লিপি (Supriti Dhar) লিখেছে "....সাহিত্য, শিল্পকলা এবং নান্দনিকতা, আভিজাত্যের দেশ ফ্রান্স দিনের পর দিন রক্তাক্ত হচ্ছে। যাদের মাথায় সাহিত্য ঢুকে না, যারা শিল্পকলার 'ক'ও বোঝে না, সেই বেদুঈনরা কোনদিন এগুলো বুঝতে চায়ওনি। পরশ্রীকাতর এই মানুষদের কাছ থেকে আর কী আশা করা যায়? হৃদয়ের রক্তক্ষরণ থামবে না আর কোনদিন, থামতে দেবেও না......"
বিবর্তন সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, আদিম মানুষ থেকে মানুষ হবার জন্য এটা যেমন সত্য, তেমনি সত্য অভদ্র থেকে ভদ্র হবার জন্য - অশিক্ষিত থেকে শিক্ষিত হবার জন্য, বর্বর থেকে সংস্কৃতিমনা হবার জন্য। শর্ট-কাটে বড়লোক (ধনী) হওয়া যায়, বড় মনের মানুষ হওয়া যায় না। এফ-১৬ এ করে যেমন গণতন্ত্র বিস্তার করা যায় না, ঠিক তেমনি রাজপ্রাসাদে রাজকীয় টেবিলে খাওয়ালেই অভিজাত করা যায় না। সত্যিকারের স্বাধীন আর মুক্তমনা হবার জন্য, অন্যের অধিকারকে শ্রদ্ধা করতে শেখার জন্য সাধনার দরকার। সেটা যেমন যারা সুন্দর জীবনের খোঁজে পশ্চিমে যায় তারা বুঝে না, ঠিক তেমনি যারা দুই হাত প্রসারিত করে এই সব মানুষকে গ্রহণ করতে চায় তারাও বুঝে না। কারণ? প্রথম দল আসে লোভ-লালসার টানে, নিজের দেশে জীবনযুদ্ধে পরাজিত হয়ে অথবা যুদ্ধ ক্ষেত্র ত্যাগ করে, অন্যদের রক্ত-ঘামে অর্জিত সাফল্যের ফলে ভাগ বসাতে; দ্বিতীয় দল প্রথম দলের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে ঠাঁই দেয় তাদের নিজের ঘরে, নতুন পরিবেশে চোখের পলকে তারা সভ্য-ভদ্র আর তাদের মতোই সচেতন আর কর্মঠ হয়ে উঠবে এই আশায়। সোভিয়েত দেশে, যেখানে ৭০ বছরের চেষ্টাতেও সবাইকে সচেতন করা যায়নি, মুক্ত করা যায়নি লোভ-লালসা-ফাঁকি দেবার মতো সাধারণ মানবিক দোষ গুলো থেকে, তৃতীয় বিশ্বের মানুষগুলো কাছ থেকে, যেখানে বেঁচে থাকাটাই এক বিশাল যুদ্ধ, এমনটা আশা করাটা একান্তই বোকামি। আর এর ফল একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা। ওরা নিজেরা ভালো ছিল না, ভালো থাকতে চায় না, ওরা চায় সবাই মিলে বিশেষ করে যারা অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষ্যার মধ্য দিয়ে ভালো থাকতে শিখেছে, অন্যদের ব্যাথায় ব্যথিত হতে শিখেছে তাদেরকে নিজেদের নরকের আগুনে টেনে নিতে। তাই এখানে আশা করার কিছু নেই - আছে শুধু একটাই পথ - লড়াই করে পৃথিবীটা এই জঞ্জালমুক্ত করা।
No comments:
Post a Comment