আমি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একজন কর্মী হিসেবে সব সময়ই গর্ব বোধ করতাম। শুধু আমিই না, আমরা অনেকেই। বিশ্বাস করতাম এখানে মেধাবী ছেলেমেয়েরা আসে। যেহেতু এই সংগঠনের অনেকেই পরবর্তীতে সিপিবিতে যোগ দিতেন তাই সিপিবির সাংগঠনিক দক্ষতা সম্পর্কেও উচ্চাশা পোষণ করতাম। ইদানিং অবশ্য প্রায়ই হতাশ হচ্ছি। কয়েকদিন আগে কেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী (মোদীর) আগমনের বিরোধিতা করা উচিৎ নয় এ ব্যাপারে লিখেছি। আজ দেখলাম তারা মোদীর আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করার দাবি তুলেছে। এর কতগুলো কারণ হতে পারে। ১) অন্যদের মত তারা ভোটের রাজনীতিতে নেমেছে। এখানে লাভ হবে বলে মনে হয় না। ২) এরা রাজনীতি ও কূটনীতি চর্চা করতে ভুলে গেছে। রাজনীতি নিয়ে আগে লিখেছি। আমন্ত্রণ প্রত্যাহার কূটনৈতিক কেলেঙ্কারি। ৩) এরা নিজেদের আর ক্ষমতার দাবিদার মনে করে না। নাহলে উপরের দাবিগুলো করত না। ৪) দেশের আর জনগণের ভবিষ্যৎ নিয়ে এদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। মোদী যাই হোক গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মোদীর ব্যাক্তিগত চরিত্রের কারণে আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করার ফল স্বরূপ ভারত যদি বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে ও বিভিন্ন এম্বার্গো আরোপ করে সেটা ট্যাকল করতে যে মূল্য জনগণকে দিতে হবে সেটা কি ওনারা হিসাবে নেন।
No comments:
Post a Comment