আমার নিজের কোন গুন নেই। তোমার দোষই আমার গুন। তোমার দুর্বলতাই আমার একমাত্র সবলতা।
দুবনা, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০
Wednesday, September 30, 2020
স্বীকারোক্তি
নাম কাহিনী
Tuesday, September 29, 2020
উন্নয়ন
ট্রেণ্ড
Monday, September 28, 2020
ম্যাক্সওয়েল সমীকরণ
গতকাল দিনটা ছিল বেশ সুন্দর। আলো ঝলমল। ভল্গার উপরে ভাসতে যদিও শীত শীত করছিল, তবে সেটা ছিল সহ্যের সীমার মধ্যে। বাসা থেকে বেরোই সকাল ৯-৪০ এ। সন্ধ্যায় যখন বাসায় ফিরলাম ঘড়িতে ১৮-৪০। মাঝখানে সময়টা মূলত দাঁড়িয়ে। না, বসার জায়গার অভাব ছিল না, তবে ছবি তুলতে গেলে বসাটা ঠিক হয়ে ওঠে না। এখন শীত পড়বে পড়বে করছে, "বাবিয়ে লেতো" শেষের পথে। সন্ধ্যায় পাখিরা যেমন সূর্যের শেষ রশ্মিটুকু প্রাণ ভরে উপভোগ করে, মানুষজন ঠিক তেমনি করেই গ্রীষ্মের শেষ আদরটুকু উপভোগ করছে। গ্রীষ্ম অবশ্য বিদেয় নিয়েছে সেই ৩১ আগস্ট, তবে যাই যাই করেও তার ঠিক যাওয়া হয়ে ওঠেনি, যে যে যেভাবে পারে তাকে ধরে বেঁধে রেখেছে। তবে যেতে তো হবেই, তাই সে যাওয়ার আগে সবাইকে আরেকটু উষ্ণতা, আরেকটু ভালবাসা বিলিয়ে দিচ্ছে।
আমরা গেছিলাম বেলি গরদ নামে নামে ছোট্ট এক জনপদে। দেখার মত জিনিস বলতে খোৎসা নদী যেখানে ভল্গায় লীন হয় - তাদের সেই মিলন স্থলে একটি গির্জা। তারপর আরও একটা গির্জা, সেটা অবশ্য উজানে, মানে দুবনার দিকে। ওখানে জাহাজ ভেড়ানোর উপায় নেই বলে বাসে উল্টো পথে আসা। এর মাঝে গির্জায় দুপুরের খাওয়া।
বাসায় ফিরে আর রাঁধতে ইচ্ছে হল না। তাই ডাল ভাত করলাম, মানে চাল ডাল সবজি মশলা সব এক সাথে দিয়ে জীবানুমুক্ত করা। আগে এর নাম ছিল খিচুড়ি, তবে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের শিক্ষিতদের কর্মকাণ্ড দেখে আমি সে নামটি আর নিতে চাইছি না।
পথের ক্লান্তি চোখে ঘুম আনিয়ে দিল। রাত দুপুরে জেগে দেখি মাক্সওয়েলের সমীকরণগুলো পেটের মধ্যে ডিগবাজী খাচ্ছে আর মুখে দিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। আমি ওদের এই রটোর এই ডাইভারগেন্স দিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করি, কিন্তু চোখের পাতা বুজতে না বুজতেই ওরা আবার হৈ হুল্লোড় শুরু করে। সকালে ছিল ইলেক্ট্রডাইনামিক্সের ক্লাস। ভাবলাম তাই হয়তো কেউ পেটের মধ্যে আটকে গেছে। সাথে একটু তেষ্টা। অনেক পড়ে মনে হল ডালের কথা। ইদানীং কালে মসুরের ডাল খেলেই পেটে গ্যাসের খনি আবিষ্কার করি। তারপর মনে হল সাথে সালাদ করেছিলাম পেঁয়াজ দিয়ে - ওটাই পেটে গিয়ে বেশি বেশি জল খেতে চাইছিল। করোনা কাল না হলে পাত্তাই দিতাম না। মনে হল নাকে গন্ধটাও ঠিক মত আসছে না। অন্যান্য দিন ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই কুকুরগুলো হেগেমুতে একাকার করে রাখে। আজ ওরাও যেন হরতালে নেমেছে। বলতে ইচ্ছে করে, আরে ব্যাটা হাগ তো, দেখি গন্ধ পাই কি না। শেষ পর্যন্ত ওদের কেউ কেউ সদয় হল। হেগেমুতে করোনা তাড়াল। দুটো লেকচার ভালো ভাবেই হল, তৃতীয়টার সময় ঘুম ঘুম পাচ্ছিল। তাই ১০ মিনিট আগেই ছেড়ে দিলাম। যাহোক, এখন আর ম্যাক্সওয়েল সমীকরণগুলো বিরক্ত করছে না।
দুবনা, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
Saturday, September 26, 2020
সুপার লাঞ্চ
ব্যর্থতার রকমফের
শুদ্ধ ভুলিকরণ
ভুল শুদ্ধ করতে গিয়ে অনেক শুদ্ধকে ভুল করলাম। একেই কি বলে শুদ্ধ ভুলিকরণ?
দুবনা, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
একাত্তরের সাতসতেরো
ভূত
সকাল থেকে ভীষণ ব্যথা মনে হয় ভূত চেপেছে ঘাড়ে।
ভূত ছাড়াতে বনে যাব তাইরে নাইরে তাইরে নাইরে নারে।
দুবনা, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
Tuesday, September 22, 2020
রহস্য
আপনি কবিতা ভালবাসেন?
বাসি।
পড়েন?
না।
লেখেন?
না।
তাহলে?
ভালবাসার জন্য তো পড়তে বা লিখতে হয় না।
কিন্তু?
কিন্তু আর কী? আমার মনে হয় আধুনিক কবিতা রহস্যময়। আর যা রহস্যময় তার প্রতি আমার জন্মগত আকর্ষণ।
সব কবিতাই?
সব নয়, তবে অধিকাংশ।
বোঝেন সেগুলো?
বুঝিনা বলেই তো রহস্যময় লাগে।
আশ্চর্য! আপনি কবিতা পড়েন না, লেখেন না, বোঝেন না - তারপরও মনে করেন রহস্যময়?
দেখুন,
এসব কবিরা আমায় গরবাচভের কথা মনে করিয়ে দেয়। উপমা আছে, শব্দের খেলা আছে,
লিখেন ডজন ডজন কিন্তু বলেন না কিছুই। এ যেন অনেক কথা যায় যে বলে কোন কিছু
না বলে।
দুবনা, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
Sunday, September 20, 2020
Friday, September 18, 2020
বৃষ্টি
বৃষ্টি পড়ে আকাশ থেকে
নরম নরম গরম গরম
হিসি করে মাথার উপর
নেই কোন তার লজ্জা শরম
বৃষ্টি পড়ে যখন তখন
সকাল দুপুর সাঁঝের বেলায়
কখন যে তার লাঞ্চ বিরতি
বোঝার কোন নেইকো উপায়
বৃষ্টি পড়ে আকাশ বেয়ে
বর্ষার গান গেয়ে গেয়ে
শরৎ কালের বৃষ্টি
ভীষণ অনাসৃষ্টি
দুবনা, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
ছাদ বাগান
ঢেঁড়সের ঢের রসে বেগুন থেকে গুন পালায় মনের সুখে বীর বাঙ্গালী ছাদ বাগানে ফল ফলায়
দুবনা, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
Thursday, September 17, 2020
সাম্যের নিত্যতা
আইন ল লয়
আগে ছিল আইন শৃঙ্খলা, শৃঙ্খল ভেঙ্গে হল ল আন্ড অর্ডার। ল লয় হল। রইল শুধু অর্ডার। এখন জনতা হুকুমের গোলাম।
দুবনা, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
শিক্ষা ও অর্থ
এক জরিপের প্রশ্ন ছিল কী চান জীবনে - শিক্ষা না অর্থ?
একজনের উত্তর - আমি শিক্ষার্থী
মস্কো, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
নাছোড়বান্দা
সেই ব্যক্তিই নাছোড়বান্দা যে "ভাই যান" কে "ভাইজান" বানিয়ে আরও দেড় দুই ঘন্টা গায়ে পড়ে আপনাকে উপদেশ দেয়।
মস্কো, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
Sunday, September 13, 2020
প্রশ্নোত্তর
Saturday, September 12, 2020
কবি দর্শন
Friday, September 11, 2020
ভূমিহীন
Thursday, September 10, 2020
প্যাট্রিস লুমুম্বা
অনেক দিন আগে মেহেদী ভাই এই স্ট্যাটাসটি লিখেছিলেন। গতকাল আবারও প্রকাশ করেছেন। আমি তখন মস্কোর পথে, গন্তব্য মিকলুখো মাকলায়া। কাজ শেষে ভাবলাম একটু দেখেই যাই কি হচ্ছে।
%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%
আজ আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। ১৯৬০ সালের এইদিনে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়াইয়ের অগ্রসেনানী, মহান নেতা প্যাট্রিস লুমুম্বার নামে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজধানী মস্কোতে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম ছিলো 'প্যাট্রিস লুমুম্বা গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় '।আমি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন গর্বিত ছাত্র। কিন্তু আফসোস, পুঁজির দালাল রাশিয়ার বর্তমান শাসক গোষ্ঠী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থেকে মহান নেতা প্যাট্রিস লুমুম্বার নাম বাদ দিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
আমাদের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের বিশাল প্যাভিলিয়নে ফিদেল ক্যাস্ট্রো, চে গুয়েভারা, নেলসন ম্যান্ডেলা, সালভেদর আলেন্দে প্রমূখ নেতাদের প্রতিকৃতি টানানো ছিলো।আমার যতদূর মনে পড়ে, সেখানে আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিও ছিলো (ছিলো কি? এতো বছর পরে স্মৃতি বিভ্রমের কবলে পড়াটা অসম্ভব নয়! )।এখন এই মহান নেতাদের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
মেহনতী মানুষের মহান অধিকার আদায়ের সংগ্রামে প্যাট্রিস লুমুম্বা সহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়াইয়ের সকল অগ্রসেনানীর নাম চিরকাল গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হবে।
%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%
এটা ঠিক, আমাদের ইউনিভার্সিটি নাম পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু একটা দেশই যখন নাম বদলে ফেলল, লক্ষ্য বদলে ফেলল সেখানে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হবে এতে অবাক হবার কিছু নেই। আমাদের উপমহাদেশই তো নাম বদলে ফেলল। সবাই কি যে লক্ষ্যে এই নাম বদলাল সেটা অর্জন করেছে বা করার চেষ্টা করছে? দেশে একটা কথা আছে, বৃক্ষ তোমার নাম কী, ফলে পরিচয়। নাম নয়, কাম (কর্ম) আসল। একটা কথা, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথাও কখনই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ছিল না। থাকলে এ নিয়ে অনেক আলোচনা হত। যেটা ছিল, তা তাঁকে নিয়ে আমাদের কথা। সোভিয়েত ইউনিয়নের অনেক মানুষ তাঁর নাম জানতেন আর আমরা মানে আমাদের দেশের একদল মানুষ তাঁকে খুন করেছে বলে অসন্তোষ প্রকাশ করতেন। এক সময় ক্রেস্তে ১ নং হলের সামনে অনেকের প্রতিকৃতি ছিল। তারা সবাই ছিলেন সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী তৃতীয় বিশ্বের নেতা। এখন তা নেই। কারণ এই নয় যে তাঁদের কদর নেই। এখন প্রচুর বিখ্যাত মানুষ আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সবাইকে জায়গা দিতে গিয়ে ছবির সংখ্যা বেড়েছে আর সাইজ ছোট হয়েছে। প্যাট্রিস লুমুম্বার নাম ইউনিভার্সিটির নাম থেকে অনেক আগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ১৯৯১ সালের (প্রতি)বিপ্লবের জোয়ারে এ দেশে কত রাস্তা, কত শহরের নাম যে বদলে গেছে তার খবর কে রাখে। আমার বিশ্বাস সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারলে নামটা হয়তো আজও থাকত। তবে আসল কথা তো নামে নয়, কর্মে। এখনও আমাদের ইউনিভার্সিটি পৃথিবীর প্রায় সব দেশের ছেলেমেয়েদের বৃত্তি দিচ্ছে। এখন শুধু তৃতীয় বিশ্বই নয়, উন্নত বিশ্বের ছেলেমেয়েরাও এখানে পড়াশুনা করে। এক বিশ্ববিদ্যালয়ে সারা বিশ্ব – এটা এখন তার স্লোগান। এখন এখানে প্রায় ১৬০ দেশের ২০ হাজারের বেশি ছেলেমেয়ে পড়াশুনা করে। একটা বিরাট অংশ ফ্রি পড়ে, তবে পে করে পড়ার ব্যবস্থাও আছে। তাই সেদিক দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সমস্ত দেশের ছেলেমেয়েদের পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। বাংলাদেশ থেকেও প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্রছাত্রী এখানে আসছে। এখন রুশ ভাষার ফ্যাকাল্টির নতুন ভবনের সামনে, যা পলিক্লিনিকের পেছনে, প্যাট্রিস লুমুম্বার স্ট্যাচু আছে। কিছুদিন আগে মিশরের প্রেসিডেন্ট নাসেরের মূর্তি উন্মোচন করা হয়েছে। তাই ঢালাও ভাবে কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করার কিছু নেই। নব্বইয়ের দশকের উত্তাল সময়ের মধ্যেও ইউনিভার্সিটিকে বাঁচিয়ে রাখা আর বর্তমানে এটাকে রাশিয়ায় প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটা করা – এটাও বিশাল কৃতিত্ব। আমার নিজেরও অনেক কিছুই ভালো লাগে না, ফিলিপভ যখন আমাদের ফ্যাকাল্টিতে ঘুরতে আসতেন, আমি বলতাম। অনেক সময় এসব বলার জন্য আমাকে দুবনা থেকে ডেকে নিত ফ্যাকাল্টি। কিন্তু তাই বলে ইউনিভার্সিটির পেছনে তার অবদানের কথাও অস্বীকার করা যাবে না। সোভিয়েত ইউনিয়নের মত প্যাট্রিস লুমুম্বা নামও নস্টালজিয়া। আমার বিশ্বাস আমরা যদি এখানে যেসব স্কলারশিপ দেওয়া হয় সেখানে যাতে সত্যিকারের ভালো ছেলেমেয়েরা আসতে পারে, আসে সেদিকে নজর দিই সেটাই হতে প্যাট্রিস লুমুম্বার প্রতি, ইউনিভার্সিটির প্রতি আমাদের সঠিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ।
দুবনা, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০
ছবি, মস্কো ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
ক্রেস্তে ১ নং হলে সামনে স্ট্যান্ডে ছবি
ক্রেস্তে ১ নং হলে সামনে স্ট্যান্ডে ছবি
প্যাট্রিস লুমুম্বা চত্বর
রুশ ভাষা অনুষদের সামনে প্যাট্রিস লুমুম্বার স্ট্যাচু
ক্রেস্ত, ফোয়ারা
জামাল আব্দুল নাসের
গুমসস (Гум-Соц) অনুষদের সামনে (এটাও পলিক্লিনিকের পেছনে)
২ আর ৩ নং ব্লকের মাঝে দুটো নতুন বহুতলা হোস্টেল। ডাইনে দোকান
১০ নং ব্লক, ডাইনে খুব সম্ভব ১৩ (বা ১১)
৭ নং ব্লকের সামনে নতুন হোস্টেল। পেছনে দম তুরিস্তা
পেছনে মেডিসিন ফ্যাকাল্টি। সামনে এখন সুন্দর মাঠ
পলিক্লিনিক। ডান দিকে গুমসস মানে হুমেনিটারিয়ান আর সোশিওলজি ফ্যাকাল্টি
মেডিসিন ফ্যাকাল্টি আর ক্রেস্তের মাঝে এখন সুন্দর ল্যান্ড সাফট
মেডিসিন ফ্যাকাল্টি ও নতুন হোস্টেল
নতুন হোস্টেল, ৭ নম্বর, পেছনে আরেকটা নতুন হোস্টেল, ডানে ৮ নম্বর আর একদন ডানে ১০ নম্বর
জামাল আব্দুল নাসের
প্যাট্রিস লুমুম্বা