যখন কেউ কোন ভালো কাজ করে, নিজের কাজের মধ্য দিয়ে সমাজ ও মানুষের জীবনের উন্নতির পথ দেখায় আমরা তাঁকে পথপ্রদর্শক বলি, সেই পথে চলার জন্য অন্যদের উৎসাহিত করি। কিন্তু একথাও তো ঠিক যে অনেক খারাপ কাজের কাজীরাও কারো না কারো জন্য পথের দিশারী। কথায় বলে চোরেরও সাগরেদ থাকে। তাই রাজনৈতিক নেতা বা পাবলিক ফিগাররা যখন কিছু করেন তাদের উচিৎ ভেবে দেখা সেটা কাউকে এমন কোন কাজ করতে উৎসাহিত করবে কিনা যা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে এটা যদি কোন রাষ্ট্রনায়ক করে। চাইলাম আর সন্ত্রাস দমনের নামে হাজার হাজার নারী শিশু হত্যা করলাম বা পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হাননাম - এসব কোন এক সময় বুমেরাং হয়ে ফিরে আসতে পারে।
দুবনা, ০৪ জুলাই ২০২৫
Untold thoughts
Friday, July 4, 2025
Wednesday, July 2, 2025
প্রশ্ন
ফেসবুকের কল্যাণে আজকাল উপমহাদেশের বিয়ের বিভিন্ন ছবি চোখে পড়ে। আগে যা বলিউডের মুভিতে দেখা যেত এখন সেটা বাস্তব জীবনে রূপ পায়। আর দেশের বা উপমহাদেশের উচ্চ বা মধ্যবিত্ত পরিবারের বিয়ের ছবি দেখলে মনে হয় পুঁজিবাদী রাষ্ট্র গঠনে ব্যর্থ হয়ে আমরা এখন সামন্ত যুগে প্রবেশ করছি - হ্যাঁ এসব ছবি আমাদের রাজা বাদশাহদের দরবারে ফিরিয়ে নেয়। বিয়ের মত ব্যাপার যা সাধারণত জীবনে একবারই ঘটে সেটা স্মরণীয় করে রাখা মোটেই খারাপ কিছু নয় তবে আমাদের এই সুলতানী আমলে ফিরে যাওয়ার মনস্তত্ত্ব বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে ১৯৪৭ তথা মদিনা সনদে ফিরে যাবার আকাঙ্ক্ষা নাকি মদিনা সনদে ফিরে যাবার প্রারম্ভিক প্রস্তুতি এই সুলতানি সাজে বিয়ে? কারণ একটা জাতির ভবিষ্যৎ অনেকাংশেই নির্ভর করে সেই জাতির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবন কোন দিকে এগুচ্ছে তার উপর।
দুবনা, ০২ জুলাই ২০২৫
দুবনা, ০২ জুলাই ২০২৫
Sunday, June 29, 2025
ধর্ষক
দুর্বল মানুষ অন্যায়ের প্রতিকারের জন্য ঈশ্বরের কাছে দরখাস্ত করে আর শিক্ষিত ও সংস্কৃতিমনা মানুষ আবেদন করে অপরাধীদের বিবেকের কাছে। কিন্তু এসব অপরাধীদের বিবেক থাকার সম্ভাবনা ঈশ্বরের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনার চেয়েও কম। তাই কোন প্রার্থনা নয়, একমাত্র সক্রিয় প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ পারে মুরাদনগর তথা মব সন্ত্রাসের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে। মানুষের মাংসের স্বাদ পাওয়া বাঘ ধর্ম বা বর্ণ দেখে না। আজ যদি হিন্দু মহিলা বিধায় ধর্ষক পার পেয়ে যায় কাল তার হাতে কোন মহিলাই নিরাপদ থাকবে না। আরও একটা কথা আওয়ামী লীগ বা বিএনপি এটা তার রাজনৈতিক পরিচয় আর মানুষ হিসেবে তার পরিচয় সে অমানুষ, ধর্ষক। তাই রাজনীতি টেনে পরিস্থিতি ঘোলাটে না করে ধর্ষকের বিচারের জন্য জোর দাবি তোলা আজ প্রতিটি বিবেকবান মানুষের কর্তব্য।
দুবনা, ২৯ জুন ২০২৫
Saturday, June 28, 2025
ঘুম
বিজয় সরণির মৃত্যুঞ্জয় প্রাঙ্গণ ভেঙে জুলাই এর গণমিনার স্থাপনের পরিকল্পনা আবারও প্রমাণ করল বর্তমান সরকার একাত্তর আর চব্বিশকে সাংঘর্ষিক হিসেবে দেখে। তা না হলে মৃত্যুঞ্জয় প্রাঙ্গণকে রেখেই গণমিনার তৈরি করা যেত। আমাদের সংস্কৃতি ইতিহাস অস্বীকার করার সংস্কৃতি হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। এখনও যারা ভাবছে বর্তমান সরকার একাত্তর প্রশ্নে তাদের ছাড় দেবে তারা আসলে বোকার স্বর্গে বাস করছে। আর কত নুনের ছিটা আমাদের কাটা ঘায়ে দিতে হবে এটুকু বুঝতে যে একাত্তরের পক্ষের মানুষের পথ এই সরকার ও তার শেয়ার হোল্ডারদের পথ কখনোই এক হবে না। সরকারের গড়া ঐক্যমত্য কমিশন নয় একাত্তরের পক্ষের মানুষের এক হবার সময় এসেছে আমাদের ইতিহাস আর ঐতিহ্য রক্ষা করার জন্য। যদি আজ সেটা না পারেন কাল খুব বেশি দেরি হয়ে যাবে। শুধু মাত্র ব্যাপক গণ জাগরণের মধ্য দিয়েই মব সন্ত্রাস প্রতিহত করা যাবে। করতে হবে আমাদেরকেই, কেউ সাহায্যের হাত বাড়াবে না। এখনই সময় ঘুম থেকে জেগে ওঠার।
দুবনা, ২৮ জুন ২০২৫
Friday, June 27, 2025
ভুল
এই যে বাজেট, নির্বাচন ইত্যাদি নিয়ে এত কথা, কিন্তু বর্তমান প্রশাসন কি ন্যনুতম কিছু করেছে গত ১০ মাসে যাতে বলা যায় যে তারা মানুষের পক্ষে, মানুষের জন্য কাজ করছে বা করবে? তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ জন বিরোধী। যদি স্বৈরাচারের পতনের কথা বলেন, সেটা জনগণই ঘটিয়েছে। এরা উড়ে এসে জুড়ে বসে দশ হাতে দেশ লুটে পুটে খাচ্ছে। তাই এদের কাছে সুশাসন, নির্বাচন এসব আশা করা বাদ দেন। সামর্থ্য থাকলে জনগণকে সাথে নিজেরাই সুশাসন কায়েম করুন না হল নাকে তেল দিয়ে ঘুমান। মনে নেই
যাহা পাই তাহা ভুল করে পাই
যাহা চাই তাহা পাই না!
দুবনার পথে, ২৭ জুন ২০২৫
Thursday, June 26, 2025
গণতন্ত্র
বর্তমানে কী দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক লড়াই, কী দেশে দেশে যুদ্ধ - এসব জনগণের ভালোর জন্য যতটা না তারচেয়ে বেশি এই জনগণকে কে কত বেশি পরিশীলিত ভাবে শোষণ করবে তার প্রতিযোগিতা। জনগণের জন্য রাজনৈতিক পরিবর্তন তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আপদ থেকে মুক্তি পেয়ে বিপদে পড়া বা ফাঁসির রজ্জু আর ফায়ারিং স্কোয়াড এই দুইয়ের মধ্যে একটি বেছে নেয়া - মৃত্যু তার নিশ্চিত শুধু তাকে কীভাবে বরণ করবে সেটা বাছাইয়ের নাম এখন গণতন্ত্র।
দুবনা, ২৬ জুন ২০২৫
দুবনা, ২৬ জুন ২০২৫
Wednesday, June 25, 2025
নস্টালজিয়া
১৯৯৭ সালে আমরা একটা দোতলা বাড়ির এক তলায় বাস করতাম। সে বছর ডিসেম্বরে আমি একটা কনফারেন্সে অংশ নিতে পুনা ও পরে দেশে গেলে গুলিয়া আন্তন ও মনিকাকে নিয়ে মস্কো চলে যায়। আমি ফিরি ডিসেম্বরের ২৮ তারিখে। ওরা তার একদিন আগে দুবনা ফিরে দেখে যে বাসায় চুরি হয়েছে। এরপর বাসা পাহারা দেবার জন্য একটা কুকুর কিনি। পুডল গোত্রের। নাম রাখি ডেইজি। কিন্তু দেখা গেল চোর তাড়ানো তো দূরের কথা, কোন শব্দ শুনলে সবার আগে ও বেডের নীচে ঢুকে পরে। আমাদের সরকার নাকি এখন নিজেই মবের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিচ্ছে। খবর পড়ে ডেইজির কথা মনে পড়ে গেল। এর আগে তোতা আর হাঁসের পশ্চাৎদেশ, এখন ডেইজি - সরকার দেখছি আমাকে নস্টালজিক করে ফেলবে!
দুবনা, ২৫ জুন ২০২৫
দুবনা, ২৫ জুন ২০২৫
Subscribe to:
Posts (Atom)