ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। অর্জিত জ্ঞান আমাদের ভয় দূর করে, সমস্যা মোকাবেলায় আমাদের সঠিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করে। অজ্ঞতাজনিত যে ভয় সেটাকে জয় করতে পারলে পাহাড়সম বাধাও অবলীলায় অতিক্রম করা যায়।
Thursday, December 31, 2020
Sunday, December 27, 2020
বন নদী বরফ
স্বীকারোক্তি
প্রাগমাটিজম
Saturday, December 26, 2020
গোলামি
গোলামি অর্থাৎ আমি যখন গোল। ধার নেই, কাঁটা নেই। সব সময়ই এক রকম। সব সইতে হয়। জীবনের ভার বইতে হয়। একই চক্র আজীবন। দুবনা, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০
ছোট বড়
বছরের অন্যতম ছোট দিনটা অবলীলায় বড় দিন হয়ে গেল শুধু ছোট ছোট মানুষেরাই বড় হতে পারল না।
দুবনা, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০
Thursday, December 24, 2020
আবারও মাছ
গতকাল মাছ ধরা নিয়ে একটা পোস্ট দিলাম। বন্ধু তপন বলল ও আসবে মাছ ধরতে। আইডিয়াটা কতটুকু ভালো কে জানে? আসলে আমি মাছ শিকার করি না। শিকার করি ছবি আর আইডিয়া, কখনও শুনে, কখনও পড়ে আবার কখনও বা ভেবে। তবে মাছের ব্যাপারে আমার সব সময়ই এক ধরণের রিজার্ভেশন আছে। দেশে মাছ পছন্দ করতাম না, হাতে গনা দু চার পদের মাছ খেতাম। কখনও কখনও মনে হত মা আমাকে খাওয়ানোর জন্য বোয়াল মাছ রুই মাছের মত কেটে রান্না করে খেতে দেন। ফলে কই, চিতল, রুই, কাজলী, বাতাসী আর সম্পুরনখা - এই প্রিয় মাছগুলোও কখনও কখনও সন্দেহের কারণে বাতিল হয়ে যেত। এখন অবশ্য মাছ খাই, তবে মূলত সামুদ্রিক আর পেস্ট করা। তাতে ঝামেলা কম। এতে মাছগুলো নিজেরাই নাম-গোত্রহীন হয়ে যায়। আমি ওদের বলি সাম্যবাদী মাছ। বড়শি দিয়ে মাছ মারিনি কোন দিন, কারণ কোন এক সুদূর অতীতে আমার এক মাসী (আসলে ভাগ্নি) নাকি বড়শি ফেলতে গিয়ে সেটা পিঠে গেঁথে ফেলে। সেটা শুনেই ভয়। তাই বড়শি ফেলে মাছ আর মারা হয়নি। ১৯৯৬ সালে বৌ ছেলেমেয়েরা যখন দুবনা আসে ওরা প্রায়ই ঘটা করে মাছ ধরতে যেত ভোলগায়। মাছ ধরা তো নয় মজা করা। মাছ পাক না পাক, এই উপলক্ষ্যে নদীর তীরে ছোটোখাটো একটা পিকনিক হয়ে যেত। তবে আমি কখনও যেতাম না, গেলেও মাছ না ধরে ছবি তুলতাম। একবার মনে হয় মাছ ধরতে গিয়ে খুব দামী একটা বড়শি ভেঙ্গে ফেলেছিলাম। এরপর থেকে গুলিয়া আর কখনও আমাকে ভিসা দেয়নি। কয়েক বছর আগে মস্কো থেকে এক বন্ধু আসে আমার এখানে বেড়াতে। ওর ইচ্ছা ছিল মাছ ধরার। তবে পারমিশন পাওয়া যায়নি বড়শি ব্যবহারের (ওগুলো কোথায় যেন ছিল, জানতে চাইলে বলেনি)। আমাকে নাকি এ ব্যাপারে বিশ্বাস করা যায় না। অবাক কাণ্ড। গুলিয়া বিশ্বাস করে আমার কাছে নিজের দেহ ও মন বর্গা রাখল আর সামান্য একটা বড়শি বিশ্বাস করে দিতে পারল না। মানুষ মনে হয় এমনই। দরকারি জিনিস অনায়াসে অন্যদের দিয়ে দেয় অথচ অদরকারি জিনিসপত্র (আচ্ছা টাকা পয়সা আর জ্ঞানের মধ্যে কোনটা সত্যিকারের দরকারি?) দিতে চায় না। তপনকে তাই লিখলাম, মাছ ধরতে চাইলে ও যেন গুলিয়ার সাথে ভাব জমায়।
দুবনা, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
Wednesday, December 23, 2020
চরিত্র
শেষ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসও চরিত্রহীন হল। রাজনীতিবিদদের মতই ভোল বদলাতে শুরু করল।
দুবনা, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
লুকোচুরি
অনেক আগে, ১৯৯৪ সালে তখন সবে মাত্র দুবনা এসেছি। থাকি হোস্টেলে। শীতের সকালে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ভোলগা। দূরে দেখি জমে যাওয়া ভোলগায় বসে বসে বুড়িরা কী যেন করছে। আসলে দূরের ঐ মানুষগুলো বুড়ি কি না সেটা জানতাম না, তবে ছোট ছোট মোটাসোটা মানুষগুলোকে দূর থেকে রুশ বাবুশকাদের মতই মনে হত দেখতে। দেখতাম আর ভাবতাম কী করছে তারা ওখানে? অনেক পরে জেনেছি এরা আসলে বুড়ি নয়, মাছ শিকারী। মূলত পুরুষ। তখন মনে পড়ল ছোটবেলায় পড়া শেয়ালের গল্প যে বুড়োর মাছ চুরি করেছিল আর ভালুককে বরফের গর্তে লেজ ডুবিয়ে বসে থাকতে প্ররোচিত করেছিল। নিজে কখনই মাছ ধরা পছন্দ করতাম না, তবে বার দুয়েক সেসব এলাকায় গেছি ছবি তুলতে। গতকাল পলিক্লিনিক থেকে ফিরছিলাম ভোলগার ধার দিয়ে। এমনিতেই। আসলে এমনিতে নয়, তাতে বাড়তি কিলমিটার ২ হাঁটা হয় তাই প্রায়ই ঘোরা পথে বাড়ি ফিরি। হঠাৎ দেখলাম একজন বসে গর্ত খুঁড়ছে। বুঝলাম মাছ সাথ একটা বোঝাপড়া হবে তার। তাই বাসায় ফিরে ক্যামেরা নিয়ে আবার গেলাম। এখন সে আর একা নয়, সাথী জুটেছে। আসলে মাছা ধরা এদের অনেকেরই শখ, অনেক সময় কয়েকদিনের জন্য চলে আসে লোকজন। কখনও একা, কখনও দল বেঁধে। আসে মূলত মস্কো থেকে। ট্রেনে যখন এরা এক সাথে মস্কো ফিরে বড়শি আর মাছ রাখার বিশেষ কন্টেইনার নিয়ে, ওদের মুখে শুধুই মাছের গল্প। বিশাল বিশাল মাছের। আমার বৌ বাচ্চারাও আগে যেত মাছ ধরতে। একবার গুলিয়া এক মাছ ধরছিল যা এ এলাকায় খুব একটা দেখা যায় না। এখনও সুযোগ পেলে সে গল্প শোনায়। আবার বান্ধবীরা বেড়াতে এলে ওদের নিয়ে ভোলগায় মাছে সন্ধানে। তবে অধিকাংশ মানুষের জন্য এটা একটা নেশা। মাছ পেল কিনা সেটা বড় কথা নয়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদীর ধারে বসে থাকা, মাঝে মধ্যে একটু ভোদকা খাওয়া আর রাতে তাবু বা গাড়িতে ঘুমানো - এর রমাঞ্চই অন্য রকম। এবার বরফ এখনও ঠিক জমেনি। পুলিশ এসে সরিয়ে দেয়। তবে কে শোনে কার কথা। লোকজন গাড়ি চালিয়ে চলে যায় অনেক দূরে। প্রতিবছরই অনেক দুর্ঘটনা ঘটে, গাড়ি চলে যায় জলের নীচে, অনেকের সলিল সমাধি হয়। কিন্তু তারপরেও এরা এসব কেয়ার করে না। ইতিমধ্যে দুবনায় জনা পাঁচেক ডুবেছে বলে শুনেছি। তবে মৃত্যুর কথা শুনিনি। ভোলগার তীরে আর মস্কো সাগরে সারা বছরই ইমারজেন্সি ব্রিগেড থাকে ওদের সাহায্য করার জন্য। ভাগ্য তেমন খারাপ না হলে জলে ডুবে যাওয়া অধিকাংশ শিকারীর ভ্রমণ শেষ হয় পুলিশের ফাঁড়িতে আর কখনও এমন কাজ করবে বলে লিখিত দেওয়ার মধ্য দিয়ে। তবে থানা থেকে বেরিয়েই এরা এসব কথা ভুলে যায়।
দোকান
Tuesday, December 22, 2020
সরকার
Sunday, December 20, 2020
সৈনিক
সৈনিকের মুখ্য পরিচয় ইউনিফর্মে। আদর্শ সেখানে গৌণ। প্রসঙ্গ মুজিব সৈনিক, মুজিব কোট ও মুজিববাদ।
দুবনা, ২১ ডিসেম্বর ২০২০
মেঘ সূর্য
ধুসর মেঘের কম্বল মুড়ি দিয়ে আকাশ সেই কবেই ঘুমিয়ে পড়েছে। সেই কম্বলের ফাঁক দিয়ে সূর্যটা পর্যন্ত উঁকি দিতে পারছে না।
দুবনা, ২০ ডিসেম্বর ২০২০
বন্ধু ও শত্রু
Friday, December 18, 2020
দাবি
রিস্ক
রুশীরা বলে যারা রিস্ক নেয় তারাই শ্যাম্পেন খায়। আমাদের ধর্মপ্রাণ সরকার শ্যাম্পেন খায় না। তাই মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে কথা বলে তার রিস্ক নেওয়ার কোন কারণ নেই।
দুবনা, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০
Thursday, December 17, 2020
ধর্ম চোরা
আগে বলত "চোরা নাহি শোনে কভূ ধর্মের কাহিনী"। এখন দেখি চোরেরাই বেশি বেশি ধর্মের কাহিনী শোনে। শুধু শোনেই না বলেও।
দুবনা, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
Wednesday, December 16, 2020
কথা
Tuesday, December 15, 2020
বিজয় দিবস
বাংলা ভাষা, বাঙালি আর বাংলার মাটি যতদিন থাকবে রাজনৈতিক পরিবেশ যতই প্রতিকূল হোক না কেন একুশ, ছাব্বিশ আর ষোল থাকবে আর এরাই যুগের পর যুগ মনে করিয়ে দেবে এদেশের মানুষের আত্মত্যাগের কথা, তাদের বীর গাঁথা। বিজয় দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা!
দুবনা, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০
দায়
সরকার কার?
আচ্ছা সরকার কি শুধুই কওমী মাদ্রাসার? সরকার এদের সাথে পরামর্শ করলেও জনগণের কথা শুনতে চায় না কেন? দুবনা, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০
সনদ
৭১ চেতনার দেশে মূল্যবান ছিল মুক্তিযোদ্ধা সনদ। এখন চাহিদা মুসলমান সনদের। অদ্ভুত উটের পিঠে চলছে স্বদেশ মদিনার পানে।
দুবনা, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০
মালিকের মাল
Saturday, December 12, 2020
বন্যেরা বনে সুন্দর
Friday, December 11, 2020
মাস্ক
ঘরে ফিরতে আমার প্রায়ই দেরি হয়। রাস্তা পার হতে গিয়ে ভাবি অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া আমাকে গাড়ি চাপা দেবে না তো? সাদা মাস্ক এখন হেড লাইটের কাজ করে করোনা না তাড়ালেও উপস্থিতির জানান দেয়।
দুবনা, ১২ ডিসেম্বর ২০২০
আবার ভোলগা আবার সূর্যডুবি
সম্পর্ক
এক বন্ধু জানতে চাইল দুবনা ভোলগার শাখা না উপনদী। কি উত্তর দিই। বললাম দুবনার জন্ম ভোলগায় হলে শাখা বলা যেত। কিন্ত ভোলগায় তো দুবনার মৃত্যু হয়েছে। আধুনিক পরিভাষায় দুবনা হল গিয়ে ভোলগার ক্রেডিটর।