Our prosperity makes the Earth poorer. So should we wish a prosperous new year or a balanced one?
Dubna, 31 December 2017
Sunday, December 31, 2017
নববর্ষের কামনা
প্রকৃতির
পঞ্জিকা থেকে ঝরে পড়ে আরেকটা পাতা
শুরু হয়
নতুন দিনের, আর দশটা দিনের মতই
কিন্তু
আপেক্ষিক বাস্তবতায় সে পায় নতুন নাম
যদিও
এবার তার পথে নেই শুভ্র ফুল
মানুষের
ভালবাসায় বাতাসে ভেসে বেড়ানো
বরফগুলো
গলে হয়ে গেছে জল
আর
কান্না হয়ে নেমে আসে টেবিলে সাজিয়ে রাখা গ্লাসগুলোয়
তারপরেও
নতুন বছর নতুন বছরই
সবাইকে
মনে করার দিন, যারা চলে গেছে,
যারা
কাছে বা দূরে আছে
কমনা করার
দিন, স্বপ্ন দেখার দিন।
কি
চাইবো? ভালো ভালো কথাগুলো
বলা হয়ে
গেছে অনেক আগেই,
বলেছে
অনেকেই। তারপরও বলি
নতুন বছর
হোক আনন্দে বেদনায় পূর্ণ
সাফল্য
ব্যর্থতা হাতে হাত রেখে চলুক এবার
কান্না
হাসি থাকুক না হয় পাশাপাশি
দুঃখ দিক
বাঁধাকে অতিক্রম করার শক্তি
আনন্দ দিক
কষ্টকে গ্রহণ করার শিক্ষা
কেননা
সুখ দুঃখ শোক আনন্দ ভালোবাসা বিরহ
সবই
আপেক্ষিক
আসল কথা
গতি, বৈচিত্র -
জীবন হোক
বৈচিত্রময়
কেননা
একঘেয়েমি – তা সে যতই সুখের হোক
সে তো
মৃত্যু তুল্য।
ভালোমন্দে
ভালো থাকুন সবাই।
শুভ
নববর্ষ।
Friday, December 29, 2017
উচ্চচাপ
অর্থনৈতিক
উন্নয়ন অনেকটা চর্বির মত। সাথে সাথে সরু হচ্ছে মুক্তচিন্তা চলাচলের রক্তনালীগুলো।
জাতি ভুগছে সাম্প্রদায়িক উচ্চচাপে।
দুবনা, ২৪
ডিসেম্বর ২০১৭
মেদ ও মেধা
আগে
পড়াশুনা করে মানুষ মেধা অর্জন করতো, এখন অর্জন করে মেদ। মেধাহীন মেদ মর্দন করে
উপরে ওঠা যায় বটেন, কিন্তু বড় হওয়া যায় না।
দুবনা, ২৪
ডিসেম্বর ২০১৭
পেশাপেশি
পেশা আর
পেশী আজ একসাথে চলে
দুবনা,
২৯ ডিসেম্বর ২০১৭
পেশী আজ একসাথে চলে
পেশা আজ বলীয়ান হয় পেশীবলে
পেশী হলে দুর্বল, দুর্বল পেশা
পেশাপেশী দুইজন যেন হাঁসি হাঁসা।।
পেশা আজ
বলীয়ান হয় পেশীবলে
পেশী হলে
দুর্বল, দুর্বল পেশা
পেশাপেশী
দুইজন যেন হাঁসি হাঁসা।।
পেশী আজ একসাথে চলে
পেশা আজ বলীয়ান হয় পেশীবলে
পেশী হলে দুর্বল, দুর্বল পেশা
পেশাপেশী দুইজন যেন হাঁসি হাঁসা।।
Thursday, December 28, 2017
নব্য রাজাকার
*****
জমিজমা ঘরবাড়ি
সবই যে
নিলে কাঁড়ি
আরও কাড়লে
বাঁচার
অধিকার
চারিদিকে
নব্য রাজাকার।
কুখ্যাত একশ
চুয়াল্লিশ ধারা
সাতান্নর
হাতে গেল মারা
চারিদিকে
এসব কী
চলছে
অনাচার
চারিদিকে
নব্য রাজাকার।
টাকাপয়সা
সোনাদানা
আত্মসাতে
খুব সেয়ানা
কিন্তু
সেসব সত্যি কথা
বলতে
মানা এবার
চারিদিকে
নব্য রাজাকার।
করলে যে ব্যাঙ্ক
চুরি
মারলে
টাকা ভুরি ভুরি
বোম
ফুটিয়ে ছিনতাই করলে
ভোটের
অধিকার
চারিদিকে
নব্য রাজাকার।
দুবনা,
২৮ ডিসেম্বর ২০১৭
Monday, December 25, 2017
সাব ৩৫
ছবিতে ছবিতে ছয়লাব আজ ফেসবুক
চারিদিক থেকে উঁকি দিচ্ছে ভিপুস্কনিকের মুখ
মুখভরা হাসি দাঁত দুই পাটি করছে যে ঝলমল
কবে আসলি? কোথায় থাকিস? বলছে অনর্গল।
ছোট বড় মাঝারি সবার বয়েস আজ পঁয়ত্রিশ
বাইরে থেকে যেমনই লাগুক মনে নেই উনিশ বিশ
কখনো মনে হয় মস্কো মেলা কখনো সম্মেলন
বাংলার বুকে ভিপুস্কনিকদের এ এক মহামিলন।
পিকনিক দিয়ে শেষ হোল ভাই তিনদিনের এ মেলা
কাজ ডাকছে এবার সবার ঘরে ফেরার পালা
হঠাৎ করেই সময়ের কাঁটা ঘুরিয়ে দিয়েছিলো মন
ক্ষনিকের তরে ফিরে এসেছিলো সোভিয়েত ইউনিয়ন।
দুবনা, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭
Wednesday, December 13, 2017
মহা মুস্কিল!
বাসায় মান্ধাত্বার আমলের একটা শোকেস ছিল। গুলিয়ার দিদিমার। তাই ও কোথাও গেলে সেটা সাথেই যায়। এতো দিন ছিল আমার বাসায়। ভেতরে অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিষপত্তর। সব সময় পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতো, মানে চলাফেরায় অসুবিধা হতো। গতকাল ওটাকে দিয়ে এলাম নতুন বাসায়। মনটা ভালো হয়ে গেল। রাতে বাসায় ফিরে গ্লোভস, টুপি এসব রাখতে গিয়ে পড়লাম মহা সমস্যায়। এতদিন জুতোজোড়া ওর নীচে রাখতাম, সেটাও করা যাচ্ছে না। এখন যতবারই বাসায় যাই ততবারই শোকেসটার অদৃশ্য হাসি দেখতে পাই আর শুনতে পাই
- কি, এবার খুশী তো? ভেবেছিলে আমাকে দূর করলেই আমি আমি চলে যাবো? সেটি হচ্ছে না গো। এখন থেকে আমি তোমার ঘাড়ে বসে থাকব আর তোমার সাথে সাথে ঘুরবো।
দুবনা, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭
Сначала выкидываешь какую-то фигню из дома, потом всю жизнь страдаешь фигной из-за ее отсутствие. Это и "МАЙА" (иллюзия)
Сначала выкидываешь какую-то фигню из дома, потом всю жизнь страдаешь фигной из-за ее отсутствие. Это и "МАЙА" (иллюзия)
- কি, এবার খুশী তো? ভেবেছিলে আমাকে দূর করলেই আমি আমি চলে যাবো? সেটি হচ্ছে না গো। এখন থেকে আমি তোমার ঘাড়ে বসে থাকব আর তোমার সাথে সাথে ঘুরবো।
দুবনা, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭
Сначала выкидываешь какую-то фигню из дома, потом всю жизнь страдаешь фигной из-за ее отсутствие. Это и "МАЙА" (иллюзия)
Сначала выкидываешь какую-то фигню из дома, потом всю жизнь страдаешь фигной из-за ее отсутствие. Это и "МАЙА" (иллюзия)
Tuesday, December 12, 2017
বর
গতকাল
মস্কো থেকে ট্রাক ভর্তি বাসার জিনিষপত্র এলো। গুলিয়া ঠিক করেছে দুবনায় থাকবে বলে।
আমি সকালে ফিরেছি মস্কো থেকে, তারপর সারাদিন ট্রাকের অপেক্ষায়। বিভিন্ন জিনিষপত্রের
সাথে আসবে পিয়ানো, তাই দুজন লোক আরও ঠিক করে হোল যারা কিনা মস্কো থেকে আসা দুজনকে
সাহায্য করবে।
রাত
দশটায় দুজন তাজিককে (তাজিকিস্তানের লোক, যাদের অনেকে রাশিয়ায় অড জব করে) নিয়ে
দাঁড়িয়ে আছি। শেষ পর্যন্ত ট্রাক এলো। শুরু হোল জিনিষপত্র নামানো। ওরা কাজ করছে,
আমি দাঁড়িয়ে আছি। গত কয়েকদিন প্যাকিং করে হাতের বিভিন্ন জায়গা কেটে গেছে, তাই
জাস্ট দাঁড়িয়ে আছি। মস্কো থেকে আসা যে লোকটা জিনিষপত্র নামাচ্ছিলো আমার দিকে
বারবার তাকাচ্ছে আর কিছু একটা বলতে চাইছে। শেষ পর্যন্ত বলেই ফেললো
-
দাঁড়িয়ে না থেকে এগুলো নামাতে একটু সাহায্য কর।
-
কী করতে হবে, বল।
-
টুকটাক যা পার, একটু নামাও।
-
ঠিক আছে, চল।
আমি গেলাম
ট্রাকের ওখানটায়। ট্রাক ড্রাইভার, যে কিনা ওদের দুজনের বস, জিনিষপত্র দিচ্ছে ট্রাকের
উপর থেকে। ছেলেটা ওকে গিয়ে বললো
-
দেখ না, দাঁড়িয়ে আছে আর দেখছে আমরা কি করছি। দাও, ওকেও জিনিষপত্র দাও, একটু
নামাক।
-
ও কাজ করবে কেন? তাজিকরাই তো করছে।
-
তাহলে ও এসেছে কেন?
-
বা রে, যে মহিলা মস্কো থেকে গাড়ি করে জিনিষ পাঠাল, ও তো তার বর।
এবার
ছেলেটা আমার দিকে ঘুরে বলল
-
দুঃখিত বস। আমি তো জানতাম না।
-
কোন অসুবিধা নেই।
এরপর ও
আমার পাশেপাশে ঘুর ঘুর করলো। বিভিন্ন কথা জিজ্ঞেস করলো। আমিও জীবনে প্রথম বুঝলাম
বরের মর্যাদা।
দুবনা,
১৩ ডিসেম্বর ২০১৭
Subscribe to:
Posts (Atom)