আজ দুপুরে দোকানে যাচ্ছি সেভার
জন্য জুতো কিনতে।
-
পাপ, সম্পত্তি অন্যদের দান করা যায়?
আমার অবাক হবার পালা।
-
কেন, কী হোল আবার?
-
এমনিতেই জানতে চাইছিলাম।
-
যাবে না কেন, যায়। তবে তার আগে সম্পত্তি থাকতে হয়,
সম্পত্তির মালিক হতে হয়।
-
মানে আমাদের ফ্ল্যাটের আমার অংশটুকু আমি দিয়ে দিতে পারব
কাউকে?
-
পারবি। তবে তার আগে নিজের মাথা গোজার একটা জায়গা তো করা
দরকার।
-
আমি এমনিতেই জেনে রাখলাম। তাছাড়া আমি তো এই সম্পত্তিটা
ডিসারভ করি না।
-
কে বলল তোকে?
-
কে বলবে? আমি তো কিছুই করিনি।
-
ছেলেমেয়েরা যখন জন্মায়, সেই সুত্রেই ওরা বাবামার
সম্পত্তির মালিক হয়।
-
তারপরেও আমার
ইচ্ছে নেই কারো ঘাড়ে বসে খেতে।
-
ঘাড়ে বসে খাবার কি আছে? তুই ঠিক মত পড়াশুনা কর। এখন ওটাই
তোর কাজ। ঐ কাজটা ঠিক মত করলেই সব ডিসারভ করবি।
-
তারপরেও আমি নিজেই নিজেরটা করতে চাই।
-
খুব ভালো তো। যতদিন না পারিস এভাবেই চল।
-
কোন লাইনে খুব তাড়াতাড়ি কাজ পাওয়া যায়?
-
কোন লাইন নেই। এই দেখ, মিলিয়ন মিলিয়ন লোক ফুটবল খেলে, একজন
হয় রোনাল্ডো না মেসি। তাই সমস্যা ওখানে নয়। যে বিষয়েই পড়িস না কেন, যদি ভালো করতে
পারিস, নাম করতে পারিস – তখন তোকে চাকরী খুঁজতে হবে না, চাকরীই তোকে খুঁজবে। তাই
বলি কি, যদি সত্যি সত্যি নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাস, ভালোভাবে নিজের কাজটা কর,
ভালোভাবে পড়াশুনা কর। তাহলে বাকি সব এমনিতেই আসবে।
দুবনা, ০৩
সেপ্টেম্বর ২০১৭
No comments:
Post a Comment