মস্কো থেকে দুবনা ফিরছি। বাইরে ঘন
অন্ধকার। আসছি ব্লা ব্লা কারে। সাথে আরও দু’জন যাত্রী। বাসে বা ট্রেনে গেলে সহযাত্রীদের
সম্পর্কে ততটা আগ্রহ বোধ করি না যতটা করি ট্যাক্সিতে। এটা মনে হয় ছোট আর আবদ্ধ
পরিসরের জন্য।
অন্ধকারের বুক চিড়ে এগিয়ে চলছি, ফোন
এলো সচি থেকে, উদীচীর সাধারণ সম্পাদকের ফোন। কিছুক্ষণ কথা হোল। হঠাৎ আমি যেন দেশে
চলে গেলাম। দিদির কথা মনে হল। বেল্লালের আর কুদ্দুস ভাইয়ের ছেলে রাশেদের। ইচ্ছে
হোল কই মাছের ঝোল দিয়ে মুড়ি খেতে।
ফ্রাই প্যানে ত্রেস্কা দেখতে
পেলাম। সন্ধ্যে বেলায় রান্না করেছিলাম। কিন্তু আমি তো মাছের ঝোল রাঁধতে পারি না!
বারে, মাছের ঝোল রাঁধতে পারলেই বা কী? কই মাছ কোথায় পাবো? কই মাছের ভাবনা শেষ হতে
না হতেই মনে হোল ঝোল না হয় রাধলাম, কিন্তু মুড়ি পাবো কই। এ যে দেখছি চক্রবৃদ্ধির
সমস্যা!
দুবনা, ১৭ অক্টোবর ২০১৭
No comments:
Post a Comment