Tuesday, August 22, 2017

রাজনীতির আইন না আইনের রাজনীতি


১৯৯৩ সালের ঘটনা। ইয়েলতসিন তার জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তখনই তার সাথে পার্লামেন্টের বিবাদ - পার্লামেন্ট হাউসে কামান দাগা আরও কত কী। এরপর বিরোধীদের বিচার আর সে বিচারে অনেকের খালাস পাওয়া। শুধু তাই নয় এ দেশের সাংবিধানিক বিচারালয় (সুপ্রীম কোর্ট আর হাই কোর্টের সাথে সাংবিধানিক কোর্ট আছে এ দেশে যাদের কাজ কোন আইন বা কাজ বা বিচারের রায় সংবিধানের পরিপন্থী কি না সেটা দেখা) প্রেসিডেন্টের বিপক্ষে রায় দেয়। তারা সেটা রাজনৈতিক রঙ না দিয়ে কিছুটা মেনে নেন, কিছু কিছু ব্যাপারে আপীল করেন। এফবি তে এখন একটা রায় নিয়ে প্রচুর কথা হচ্ছে, অনেক রাজনৈতিক বক্তব্য। মাত্র কদিন আগেও অনেকেই বলেছেন বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়, সরকার যা বলে তাই করে। সেদিক থেকে দেখলে এখনকার রায় যদি ভুল হয় বা সরকারের বিপক্ষে যায় এতে ক্ষতি কি? আমি তো এতে শাপে বর দেখি - ১) বিচার বিভাগ যে কিছুটা হলেও স্বাধীন তা প্রমানিত হল; ২) যদি রায় পছন্দ না হয় আপীল করে সেটা বদলানর চেষ্টা করা যা কিনা দেশে যে সুস্থ রাজনীতি চলছে তা প্রমান করে।
আইনের ক্ষেত্রে আবেগের সুযোগ কম। বরং চেষ্টা করুন এই দুর্বলতা বা হেরে যাওয়া কীভাবে শক্তিতে পরিণত করা যায়। আমরা যারা জাস্টিস সিনহাকে অপমান করে বিভিন্ন মন্তব্য করছি, তাতে যতটা না তাকে অপমান করছি, তার চেয়ে বেশী অপমান করছি বিচারপতির পদটাকে, সেই সাথে দেশের সংবিধানকে, দেশকে। যদি মনে করি রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেন বলেই বিচারপতি রাষ্ট্রপতির কথায় উঠবস করবেন, তাহলে একই ভাবে কেউ ভাবতেই পারে সংসদ যেহেতু রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করে, রাষ্ট্রপতি তাদের কথা মতই চলবেন (এমনটা আগে হয়েছে)। ভালো হয় যদি সংসদ সদস্যরা এটা মনে রাখেন আর নিজেদের জনগনের ভৃত্য ভাবেন।
মনে হয় দেশটা রাজায় ভরা, নইলে এতো রাজনীতি আসে কোত্থেকে?
রাজনৈতিক ব্যাপার রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করুন, আইনগত ব্যাপার আইন দিয়ে।
দুবনা, ২২ আগস্ট ২০১৭






No comments:

Post a Comment