সাধারণতঃ আমি সকালে রান্না বসিয়ে একটু যোগ ব্যায়াম করি, কখনো না কিছু একটা পড়ি, মেইল চেক করি বা স্নান করে নেই স্রেফ সময় বাঁচানোর জন্য - আর এর ফলে প্রায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু পুড়ে যায়। আর আমিও খাবারের সাথে জেদ করে সব চেঁটেপুটে খেয়ে নেই।
গতকাল এই সিজনে প্রমবারের মতো সাঁতার কাটতে গেলাম, অক্টবরে শুরু মে তে শেষ। অনেকের সাথে দেখা। অনেক দিন পর - তাই ১০০০ মিটার একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেলো, তবু কাটলাম সাঁতার, বাসায় যখন ফিরলাম, বেশ ক্লান্ত।
সকালে ঘুম থেকে উঠে তাই আর ব্যায়াম করা হলো না, ভাত বসলাম, টুকটাক করে বেগুন আর লাউ ভাজা হয়ে গেলো, এর পর আবার বিট, গাজর, ক্যাটসিকাম, লাউ, বেগুন, পেয়াজ, রসুন - আসলে সালাদ করতে গিয়ে যা বেঁচে গেলো, সব মিলিয়ে চুলায়বসলাম, ডিমটাও ভাজা হয়ে গেলো বাসায় লাগানো মরিচ দিয়ে। আর সব করলাম একটানা, কোথায় না গিয়ে। অনেক দিন পর এই প্রথম কিছু পুড়লো না। স্নান করে যখন খেতে বসলাম, দেখি খেতে পারছি না, কোনো রকমে অর্ধেকটা খেয়ে বেরুলাম কাজে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই গেলো, এতো যত্ন আত্তি করে রাধালাম, খেতে পারলাম না কেন? কোথায় আছে, সকালে যদি হাত-পা বা হাড্ডি একটু ব্যাথা না করে, তখন চিমটি কেটে দেখে হয় বেঁচে আছি কিনা। আমার মনে হয় খাবারের ক্ষেত্রেও তাই, যদি খাবার না পুড়ে, কেমন যেন পানসে লাগে।
কি আর করা, ভাঙা - গড়া নয়। সুতরাং এখন থেকে দ্বিগুন উদ্যোগে আবার পুড়াবো আর চেঁটেপুটে খাবো।
দুবনা, ০৪ অক্টবর ২০১৬