আমি
দাঁড়ি গোঁফের উপর গণহত্যা চালাই এক দিন পরপর। শনিবার সারাদিন বাইরে যাওয়া হয়নি
বিধায় ওদের উপর রোলার কোস্টার চালান হয়নি। রবিবার বাইরে গেলেও ওদের বিরক্ত করিনি
সোমবার একটা প্লেনারী টক ছিল বলে। কিন্তু সোমবার সকালে কদম ফুলের মত গালটা দেখে বড়
মায়া হোল। ভাবলাম কত খুনী ধর্ষকদের ফাঁসির আদেশ বাতিল হয়ে যাচ্ছে, আর আমি কিনা এই
নিরীহ দাঁড়ি গোঁফের উপর গিলোটিন চালাতে যাচ্ছি। গুলিয়াকে জিজ্ঞেস করলাম
-
কেমন হয়, যদি দাঁড়িটা রেখেই দেই?
-
মাথা খারাপ!
জানি না
কার মাথা নিয়ে কথা হোল, তবুও বললাম
-
দাঁড়ি রাখলে আর মেট্রো বা বাসে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। আমার সাদাকালো দাঁড়ি
দেখলে কেউ আর কটাক্ষ করবে না।
কিন্তু এতে
চিড়ে ভিজলো বলে মনে হয় না। তাই সেভাকে জিজ্ঞেস করলাম আইডিয়াটা ওর কেমন লাগছে। সেভার
তো হাসতে হাসতে পেটে খিল।
-
পাপ, তুমি আয়ানায় নিজেকে দেখেছো?
শেষ
চেষ্টা করলাম মনিকার সাথে।
-
পাপা, আমার ছোটবেলায় একবার তুমি দাঁড়ি রেখেছিলে। আমার ওতেই হবে, আর দরকার
নেই।
কি আর
করা? গণতন্ত্র বলে কথা। তাই দাঁড়ি গোঁফের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রেখে যাবজ্জীবন
কারাদণ্ড দিয়ে দিলাম। আর স্মৃতি হিসেবে দাঁড়ি গোঁফের একটা পোরট্রেট তুলে বিদায়
করলাম ওদের মানেমানে।
তবে ঐ
ছবিতে বন্ধুদের কমেন্ট দেখে মনে হয় তারাও আমার মতই দ্বিধান্বিত এই রায় নিয়ে।
দুবনা,
১৫ মে ২০১৭
No comments:
Post a Comment