আর নিজের অজান্তে সে নিজেকেই চার দেয়ালের মধ্যে আটকে ফেলে সেই সোনার খাঁচার পাখীর মত। ঘটনাটা এই যেন আমরা এক ধরণের স্বাধীনতা বিক্রি করে আরেক ধরণের স্বাধীনতা কিনছি। স্বাধীনতা যেন স্বাদহীনতায় পরিণত হচ্ছে। তবে সব কিছুই কি এই নিত্যতার সূত্র মনে চলে? সব কিছুরই কি সীমা আছে? না। মানুষের লোভের কোন সীমা নেই। সীমা নেই মানুষের বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের মিথ্যাচারিতার। তবে যে যত বেশি স্বপ্ন দেখায় তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষমতা তত বেশি সীমিত। এখানেই তাদের ধাপ্পাটা ধরে ফেলে মানুষ। মায়া, সব মায়া।   

দুবনা, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮          


  
   


No comments:

Post a Comment