মনটা বেশ
ভালো, আনন্দে ফুরফুর করছে। ফর্ম ফিরে পাচ্ছি। ফর্ম বলে কথা। অনেক দিন পরে বাসায়
রান্না করছি। মাংস আর ডাল বসিয়ে ২০১২ সালের একটা ছবি এডিট করছি, হঠাৎ নাকে কে যেন
সুড়সুড়ি দিল। হুম, পোড়া গন্ধ। রান্নাঘরে গিয়ে দেখি প্রক্রিয়াটা কেবল শুরু হয়েছে,
তাই ফ্রাইপ্যানটা নামিয়ে আরেকটা ফ্রাইপ্যানে নতুন করে পেঁয়াজ বসালাম। গন্ধ পেয়ে বউ
এসে হাজির।
-
আবার মাংস পুড়ল তো।
-
কে বলল তোমাকে? আমি সাস্লিক স্টাইলে রান্না করছি। একটু না পুড়লে সাস্লিক
হবে কেমনে?
-
এটা কেউ খাবে না। তুমি আজকাল শুধু নিজের জন্য রান্না কর।
-
না খেলে আমি কি করবো। নিজেরা রান্না করলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়।
মাংস কোন
মতে রক্ষা করে ভাত বসালাম। ডালটাও হচ্ছিলো। এখন ডাল সম্ভার দেওয়ার পালা। হঠাৎ শুনি
মেসেজ এলো। উত্তর দিতে দিতে আবার নাকের ভেতর কে যেন সুড়সুড়ি দিতে শুরু করলো।
হ্যাঁ, এক গাঁদি কুকুরের সাথে থাকতে থাকতে নাকটা বেশ তীক্ষ্ণ হয়েছে ইদানীং। যা
ভেবেছিলাম। পেঁয়াজ পুড়তে শুরু করেছে। কী করা? ফেলে নতুন করে সম্ভার দেয়া? সেটি
হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে রাঁধুনিকে শাস্তি না দিলে মাথায় উঠবে। বরং কয়েক দিন পুড়া ডাল
খেয়ে যদি আক্কেল ফিরে পায়। পুড়া পেঁয়াজ দিয়েই ডাল সম্ভার হল। এবার বুঝুক ঠ্যালা।
দুবনা,
২৯ মার্চ ২০১৮
No comments:
Post a Comment