Saturday, November 16, 2019

বিবর্তন

কিছু মানুষ ভালো কিছু খুব তাড়াতাড়ি গ্রহণ করলেও অধিকাংশ মানুষ খারাপটা আরও দ্রুত গ্রহণ করে, নিজেদের খারাপ দিকটা যতদূর সম্ভব আঁকড়ে থাকে। রক্ষনশীলতা আসলে ক্ষেত্র বিশেষে ভালো হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেটা পশ্চাদ্মুখীতা। আসলে সব কিছুর পেছনেই কাজ করে স্বার্থ, সমাজের, জাতির মোড়লদের স্বার্থ। সোভিয়েত ইউনিয়নে বসবাসের সময় এর অনেক খারাপ দিকই চোখে পড়ত, বিশেষ করে বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতার ক্ষেত্রে। পশ্চিমা দুনিয়া সোভিয়েত ব্যবস্থার বিরোধিতা করতে এর খ্রাপ দিকগুলোই বেশি করে উল্লেখ করত, নিন্দা করত এক দল ও এক মতের। কিন্তু বর্তমানে একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে এখন তারা নিজেরাই সেসব জিনিস দিব্যি করে যাচ্ছে। ফর্মালি প্লুলারিজম থাকলেও নিও লিবারেল মতবাদ রাজনৈতিক দল ও মিডিয়াকে ব্যবহার করে বাকি সব মতবাদকে দাবিয়ে রাখতে সদা সচেষ্ট। তাই মানুষ স্বাধীন হলেও রাষ্ট্র, বিশেষ করে বড় বড় কোম্পানি, ব্যাংক ইত্যাদি তাদের দাসত্বের অদৃশ্য শিকলে বেঁধে রেখেছে। একই ঘটনা ঘটছে সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রেও। আমাদের মহিলা কর্মীদের সাথে সৌদি আরবে যা ঘটছে তাতে প্রমানিত হয় ইসলাম পূর্ব আরব সমাজের থেকে আচার আচরণে তারা খুব বেশি দূরে যেতে পারেনি। দেশে বিধবা বিবাহ চালু হলেও এখনো সমাজ সেটাকে যে মনেপ্রানে মেনে নিয়েছে, নিচ্ছে সেটা মনে হয় না। সহমরণ বা সতীদাহ প্রথা আইন করে বন্ধ করলেও বিধবা বা বিবাহ বিচ্ছেদের পরে নারীদের যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে এখন যেতে হচ্ছে সেটাকে মানসিক দাহ বলাই যুক্তিযুক্ত। আর এটা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়েই নয় মুসলিম সম্প্রদায়েও ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে। এত শিক্ষা দীক্ষা, গাড়ি ঘোড়া, আধুনিক বিজ্ঞানের অগ্রগতির পরেও অধিকাংশ মানুষ আসলে সেই মধ্য যুগেই রয়ে গেছে। দুবনা, ১৭ নভেম্বর ২০১৯

No comments:

Post a Comment