Sunday, October 8, 2017

পিভা



গতকাল রাত ১০ টার পর গুলিয়ার ফোন এলো। সেভা এখনও বাসায় ফেরেনি, টেলিফোন ধরছে না। গতকাল ক্লাস শেষে সেভা মস্কো গেছে বন্ধু মাক্সের সাথে ফুটবল খেলবে বলে। এখানে ও কারো সাথে মেশে না, স্কুলের পরে বাসায় বসে থাকে। আইকার সাথে বা কম্পিউটার গেম খেলে সময় কাটায়। তাই একরাতের জন্য মস্কো যেতে চাইলে মানা করি না।
-    ঠিক আছে, দেখি পাই কি না!
সেভা কল রিসিভ করলো না, মানে খেলায় ব্যস্ত। কন্টাক্টে (লোকাল সামাজিক মাধ্যম) মেসেজ রাখলাম। প্রায় ১১ টার দিকে সেভা ফোন করে জানালো বাসায় ফিরছে। আমি বলায় বাসায় পৌঁছে আবার ফোন করলো।
আজ সকাল ১১ টায় গুলিয়ার ফোন।
-    কোথায় ছিলে?
-    মানে?
-    এতবার ফোন করছি, ধরছো না।   
-    আমি কাজ করছিলাম। সেট পাশেই ছিল। ফোন এলে তো দেখার কথা। যাকগে কি হোল আবার?
-    সেভার ব্যাগে পিভার ক্যান দেখলাম।
-    মানে?
-    না, আমি আলমারি গোছাতে গেছি, ওর ব্যাগটা খোলাই ছিল।
গুলিয়া জানে আমি অন্যদের ব্যাগ চেক করা পছন্দ করি না, তাই অজুহাত।
-    ওটা অন্য কিছুও হতে পারে। তুমি সিওর?
-    হ্যাঁ। তাই তো বলছি। এখন কি করা?
-    কি আর করা। জিজ্ঞেস কর এগুলো কোত্থেকে?
-    ভালো হয় তুমি কথা বললে।
-    কিন্তু আমি কি বলবো? ও যদি তখন বলে কিছু ছিল না। তাই এখনই ওকে জিজ্ঞেস কর। পরে আমি কথা বলবো।
-    কিন্তু বলবো কি?
-    শুধু জিজ্ঞেস কর এসব কোত্থেকে ওর ব্যাগে এলো।
-    তারপর কি?
-    দেখ কি বলে?
-    তারপর?
-    তারপর মানে?
-    মানে, শাস্তি দিতে হবে না?
-    তোমার দরকার ওকে শাস্তি দেয়া, নাকি ওকে বুঝিয়ে বলা কাজটা ভালো হয়নি।
-    ঠিক আছে।
সেভা দুবনা ফিরবে সন্ধ্যা ৮ টায়, আমি মস্কো যাবো ৭ টায়। গুলিয়ার কাছ থেকে সব জেনে সময় করে সেভার সাথে কথা বলতে হবে। ছেলেটা খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যাচ্ছে।
দুবনা, ০৯ অক্টোবর ২০১৭ 




No comments:

Post a Comment