Sunday, November 30, 2025

রাজনীতি

রাজনীতির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল আপোষ করার মানসিকতা ও ক্ষমতা। গণতান্ত্রিক রাজনীতি মানেই একাধিক রাজনৈতিক দল ও তাদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা। আপোষ করা মানে পরাজয় স্বীকার করা নয়, এর মানে স্বল্প শক্তি খরচে শান্তিপূর্ণ উপায়ে কিছু ছাড় দিয়ে কিছু অর্জন করা যখন আপোষকামী সকল পক্ষই কিছু কিছু ছাড় দেয়। আপোষ না করা মানে প্রতিপক্ষকে নির্মূল করা যা গণতন্ত্রকেই হত্যা করে, স্বৈরাচারের জন্ম দেয়। তাই যখন রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের আপোষহীন বলে ঘোষণা করেন তখন তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সম্পর্কে সন্দেহ জাগে মনে। আর সমর্থকরা নেতাদের আপোষহীন তকমা দিয়ে আসলে রাজনৈতিক ভাবে তাদের স্বৈরাচারী হতে অনুপ্রাণিত করে।

মস্কো, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

ফ্যামিলি ট্রি

সেদিন একজন জিজ্ঞেস করল 
- আচ্ছা, তোমার কী মনে হয়, পৃথিবীতে গণতন্ত্রের এমন দুর্দশা হল কীভাবে?
- এটা বুঝতে হলে তোমাকে গণতন্ত্রের বংশ বৃক্ষ বা ফ্যামিলি ট্রি স্টাডি করতে হবে।
- যেমন?
- জানতে হবে গণতন্ত্রের মা কে? কে তার কন্যা? আর মা ও কন্যার জীবন বৃত্তান্ত অনুশীলন করলেই বুঝবে কেন আজ গণতন্ত্রের এই বেহাল।

মস্কো, ৩০ নভেম্বর ২০২৫

শুধু স্রোতে ভাসা

কিছু লোককে সবসময় ঠকানো যায় কিংবা সব লোককে কিছু সময় ধরে ঠকানো যায় কিন্তু সব লোককে সবসময় ঠকানো যায় না। বলেছিলেন আব্রাহাম লিংকন। আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনরা সেই ১৯৪৭ সাল থেকেই সব মানুষকে ঠকিয়ে যাচ্ছে। শুধু ক্ষমতাসীন বলি কেন ক্ষমতা প্রত্যাশী দল, ব্যক্তি সবাই এটা করছে। আর ঠকানোর মাত্রা ও কৌশল প্রতিটি নতুন সরকারের সাথে আপডেট হচ্ছে।

মস্কোর পথে, ৩০ নভেম্বর ২০২৫

Friday, November 28, 2025

উল্টোপাল্টা

আমার অনেক বদ অভ্যাসের একটা উল্টো করে পড়া মানে পরের শব্দ আগে আর আগের শব্দ পরে আবার কখনো কখনো যে কোন আর্ডারে। পরজন্ম থাকলে আমি নিশ্চয়ই আরব ভাষাভাষী দেশের বাসিন্দা ছিলাম কোন এক সময়। সেদিন বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। এই বাসটির রুট অনেকটা ফাঁসির রজ্জুর মত। বিশেষ করে রজ্জুটা যেখানে গলা চেপে ধরে সেখানে ঠিক ক থেকে খ এর পরিবর্তে খ থেকে ক পড়লে পস্তাতে হবে। তো সেদিন আমি সেই ভুলটাই করলাম আর ফল স্বরূপ নদীর অন্য পাশে চলে গেলাম। ইশ এভাবে যদি ছোটবেলায় চলে যাওয়া যেত!

দুবনা, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

Wednesday, November 26, 2025

প্রশ্ন

শান্তির জন্য শান্তি নাকি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য শান্তি নাকি ভবিষ্যতে আরও বড় অশান্তির জন্য শান্তি? রাশিয়া, আমেরিকা (ট্রাম্প) আর ইউরোপ কি মতৈক্যে পৌঁছুতে পারবে? নাকি এখানেও ঐকমত্য কমিশন দরকার?কে হবে সেই কমিশনের প্রধান? দেশের অভিজ্ঞতা কি কাজে লাগবে? মাথায় কত প্রশ্ন আসে জবাব দেবে কে?

দুবনা, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

Tuesday, November 25, 2025

বিয়ে

শান্তি চুক্তিতে ইউক্রেনকে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করার ট্রাম্পের পরিকল্পনা আমার কাছে পাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেবার মত মনে হয়। ট্রাম্প মেয়ের বাপ বা ঘটক যাই হোক না কেন ইউরোপের নেতারা এখানে পাড়ার বখাটে ছেলেরদল যারা তাদের খেলার সাথী পাড়ার মেয়েকে কিছুতেই অন্যের হাতে তুলে দিতে রাজি না। কে জানে শেষ পর্যন্ত বিয়েই হয়তো ভেঙে যায়!

দুবনা, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

Monday, November 24, 2025

আহ্বান

ঝড় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ যখন আসে তা সবার উপরেই আসে। ধনী-গরীব, হিন্দু-মুসলমান এসব দেখে আসে না। কারোও ঘর আগে ভাঙে, কারোও ঘর পরে। তাই আজ হিন্দু, কাল বাউল, পরশু কাদিয়ানী, পরের দিন অন্য কেউ যখন আক্রান্ত হয় তখন বুঝতে হবে আপনিও তালিকাভুক্ত শুধু সময়ের অপেক্ষা। কেন? আপনার হাজারটা ভালো গুণ (যেমন আপনি সুন্নি মুসলমান, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন, সঠিক পোশাক পরেন, ......) থাকার পরেও আপনার একটি দুর্বলতা আছে - জন্মসূত্রে আপনি বাঙালি, আপনার ভাষা, আপনার খাদ্যাভ্যাস, আপনার জীবন বোধ আরবদের মত নয় (যে কারণে আরবরা আপনাকে সহি মুসলমান মনে করে না)। বিশ্বাস না হয় আরব দেশে যান।‌ এমনকি ইউরোপ আমেরিকায় আপনার দিকে সেভাবে আঙুল তুলবে না যেভাবে তুলবে আরব দেশে। তাই শুধুমাত্র এই এলাকায় জন্মগ্রহণ করার জন্যই আপনি কারোও চোখে দোষী হয়ে থাকবেন। এ থেকে মুক্তি নেই। তাই একটা একটা করে আঙুলগুলো কাটা যাবার আগেই সবাই মিলে ঘুরে দাঁড়ান। অন্যথায় খুব দেরি হয়ে যাবে। নিজে বাঁচুন, দেশ বাঁচান।

মস্কো, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

Sunday, November 23, 2025

সতর্কতা

রাজা আসে, রাজা যায় কিন্তু রাজ্য, সিংহাসন থেকেই যায়। একই কথা প্রযোজ্য যেকোনো পদের ক্ষেত্রে। অযোগ্য ব্যক্তিকে কোন পদে অধিষ্ঠিত করলে অথবা কোন ব্যক্তি কোন পদে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে তাতে ব্যক্তির লাভ বা ক্ষতি যত হয় তারচেয়ে বহু গুণ বেশি ক্ষতি হয় পদের। এর মাশুল দিতে হয় প্রতিষ্ঠান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। বর্তমান বাংলাদেশের সর্বত্র এই অযোগ্যদের বাম্পার ফলন দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দিচ্ছে।

মস্কো, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

Friday, November 21, 2025

সিঙ্গাপুর

অনেককেই বলতে শুনি বাংলাদেশ খুব শিগগিরই সিঙ্গাপুর হবে। অর্থনৈতিক ভাবে সিঙ্গাপুর খুব উন্নত একটি দেশ। সেখানে চাইনিজ, মালয় ও ভারতীয়রা তথা বৌদ্ধ, মুসলমান ও হিন্দুরা সবাই মিলে দেশ গড়ে ও শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন করে কেউ কারো অধিকার খর্ব না করে। নব্বইয়ের দশকে সিঙ্গাপুর গিয়ে একটা স্লোগান খুব মনে ধরেছিল - এক জনতা, এক জাতি, এক সিঙ্গাপুর। সেখানে মন্দির, মসজিদ, প্যাগোডার পাশাপাশি অবস্থান দেখে মুগ্ধ হয়েছি। শিক্ষা ও শিল্পে তারা অনেক এগিয়ে। আর সিঙ্গাপুর খুব ছোট্ট একটি দেশ - অনেকটা বড়সড় একটি শহরের মত। তাই প্রশ্ন জাগে বাংলাদেশ ঠিক কোন প্যারামিটার ব্যবহার করবে নিজেকে সিঙ্গাপুর হিসেবে ঘোষণা করতে। একজন মানুষ যেমন বিভিন্ন দোষ গুণের সমন্বয়ে তৈরি, দেশও তাই। কোনটা নেবে বাংলাদেশ?

দুবনা, ২১ নভেম্বর ২০২৫

Thursday, November 20, 2025

গাছ ও মাছের গল্প

রাজা আসে, রাজা যায় কিন্তু রাজ্য, সিংহাসন থেকেই যায়। একই কথা প্রযোজ্য যেকোনো পদের ক্ষেত্রে। অযোগ্য ব্যক্তিকে কোন পদে অধিষ্ঠিত করলে ব্যক্তির লাভ হয়তো হয় তবে তারচেয়ে বহু গুণ বেশি ক্ষতি হয় পদের। এখানে ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা বড় বিষয় নয়, মূল কথা তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সে কতটুকু সাফল্যের সাথে করতে পারল। কাজে ব্যর্থ হলে তার মাশুল দিতে হয় প্রতিষ্ঠান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। বর্তমান বাংলাদেশের সর্বত্র এই অযোগ্যদের বাম্পার ফলন দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দিচ্ছে। মাছ যত ভালো সাঁতারু হোক না কেন তাকে গাছে উঠতে বললে সে আজীবন পরীক্ষায় ফেল করবে। 

দুবনা, ২০ নভেম্বর ২০২৫

Wednesday, November 19, 2025

৩২

বাংলাদেশে আবার ৩২ নম্বর আক্রমণ করার চেষ্টা হল। বাংলাদেশে শেখ মুজিব সবসময়ই প্রাসঙ্গিক। তা সে মুজিব পক্ষের লোক ক্ষমতায় থাকুক বা মুজিব বিরোধী। এমনকি কেক কেটে জন্মদিন পালন করলেও সেটা আসলে করা হয় মুজিবেরই উদ্দেশ্যে। তাঁর শত্রুরা বাংলার বুক থেকে তাঁর নাম মুছে দিতে গিয়ে তাঁকে আরোও বেশি করে প্রাসঙ্গিক করে তোলে। ৩২ নম্বর শুধু শেখ মুজিবের বাসস্থান নয়, এটা বাংলাদেশের আঁতুরঘর। ৩২ নম্বর ভাঙা হল, ৩২ নম্বর পোড়ানো হলো - তারপরেও এদের শান্তি নেই। এমনকি নিরাকার ৩২ বারবার ফিরে আসবে, তাড়া করবে এই সব উন্মাদদের। এজন্যই তো বলে শেখ মুজিব আর বাংলাদেশ অভিন্ন। সেটা কারোও পছন্দ হোক আর নাই হোক। ৩২ নম্বর ভাঙা মানে বাংলাদেশ ভাঙা, একাত্তরের স্মৃতি ভাঙা। যারা এই ধ্বংস যজ্ঞের প্রতিবাদ করে না স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি তাদের বিশ্বস্ততা প্রশ্নের সম্মুখীন।

দুবনা, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

Monday, November 17, 2025

প্রগ্রেস

বলশেভিকরা রুখত জারতন্ত্র। 
আমরা রুখব বুলডোজারতন্ত্র।।
প্রগ্রেস!!!

দুবনার পথে, ১৭ নভেম্বর ২০২৫



Saturday, November 15, 2025

বেহাত

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন "জুলাই গণ অভ্যুত্থান বেহাত হয়েছে। সরকার নারীদের, সংখ্যালঘু মানুষের কোন সুরক্ষার ব্যবস্থা নেয়নি।" বিলম্বে হলেও সিপিবি নেতার বোধোদয় আশাব্যঞ্জক। তবে তার উপলব্ধি অন্ধের হাতি দর্শনের মত, মানে আংশিক। আসল সত্যটা হল সরকার শুধু নারী বা সংখ্যালঘু নয়, কোন মানুষেরই কোন রকম সুরক্ষার ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। বরং একদল দেশদ্রোহী কুলাঙ্গারের হাতে সংবিধান, আইন শৃঙ্খলা, বাজার অর্থনীতি সব তুলে দিয়ে নিজেরাই কুলাঙ্গার হয়ে গেছে। তাদের প্রচেষ্টায় শুধু জুলাই অভ্যুত্থান নয়, দেশটাই বেহাত হয়ে গেছে।

দুবনা, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

Sunday, November 9, 2025

উপলব্ধি

ও কুকুরের বাচ্চা ঠিকই কিন্তু আমাদের কুকুরের বাচ্চা। একসময় সাম্রাজ্যবাদের সমালোচনা করতে গিয়ে এই উদ্ধৃতি দিতাম। এখন মনে হয় কথাটি শুধু সাম্রাজ্যবাদ নয় সবার জন্য সত্য। যত খারাপ আর জনবিরোধী হোক না কেন নিজের স্বৈরাচার অন্যের স্বৈরাচারের চেয়ে ভালো বা দুই মন্দের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম মন্দ। নিজের বিষ্ঠার দুর্গন্ধ সহনীয় হলেও অন্যেরটা দুঃসহ, এমনকি তারা পোলাও কোর্মা খেলেও। আমাদের তথাকথিত মডারেটরা যত তাড়াতাড়ি এটা বুঝতে পারে ততই মঙ্গল।

মস্কো, ১০ নভেম্বর ২০২৫

আবর্জনা

জাহানারা ইমামের বই নয় যারা বাংলা একাডেমি ও বাংলাদেশের দায়িত্বে আছে তাদের সের দরে বিক্রি করা সময়ের দাবি। তবে এমনকি সের দরেও এদের কেউ কিনবে বলে মনে হয় না। পুরানো বই দিয়ে ঠোঙা বা প্যাকেট বানানো যায়, আবর্জনা দিয়ে কিছু বানানো যায় না। আবর্জনা ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হয়।

মস্কোর পথে, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

Friday, November 7, 2025

কাউয়াওকা

হঠাৎ করেই ওকার কথা মনে পড়ে গেল। ঠিক ওকা নয়, ওকার কাউয়ার কথা। তিনি বলতেন আওয়ামী লীগে কাউয়া ঢুকেছে। বাস্তবে এসব কাউয়ারা ছিল জামায়াত শিবিরের লোকজন। ইদানিং এরকম কাউয়ার দেখা মিলছে অন্যান্য দলেও। অন্ততপক্ষে এরকম অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। এখন থেকেই যদি সতর্ক না হয় তাহলে অবস্থা আওয়ামী লীগের চেয়েও শোচনীয় হতে পারে।

দুবনা, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

Wednesday, November 5, 2025

ব্যালট পেপার

নতুন বন্দোবস্তে গণভোটের ব্যালট পেপার 

কোন বাহাত্তর আপনি চান?

১) ৭২ এর সংবিধান 
২) ৭২ টি বেহেশতের হুর

দুবনা, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

Tuesday, November 4, 2025

প্রশ্ন

পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এসব ক্ষেত্রে যারা কাজ করছেন তারা অন্তত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে ও রোগ নিরাময়ে ব্যাপক অবদান রাখছেন। মানব সভ্যতার উন্নয়নে এসব বিষয়গুলোর অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু অর্থনীতিতে যারা কাজ করেছেন তারা কি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পেরেছেন? উল্টো ধনী আর গরীবের মধ্যে বৈষম্য অনবরত বেড়েই চলছে। সেই অর্থে অর্থনীতি মূলত বিত্তশালীদের পক্ষে কাজ করছে। শান্তির জন্য যারা কাজ করেন তারা শান্তি আনেন নাকি যারা বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করে তাদের হাতে অশান্তির অস্ত্র হিসেবে কাজ করে সেটাও ভাবনার বিষয়। বার্মা, বাংলাদেশ, ভেনেজুয়েলা.....

দুবনা, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

Monday, November 3, 2025

বুদ্ধিজীবী

সরকার ও বিরোধী দল যখন বুদ্ধিজীবীদের গৃহপালিত প্রাণীতে পরিণত করে তখন বুদ্ধিজীবী আর বুদ্ধিজীবী থাকে না, তারা হয় তোতা পাখি যারা মালিকের শেখানো বুলি আউড়ায়। আওয়ামী আর মব শাসনের ঠ্যালায় দেশে এখন আর বুদ্ধিজীবী নেই বললেই চলে। যারা আছে তাদের বেশিরভাগই চাতুর্য্যের মুদি দোকানদার। যেখানেই দুই পয়সা লাভের আশা সেখানেই অবলীলায় বিক্রি হয়ে যায়। কেউ স্বেচ্ছায় কেউবা অনিচ্ছায়। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সবাইকে নিজের নিজের দায়িত্ব পালন করতে না দিয়ে দলদাস করে তাহলে দেশের প্রয়োজনে মাথা তুলে দাঁড়ানোর কেউ থাকে না।

দুবনা, ০৩ নভেম্বর ২০২৫

Sunday, November 2, 2025

দায়বদ্ধতা

বাম জোট ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে ভাবছে। কোন আসনে জিততে পারবে কিনা সেটা জানি না তবে তাদের অংশগ্রহণ নির্বাচনকে বৈধতা দেবে এমনকি সেটা যদি প্রহসনের নির্বাচনও হয়। এটাই মনে হয় তথাকথিত চব্বিশের বিপ্লবের প্রতি বামদের দায়বদ্ধতা। 

দুবনা, ০২ নভেম্বর ২০২৫

Saturday, November 1, 2025

শংকা

আজ ইস্কুলে যাইবার জন্য যত কান্নাকাটি করিতেছ একদিন ইস্কুলে না যাইবার জন্য তারচেয়ে বেশি কান্নাকাটি করিতে হইবে।‌

আজ যারা ইসলামী শাসন, বাধ্যতামূলক হিজাব পরার আইনের জন্য আন্দোলন করছে একদিন তারাই এসব থেকে মুক্তির জন্য আন্দোলন করবে। কারণ ইসলামী শাসন বলে এরা যা ভাবছে তা আসলে ইসলামী শাসন নয়, মোল্লার শাসন বা ইসলামী ব্রাহ্মণ্যবাদ। একবার বসতে দিলে এমন ভাবে শোবে যে হাজারটা ক্রেন দিয়ে টেনে তোলা যাবে না।

দুবনা, ০১ নভেম্বর ২০২৫