বিগত কয়েকদিন যাবত ফেসবুকে বিভিন্ন স্ট্যাটাসে দেখছি
"কুমিল্লার ১৩৫ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা 'বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন' ভেঙে বহুতল স্থাপনা নির্মাণের প্রক্রিয়া অনতি বিলম্বে বন্ধ করতে হবে।১৮৮৫ সালে তৎকালীন ত্রিপুরা জেলার চাকলা রোশনাবাদের জমিদার নরেশ মহারাজ 'বীরচন্দ্র মানিক্য বাহাদুর' এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন ও ঐতিহাসিক এ মিলনাতয়নে পদধূলি দিয়েছেন মহাত্মা গান্ধী, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, মওলানা আবদুল হামীদ খান ভাসানী, জাতিক পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত,সীমান্ত গান্ধী খ্যাত খান আবদুল গাফ্ফার খান সহ আরো অনেক মনীষী।
মুক্তিযুদ্ধের পরেও এই মিলনায়তনটি কুমিল্লার সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মূল কেন্দ্র হিসাবে বিবেচিত।"
আমার ধারণা ছিল অন্তত বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত স্থানগুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও পতাকা বহনকারী সরকারের হাতে নিরাপদ। এখন দেখছি পুঁজির কাছে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিও বাঙ্গালীর হাজার বছরের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধসহ আর দশজন বাঙালির স্মৃতির মতই ক্ষণস্থায়ী, উন্নয়নের পথে কণ্টকসম।
দুবনা, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০
No comments:
Post a Comment