গতকাল
মস্কো থেকে ট্রাক ভর্তি বাসার জিনিষপত্র এলো। গুলিয়া ঠিক করেছে দুবনায় থাকবে বলে।
আমি সকালে ফিরেছি মস্কো থেকে, তারপর সারাদিন ট্রাকের অপেক্ষায়। বিভিন্ন জিনিষপত্রের
সাথে আসবে পিয়ানো, তাই দুজন লোক আরও ঠিক করে হোল যারা কিনা মস্কো থেকে আসা দুজনকে
সাহায্য করবে।
রাত
দশটায় দুজন তাজিককে (তাজিকিস্তানের লোক, যাদের অনেকে রাশিয়ায় অড জব করে) নিয়ে
দাঁড়িয়ে আছি। শেষ পর্যন্ত ট্রাক এলো। শুরু হোল জিনিষপত্র নামানো। ওরা কাজ করছে,
আমি দাঁড়িয়ে আছি। গত কয়েকদিন প্যাকিং করে হাতের বিভিন্ন জায়গা কেটে গেছে, তাই
জাস্ট দাঁড়িয়ে আছি। মস্কো থেকে আসা যে লোকটা জিনিষপত্র নামাচ্ছিলো আমার দিকে
বারবার তাকাচ্ছে আর কিছু একটা বলতে চাইছে। শেষ পর্যন্ত বলেই ফেললো
-
দাঁড়িয়ে না থেকে এগুলো নামাতে একটু সাহায্য কর।
-
কী করতে হবে, বল।
-
টুকটাক যা পার, একটু নামাও।
-
ঠিক আছে, চল।
আমি গেলাম
ট্রাকের ওখানটায়। ট্রাক ড্রাইভার, যে কিনা ওদের দুজনের বস, জিনিষপত্র দিচ্ছে ট্রাকের
উপর থেকে। ছেলেটা ওকে গিয়ে বললো
-
দেখ না, দাঁড়িয়ে আছে আর দেখছে আমরা কি করছি। দাও, ওকেও জিনিষপত্র দাও, একটু
নামাক।
-
ও কাজ করবে কেন? তাজিকরাই তো করছে।
-
তাহলে ও এসেছে কেন?
-
বা রে, যে মহিলা মস্কো থেকে গাড়ি করে জিনিষ পাঠাল, ও তো তার বর।
এবার
ছেলেটা আমার দিকে ঘুরে বলল
-
দুঃখিত বস। আমি তো জানতাম না।
-
কোন অসুবিধা নেই।
এরপর ও
আমার পাশেপাশে ঘুর ঘুর করলো। বিভিন্ন কথা জিজ্ঞেস করলো। আমিও জীবনে প্রথম বুঝলাম
বরের মর্যাদা।
দুবনা,
১৩ ডিসেম্বর ২০১৭
No comments:
Post a Comment