দুবনা, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
Untold thoughts
Wednesday, December 10, 2025
গন্তব্য
অনেক অমিলের পরেও ইউনূস সরকার বা জামায়াত শিবির এবং বামপন্থী বিশেষ করে সিপিবির মধ্যে একটা গভীর মিল বা মিতালী আছে। উগ্র ডানপন্থীরা আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে বা সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিতে চায় না আর বামেরা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির মোকাবিলায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের আওয়ামী লীগের কর্মীদের সাথে কোন আঁতাত করতে চায় না। ঘটনা দুটি কাকতালীয় হলেও গন্তব্য এক। এবং সেটা মৌলবাদের ক্ষমতায়ন - বামপন্থী মৌলবাদ নয় চরম দক্ষিণপন্থী।
Sunday, December 7, 2025
অনুভূতি
যাচ্ছিলাম আরিয়ানের সাথে দেখা করতে মেট্রো এয়ার পোর্টে। ও দেশ থেকে আমার জন্য একটা প্যাকেট নিয়ে এসেছে।
ইদানিং পায়েরা আর শরীরের ভার তেমন বইতে চায় না। আলসেমি করে। ওদের এই দশা দেখে পদোন্নতির আশা ছেড়ে দিয়েছি অনেক দিন। যাহোক দেখলাম দুই মধ্যবয়সী ছেলের মাঝে সীটটা একেবারে বেদখল হয়ে যায়নি। তাই বসে পড়লাম। জীবনে প্রথমবারের মত নিজেকে বেশ মোটাসোটা মনে হল। শুনেছি বড়লোকদের সাথে ওঠাবসা করলে নিজেকে বড়লোক মনে হয়। এখন দেখি মোটাসোটা মানুষের মাঝে বসলেও নিজেকে মোটাসোটা মনে হয়। যারা নিজেদের কাবু মনে করেন এটা ট্রাই করতে পারেন।
মস্কো, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রশ্ন
ফেসবুকে এক মোল্লার বয়ান শুনলাম, - "যার যা আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক।" মনে পড়ে গেল ২০২৪ এর জুলাই আগস্টের কথা। সেখানেও সোনার বাংলা, ধনে ধান্যে পুষ্পে ভরা এসব গান গেয়ে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়েছিল একাত্তরের পরাজিত শক্তি। এভাবেই রবীন্দ্রনাথ সহ পঞ্চ কবির গান, শেখ মুজিবের ভাষণ নকল করে রাজাকাররা মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতায় আসে এদেশের মাটি থেকে রবীন্দ্রনাথ, মুজিবদের নাম মুছে ফেলার জন্য। ধর্মের নামে মিথ্যাচার করে দিনের শেষে এরা ধর্মকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। এরা যদি বিশ্বাসঘাতক ও ধর্মদ্রোহী না হয় তবে কে?
মস্কোর পথে, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
Friday, December 5, 2025
আনন্দ
কথায় আছে গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল। তবে বাংলাদেশের নির্বাচন যদি গাছ হয় তবে এখনও সেটা শুধুই পরিকল্পনায়, জায়গা দেখা হচ্ছে, এরপর মনমতো নার্সারি থেকে চারা কেনা হবে তারপর তো গাছ লাগানো। এদিকে সব দল নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে বসে আছে। আমেরিকায় দলের ভেতরে আগে প্রাইমারি নির্বাচন হয়। কে জানে বাংলা-পাকি-আমেরিকান রিয়াজালী এখানেও সেটা চালু করতে চাইছে কিনা? তবে নির্বাচন নিয়ে যারা জীবনেও জিততে পারবে না এরকম হবু প্রার্থীদের উত্তেজনা দেখে ভালোই লাগছে।
দুবনা, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রশ্ন
বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতির দিকে খেয়াল করলে কতগুলো ধারা বা স্রোত স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় -
১) ভারত বিরোধী ও ভারতপন্থী ;
২) পাকিস্তান বিরোধী ও পাকিস্তান পন্থী;
৩) বাংলাদেশ বিরোধী।
বাংলাদেশ বিরোধী বলতে আমি তাদেরই বুঝি যারা
১) একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ,
২) বাহাত্তরের সংবিধান ও
৩) স্বাধীনতার স্থপতি হিসেবে শেখ মুজিবকে অস্বীকার করে।
সবচেয়ে যেটা অবাক করে তা হল বাংলাদেশ পন্থীদের মানে যারা উপরের তিনটি ধারাকে প্রশ্নাতীত ভাবে স্বীকার করে, তাদের অনুপস্থিতি।
এমতাবস্থায় দেশ ও দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হবার সুযোগ আছে কি?
দুবনা, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
Thursday, December 4, 2025
বাস্তবতা
কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ তাদের রাষ্ট্রদূতদের মাধ্যমে পুতিনের ভারত সফর নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে। শক্ত মেরুদণ্ডের অধিকারী কোন দেশ এখন আর পুরানো জমিদারদের কথা কানে তোলে না, শুধু ভদ্রতার খাতিরে এড়িয়ে যায়। আর যারা মেরুদণ্ডহীন তারা এ নিয়ে দুকথা বলে পুরানো মনিবদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায় আর এই সুযোগে উঠতি মেরুদের বিরুদ্ধে দুকথা বলে নিজেদের নপুংশতা ঢাকার চেষ্টা করে।
দুবনা, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
Wednesday, December 3, 2025
সমস্যা
এক প্রশ্নের উত্তরে ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন "আমাদের ইউরোপের সাথে যুদ্ধ করার কোন পরিকল্পনা নেই। তবে ইউরোপ যদি শুরু করে আমরা যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।" ইউরোপের পত্র পত্রিকা এই খবর পরিবেশন করছে এভাবে - "পুতিন ইউরোপের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।" ভাবার কোন কারণ নেই যে ইউরোপের নেতারা বা সাংবাদিকরা পুতিনের পুরো প্রেস কনফারেন্স দেখেনি তবে ইচ্ছে করে সেটাই প্রকাশ করছে যা তাদের স্বার্থ উদ্ধারে সহায়ক। আসলে সবক্ষেত্রেই এরকম। ঠিক যেটুকু দরকার সেটা শোনা, সেভাবে ব্যাখ্যা করা। মানুষ, বিশেষ করে যাদের উপর দেশের ও দশের ভালোমন্দ নির্ভর করে, যদি সঠিক ভাবে সব কথা শোনার, বোঝার ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার চেষ্টা করত সমাজে অনেক সমস্যা সমাধান এমনিতেই হয়ে যেত, এমনকি অনেক সমস্যার উদ্ভবই হত না।
দুবনা, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
Subscribe to:
Comments (Atom)