আজ ভোলগায় গিয়ে দেখি আমাদের সিঁড়িটার হাতল ভাঙ্গা। কিছুক্ষণ পরে সত্তরের উপরে বয়েস এমন এক ভদ্রলোক এলেন ড্রিলার, স্ক্রু আর স্ক্রু ড্রাইভার নিয়ে। আমিও হাত লাগালাম। কিছুক্ষণের মধ্যে সব ঠিক। তবে এই সিঁড়িটা দিয়ে অনেকেই, বিশেষ করে বয়স্কা মহিলারা নামতে পারেন না, পাশেই তাদের জন্য পাথর বসান। তবে সেটা খুব একটা সুবিধার নয়।
- পাথরটা পাল্টানোর দরকার। আমি প্রস্তাব দিলাম।
- চল। ভদ্রলোক গলা মেলালেন।
কিন্তু যে পাথরটা বসাতে চাই সেটা আমাদের দুজনের পক্ষে আনা প্রায় অসম্ভব। আরও জনা দুই হলে ভালো হয়।
- চল, চেষ্টা করে দেখি।
আমরা না টেনে পাথর উল্টিয়ে উল্টিয়ে নিতে শুরু করলাম। একসময় মনে হল বেটার আরও কারও অপেক্ষা করা। ওনাকে প্রস্তাবটা দেওয়ায় বললেন
- চল করে ফেলি।
মনে হয় ভাবলেন উনি বয়স্ক বলে আমি এখন চাইছি না। আমারও লাগলো, পেছনে ভাবেন বিদেশিরা (গায়ের রং তো দেশি হতে দেয় না) কোন কাজের নয়। দুজনের জেদ মিশিয়ে দিব্যি পাথরটা ঠিক জায়গা মত বসালাম।
- রোদ পোহাতে থাকা সব মেয়েরা এসে স্পাসিবা বলতে বলতে কান ঝালাপালা করে দিল। যত বলি, এটা তো আমাদের নিজেদের জন্যেও, তাও ওদের স্পাসিবার শেষ নেই। কী আর করা এক বস্তা স্পাসিবা মাথায় করে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরলাম।
দুবনা, ২৪ জুন ২০২১
No comments:
Post a Comment